| বৃহস্পতিবার, ১৯ জানুয়ারি ২০২৩ | প্রিন্ট | 30 বার পঠিত
স্ত্রীর বন্ধ্যাত্বের কারণে মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন এক ব্যক্তি। তিনি স্ত্রীর সঙ্গে বিবাহ বিচ্ছেদের জন্য কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন। কিন্তু, হাইকোর্ট ওই ব্যক্তির অভিযোগ খারিজ করে দিয়েছেন। এই প্রবণতাকে মানসিক নির্যাতন বলে মন্তব্য করেছেন কলকাতা হাইকোর্ট।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, ওই দম্পতি কলকাতার বেলেঘাটার বাসিন্দা। তাঁদের বৈবাহিক সম্পর্ক ৯ বছরের। ওই নারী পেশায় একজন স্কুলশিক্ষিকা। তবে সন্তান না হওয়ায় তিনি মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন। এজন্য বেঙ্গালুরুর জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ও নিউরোসায়েন্সেস ইনস্টিটিউটে চিকিৎসারত ছিলেন তিনি। ২০১৭ সালের জুন মাসে তাঁর স্বামী বিবাহবিচ্ছেদ চেয়ে আবেদন করেন। এর ঠিক এক মাস পর স্ত্রী তাঁর বিরুদ্ধে ফৌজদারি অভিযোগ দায়ের করেন। ঘটনায় বেলেঘাটা থানার পুলিশ ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে একটি চার্জশিট দাখিল করে। তাতে বিশ্বাসভঙ্গ, মানসিক নির্যাতন সহ ভারতীয় দণ্ডবিধির একাধিক ধারায় চার্জশিট দেওয়া হয়।
এরপর কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন ওই ব্যক্তি। সেই মামলায় বিচারপতি শম্পা দত্ত বলেন, “শুধুমাত্র বন্ধ্যাত্বের কারণে বিবাহবিচ্ছেদ করা যায় না। বাবা-মা হওয়ার জন্য অনেকগুলো বিকল্প রয়েছে। এই পরিস্থিতিতে একজন স্বামীকে তাঁর স্ত্রীর পাশে থাকা উচিত। তাঁকে বুঝতে হবে। তবেই নারী মানসিকভাবে স্বাভাবিক ছন্দে ফিরতে পারেন।”
বিচারপতি আরও বলেন, “একজন নারীর মা হওয়ার স্বপ্ন থাকে। কিন্তু সন্তান না হলে তিনি সবচেয়ে বেশি কষ্ট পান। তাই এই অবস্থায় স্বামীর কর্তব্য হল স্ত্রীর পাশে দাঁড়ানো।”
বিচারপতি মনে করেন, এখন ওই নারী অনেক মানসিক যন্ত্রণার মধ্যে রয়েছেন। তাই এই পরিস্থিতিতে বিবাহবিচ্ছেদ করা ঠিক নয়। এটি নারীর ওপর মানসিক নির্যাতনের সমতুল্য। এই মামলায় কলকাতা হাইকোর্ট ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে নির্দিষ্ট ধারায় পুলিশকে মামলা করার নির্দেশ দিয়েছেন।
Posted ৩:১৩ পিএম | বৃহস্পতিবার, ১৯ জানুয়ারি ২০২৩
| admin
এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।