| শুক্রবার, ০৫ মে ২০২৩ | প্রিন্ট | 14 বার পঠিত
পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি বলেছেন, ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার ফারাক্কায় গঙ্গার পানি বাংলাদেশকে দিলে তাতে তার কোন কোনো আপত্তি নেই। বৃহস্পতিবার (৪ এপ্রিল) পশ্চিমবঙ্গের মালদা জেলার ইংরেজ বাজারে নবজোয়ার কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে এসব কথা বলেন তিনি।
বৃহস্পতিবার (৪ এপ্রিল) পশ্চিমবঙ্গের মালদা জেলার ইংরেজ বাজারে নবজোয়ার কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে তিনি এসব কথা বলেন। এদিন সভা থেকে রাজ্যের বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের সমালোচনা করেন মুখ্যমন্ত্রী।
ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের ফারাক্কার পানি বণ্টন চুক্তি নিয়ে বঞ্চনার অভিযোগ তুলে মমতা ব্যানার্জি বলেন, গঙ্গার ভাঙন ১০০ বছর ধরে চলছে, সবাই এসেছে চলে গিয়েছে। কিছুই করেনি। অথচ গঙ্গার ভাঙন সাবজেক্টটা কেন্দ্রীয় সরকারের অধীনে, আমাদের (রাজ্য সরকারের) অধীনে নেই। ফারাক্কা সেটাও কেন্দ্রীয় সরকারের অধীনে, তুমি (কেন্দ্রীয় সরকার) আমাদের জল বাংলাদেশকে দিলে আমার আপত্তি নেই, আমি হাসিনাজিকে ভালবাসি। কিন্তু আমাকে যে তার পরিবর্তে ৭০০ কোটি টাকা দেবে বলেছিলে, আমার সরকারকে, আমার বাংলা গভর্নমেন্টকে, তার এক পয়সাও তো দিলে না। বলতে বলতে গলা ব্যথা হয়ে গেছে।
তিনি বলেন, হয়তো কেউ ভাবতে পারেন আপনি প্রধানমন্ত্রীর (নরেন্দ্র মোদীর) সঙ্গে গিয়ে দেখা করছেন না কেন। মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পর বহুবার তার কাছে গিয়েছি। কিছুই দেয় না, শুধুই নেয়।
কেন্দ্রীয় সরকারের উদ্দেশে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ১০০ দিনের কাজের টাকা দাও। গঙ্গার ভাঙন রোধ করে দাও। বন্যায় ত্রাণ সহায়তার প্ল্যান দাও। ঘাটাল মাস্টার প্ল্যানের টাকা দাও।
এর আগে গত বছরের নভেম্বরে ভারতের প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদীকে চিঠি লিখে ফারাক্কা ব্যারাজ প্রকল্পের আরও প্রসার বা ব্যাপ্তি বাড়ানোর পরামর্শ দিয়েছিলেন মমতা। আগামী চার বছরের মধ্যে (২০২৬ সালে) ৩০ বছর মেয়াদি ফারাক্কায় বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে গঙ্গার পানি চুক্তির মেয়াদ শেষ হতে চলেছে। এ অবস্থায় পানি চুক্তির পরিবর্তে মমতার বকেয়া অর্থের (৭০০ কোটি টাকা) দাবি নিয়ে কেন্দ্রের সঙ্গে নতুন করে টানাপোড়েন তৈরি হচ্ছে। ভাগীরথী নদীতেও অতিরিক্ত পানির দাবিতে মমতার সোচ্চার হওয়া বাংলাদেশের জন্য চাপ তৈরি করবে বলে মনে করা হচ্ছে।
Posted ৪:৪২ এএম | শুক্রবার, ০৫ মে ২০২৩
| admin
এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।