| শনিবার, ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ | প্রিন্ট | 118 বার পঠিত
বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির উদ্যোগে শুরু হচ্ছে ‘বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উৎসব’র তৃতীয় আসর। শুক্রবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) বিকাল ৫টায় আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনের মাধ্যমে পর্দা উঠছে এ আয়োজনের। আগামী ৩ মার্চ পর্যন্ত সারা দেশে একযোগে ৬৪ জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে প্রদর্শীত হবে বিভিন্ন ক্যাটাগরির বাংলা চলচ্চিত্র।
উৎসবের উদ্বোধন করেন সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মাননীয় প্রতিমন্ত্রী কে. এম খালিদ এমপি। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত উপস্থিত ছিলেন চলচ্চিত্র নির্মাতা ও শিক্ষক হায়দার রিজভী, চলচ্চিত্র অভিনেতা ইলিয়াস কাঞ্চন, চলচ্চিত্র নির্মাতা শামীম আখতার। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকী। স্বাগত বক্তব্য রাখেন একাডেমির সম্মানিত সচিব সালাহউদ্দিন আহাম্মদ।
এ ছাড়াও অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন দেশের বরেণ্য চলচ্চিত্র নির্মাতা, প্রযোজক, শিল্পীকলাকুশলী এবং সংগঠক, জুরি সদস্য, সিলেকশন কমিটির সদস্যবৃন্দ, একাডেমির কর্মকর্তাবৃন্দ। বর্তমানে সিনোমা হলগুলো কমে যাওয়ায় তার সংখ্যা বাড়াতে কাযকর উদ্যোগ নেয়ার আহ্ববান জানান আলোচকরা।
‘সবার জন্য চলচ্চিত্র, সবার জন্য শিল্প সংস্কৃতি’ স্লোগানে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির আয়োজনে একযোগে ৬৪ জেলা শিল্পকলা একাডেমিসহ সারা দেশে ১৫ দিনব্যাপী ‘তৃতীয় বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উৎসব-২০২৩’ অনুষ্ঠিত হবে।
পাঁচটি ভিন্ন ক্যাটাগরিতে সমকালীন চলচ্চিত্র, নারী নির্মাতাদের চলচ্চিত্র, মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক চলচ্চিত্র, ধ্রুপদী চলচ্চিত্র এবং আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত বা পুরস্কারপ্রাপ্ত চলচ্চিত্রের মধ্য থেকে সিলেকশন কমিটি কর্তৃক বাছাইকৃত মোট ৩৬টি চলচ্চিত্র প্রদর্শনীর করা হচ্ছে এবারের চলচ্চিত্র উৎসবে, এর মধ্যে ২৩টি সমকালীন চলচ্চিত্র (২০১৮-২০২২ সাল) এবং ১৩টি অন্যান্য ক্যাটাগরির চলচ্চিত্র।
সমকালীন দেশীয় চলচ্চিত্র বিভাগে বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে চলচ্চিত্র জমা নেয়া হয়, জমাকৃত প্রায় অর্ধশতাধিক চলচ্চিত্র থেকে বাছাই করে ২৩টি চলচ্চিত্র উৎসবে প্রদর্শনীর জন্য মনোনীত করা হয়। সেখান থেকে সাতটি ক্যাটাগরিতে শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র (দুই লাখ টাকা), শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র নির্মাতা (এক লাখ পঞ্চাশ হাজার টাকা), বিশেষ জুরি (এক লাখ টাকা) এবং শ্রেষ্ঠ চিত্রগ্রাহক, শ্রেষ্ঠ সম্পাদক, শ্রেষ্ঠ শব্দ পরিকল্পক এবং শ্রেষ্ঠ প্রযোজনা পরিকল্পককে পঞ্চাশ হাজার টাকা করে পুরস্কার প্রদান করা হবে। এ ছাড়া উৎসব স্মারক, সনদপত্র প্রদান করা হবে।
পুরস্কার প্রদানের লক্ষ্যে সাত সদস্যবিশিষ্ট জুরি বোর্ড গঠন করা হয়। উৎসবের চলচ্চিত্র প্রদর্শিত হচ্ছে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় চিত্রশালা ও জাতীয় নাট্যশালা মিলনায়তন এবং দেশব্যাপী ৬৪ জেলার শিল্পকলা একাডেমিতে। চলচ্চিত্র প্রদর্শনী সকলের জন্য উন্মুক্ত রাখা হয়েছে।
Posted ১২:২৭ এএম | শনিবার, ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৩
| admin
এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।