| শনিবার, ২৫ মার্চ ২০২৩ | প্রিন্ট | 32 বার পঠিত
লকসভায় রাহুল গান্ধীর সাংসদ পদ খারিজ সম্পর্কে। রাজনীতির ময়দানে তৃণমূল এবং কংগ্রেস পরস্পর পরস্পরের প্রতিদ্বন্দ্বী হলেও রাহুলের সাংসদ পদ খারিজ ঘোষণায় লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লার বিজ্ঞপ্তি জারির পর নিন্দার ঝড় তুলেছেন বিরোধী নেতা–নেত্রীরা। টুইটে প্রতিবাদ জানিয়েছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি। তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নতুন ভারতে বিজেপির আক্রমণের মূল লক্ষ্য হল বিরোধী নেতা–নেত্রীরা। অপরাধের ইতিহাস থাকা সত্ত্বেও যেখানে বিজেপি নেতারা মন্ত্রীসভায় জায়গা পাচ্ছেন সেখানে বক্তব্য রাখার জন্য বিরোধী নেতাদের সরিয়ে দেওয়া হচ্ছে।’
বৃহস্পতিবার গুজরাটের একটি আদালত ২০১৯ সালে রাহুলের করা একটি পদবী–মন্তব্য নিয়ে রায় ঘোষণা করে। অপরাধী সাব্যস্ত করে তাঁকে দু’বছরের কারাদণ্ডের সাজা ঘোষণা করে। যদিও আদালত এই সাংসদকে ৩০ দিনের জামিন দেয়। এরপরেই শুক্রবার লোকসভার স্পিকার তাঁর সাংসদ পদ খারিজ করেন।
আদালতের রায়ের প্রতিবাদ জানিয়ে আইনজীবী এবং রাজ্যের কংগ্রেস নেতা অরুণাভ ঘোষ বলেন, ‘কেন দু’বছরই সাজা দেওয়া হল?’ এবিষয়ে বিচারব্যবস্থার ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন তিনি।
কংগ্রেস নেতা ও সাংসদ প্রদীপ ভট্টাচার্য বলেন, ‘রাহুল গান্ধীকে যেখানে ৩০ দিনের জামিন দেওয়া হয়েছে সেখানে এই সাংসদ পদ খারিজটা খুবই অনৈতিক। এই ঘটনা প্রমাণ করছে কেন্দ্রীয় সরকার বিরোধী দলের কন্ঠরোধ করতে যা যা করার সেটাই করছে।’
নিন্দা করে রাজ্য সিপিএমের কলকাতা জেলা কমিটির সম্পাদক এবং দলের রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য কল্লোল মজুমদার বলেন, ‘আন্তর্জাতিক লগ্নি পুঁজির মদতে বিজেপি তাদের ফ্যাসিবাদী প্রবণতা ক্রমাগত প্রমাণ করে যাচ্ছে। এর অর্থ স্বৈরতন্ত্র, গণতন্ত্রহীনতা এবং অর্থনৈতিক বোঝা যা তারা চাপাতে চাইছে সেগুলো তারা চাপাবে।’ বিজেপির সর্বভারতীয় সহ–সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘সংসদীয় আইন মেনেই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।’
Posted ৩:৪৫ এএম | শনিবার, ২৫ মার্চ ২০২৩
| admin
এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।