চলতি বছরের জুন থেকে আবারও স্কুল ফিডিং প্রকল্প চালু হবে বলে জানিয়েছেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন। তিনি বলেন, স্কুল ফিডিং প্রকল্প ২০১০ সালে চালু হয়ে গত বছরের জুনে শেষ হয়। এই প্রকল্প শিশুদের পুষ্টি ঘাটতি পূরণ, বিদ্যালয়ে শতভাগ ভর্তি, নিয়মিত বিদ্যালয়ে উপস্থিতি, ঝরে পড়া রোধ করতে কার্যকর ভূমিকা রেখেছে। তাই দেশের সব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে স্কুল ফিডিং কার্যক্রম গ্রহণ করার জন্য সরকার যথাযথ পদক্ষেপ নিয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার সচিবালয়ে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে প্রাথমিক শিক্ষার উদ্যোগ ও অর্জন নিয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে প্রতিমন্ত্রী কথা বলেন। এ সময় সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা সচিব ফরিদ আহাম্মদ।

জাকির হোসেন বলেন, এ মাসের ২৫ থেকে ২৮ তারিখের মধ্যে প্রাথমিকের বৃত্তি পরীক্ষার ফল ঘোষণা করা হবে সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়। দ্বিতীয় ধাপে চলতি মাসেই আন্তঃজেলা, আন্তঃসিটি করপোরেশন এবং আন্তঃবিভাগ পর্যায়ে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের বদলি কার্যক্রম শুরু হবে। 

ফরিদ আহাম্মদ বলেন, অনলাইন শিক্ষক বদলি নিয়ে অনেক দিন ধরে এ মন্ত্রণালয় পাইলটিং করছে। সমস্যাগুলো চিহ্নিত ও শিক্ষকদের চাহিদাগুলো বিবেচনা করে গত বছরের ২২ ডিসেম্বর একটি সমন্বিত নীতিমালা জারি করা হয়েছে। এর আলোকে প্রথম পর্যায়ে আন্তঃউপজেলা বদলি কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে। এক সপ্তাহের মধ্যে ২৫ হাজার আবেদন নিষ্পত্তি হয়েছে। তিনি বলেন, দ্বিতীয় ধাপে এ মাসেই আন্তঃজেলা, আন্তঃসিটি করপোরেশন এবং আন্তঃবিভাগ পর্যায়ে শিক্ষক বদলিতে আরো কিছু কাজ করতে হবে। সেই কাজও চলছে।

সম্মেলনে প্রতিমন্ত্রী বলেন, দেশের বিভিন্ন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শ্রুতিকটু ও নেতিবাচক নাম রয়েছে। মন্ত্রণালয় এসব বিদ্যালয়ের নাম পরিবর্তন করে সুন্দর, রুচিশীল, শ্রুতিমধুর এবং স্থানীয় বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ, বীর মুক্তিযোদ্ধাসহ স্থানীয় ইতিহাস, সংস্কৃতির সঙ্গে মানানসই নামকরণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। গত ২৩ জানুয়ারি এ সংক্রান্ত একটি নীতিমালা জারি করা হয়েছে।  তিনি আরো বলেন, চলতি বছরের মার্চের মধ্যে প্রাথমিক পর্যায়ের সকল শিক্ষকের নতুন শিক্ষাক্রমের ওপর বিষয়ভিত্তিক প্রশিক্ষণ সম্পন্ন হবে। সংবাদ সম্মেলনে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক শাহ রেজওয়ান হায়াত, মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব আবু বকর সিদ্দিক, মো. মোশাররফ হোসেন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।