| শুক্রবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৩ | প্রিন্ট | 13 বার পঠিত
ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার সবচেয়ে বড় চিকিৎসাকেন্দ্র আল-শিফা হাসপাতালে পানি ও অক্সিজেন ফুরিয়ে গেছে। সেখানে থাকা রোগীরা পানির জন্য কষ্ট পাচ্ছেন।
বৃহস্পতিবার (১৬ নভেম্বর) ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসিকে এমন তথ্য জানান হাসপাতালটির পরিচালক আবু সালমিয়া।
আল-শিফা হাসপাতালের পরিচালক মুহাম্মদ আবু সালমিয়া বলেন, ‘হাসপাতালের পরিস্থিতি খুবই হৃদয়বিদারক। ৬৫০ জনের বেশি রোগী এখন হাসপাতালটিতে আছেন। রয়েছেন ৫০০ জন চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মী। ইসরায়েলের হামলার কারণে বাস্তুচ্যুত হওয়া পাঁচ হাজার ফিলিস্তিনিও হাসপাতাল প্রাঙ্গণে আশ্রয় নিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে আমাদের কাছে পানি ও অক্সিজেন নেই।’
তিনি বলেন, ইসরায়েলি ট্যাংক হাসপাতালের চারদিক ঘিরে রেখেছে। মাথার ওপর ড্রোন উড়ছে। ইসরায়েলি সেনারা বৃহস্পতিবার দ্বিতীয় দিনের মতো হাসপাতালে ভেতরে তল্লাশি চালিয়েছে।
ইসরায়েলি সেনাবাহিনী বলছে, হামাসের বিরুদ্ধে বিচক্ষণতার সঙ্গে পদ্ধতিগত ও পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে অভিযান চালানো হচ্ছে।
হাসপাতালের ভেতরে আটকেপড়া একজন সাংবাদিক বিবিসির রুশদি আবু আলৌফকে ফোনে জানান, ইসরায়েলি সৈন্যদের সব জায়গায় দেখা যাচ্ছে এবং তারা সব দিক থেকে গুলি করছে।
তবে বিবিসি নিরপেক্ষভাবে এর সত্যতা যাচাই করতে পারেনি।
মুহাম্মদ আবু সালমিয়া আরও বলেন, ইসরায়েলি সেনারা হাসপাতালটির প্রধান পানির সংযোগ উড়িয়ে দিয়েছে। তাদের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। কেউ এক ভবন থেকে আরেক ভবনে যেতে পারছি না। আমাদের সহকর্মীদের সঙ্গেও কোনোভাবে যোগাযোগ করতে পারছি না।
গাজার হামাস পরিচালিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বলছে পুরো মেডিকেল কমপ্লেক্সের দক্ষিণ দিকের প্রবেশপথে একটি অংশ বুলডোজার দিয়ে গুঁড়িয়ে দিয়েছে সেনারা। হাসপাতালে শিশুদের জন্য কোনো খাবার, পানি ও দুধ নেই। তাছাড়া বিদ্যুতের অভাবে ইনকিউবেটরগুলো বন্ধ হয়ে যাওয়ায় অপরিপক্ব নবজাতকদের মৃত্যু হতে পারে। যদিও তাদের উষ্ণ রাখতে বিকল্প উপায় অবলম্বন করছেন চিকিৎসকরা।
গত বুধবার থেকে সেখানে অভিযান চালাচ্ছে ইসরায়েলি বাহিনী। তারা বলছে, হামাসের বিরুদ্ধে বিচক্ষণতার সঙ্গে পদ্ধতিগত ও পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে অভিযান চালানো হচ্ছে। বৃহস্পতিবার তারা সেখানে হামাসের টানেলের একটি সুরঙ্গের সন্ধান পাওয়ার দাবি করে। একই সঙ্গে অস্ত্রবোঝাই একটি গাড়ি পাওয়ার কথাও জানায় তারা।
Posted ১২:১৫ পিএম | শুক্রবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৩
| admin
এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।