| বুধবার, ২২ নভেম্বর ২০২৩ | প্রিন্ট | 11 বার পঠিত
প্রস্তাব অনুযায়ী, চারদিনের মধ্যে হামাস তাদের হাতে বন্দী থাকা ৫০ জনের মতো জিম্মিকে মুক্তি দেবে। বিনিময়ে অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় হামলা আপাতত বন্ধ রাখবে ইসরায়েল।
এ সময় শর্তমতে ৫০ জিম্মি নারী ও শিশুকে মুক্তি দেবে হামাস। প্রতিদিন ১২-১৩ জনকে মুক্তি দেওয়া হবে। অন্যদিকে নিজেদের কারাগারে আটক প্রায় ১৫০ ফিলিস্তিনি নারী ও শিশুকে মুক্তি দেবে ইসরায়েল। বৃহস্পতিবার (২৩ নভেম্বর) সকাল থেকে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হবে।
ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসের সঙ্গে বন্দি বিনিময় ও অস্থায়ী যুদ্ধবিরতির চুক্তি অনুমোদনের পক্ষে সম্মত হয়েছে ইসরায়েলের মন্ত্রিসভা।
মঙ্গলবার দিবাগত রাতে কাতারের মধ্যস্থতায় চারদিনের যুদ্ধবিরতি চুক্তি অনুমোদন দেয় ইসরায়েল সরকার।
গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামাসের আকস্মিক হামলার পর থেকেই গত ছয় সপ্তাহের বেশি সময় ধরে তীব্র সংঘাত চলছে।
হামাস ২০০ এরও অধিক ইসরায়েলি নাগরিককে জিম্মি করে রেখেছে বলে দাবি করা হচ্ছে; অন্যদিকে হামাসের হামলায় ১২০০ জন নিহত হয়েছে বলে ইসরায়েলের পরিসংখ্যানে বলা হয়েছে।
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর কার্যালয় থেকে এক বিবৃতিতে বলা হয়, চার দিনের মধ্যে ৫০ জন নারী ও শিশুকে মুক্তি দেওয়া হবে, এই সময়ে যুদ্ধ বন্ধ থাকবে।
বিনিময়ে ফিলিস্তিনি বন্দীদের মুক্তির কথা উল্লেখ না করে বলা হয়েছে, প্রতি অতিরিক্ত ১০ জিম্মিকে মুক্তি দেওয়ার অর্থ একদিন করে যুদ্ধবিরতি বাড়বে।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, “ইসরায়েল সরকার জিম্মিদের সবাইকে দেশে ফিরিয়ে আনতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। এই লক্ষ্য অর্জনের প্রথম পর্যায়ের রূপরেখা হিসেবে প্রস্তাবিত চুক্তিটি অনুমোদন করা হলো।”
হামাস বলে, যুদ্ধবিরতি চুক্তির ফলে মানবিক, চিকিৎসা ও জ্বালানি সহায়তার শত শত ট্রাক গাজায় প্রবেশ করতে পারবে।
যুদ্ধবিরতি চলাকালীন সময়ে গাজার কোনো অংশে আক্রমণ বা কাউকে গ্রেপ্তার না করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে ইসরায়েল।
Posted ৪:৩২ এএম | বুধবার, ২২ নভেম্বর ২০২৩
| admin
এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।