| শুক্রবার, ২৯ ডিসেম্বর ২০২৩ | প্রিন্ট | 69 বার পঠিত
বিএনপি-জামায়াতকে সন্ত্রাসী দল হিসেবে অভিহিত করে তাদের বাংলাদেশের মাটিতে রাজনীতি করার অধিকার নেই বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।
শেখ হাসিনা বলেন বিএনপি হচ্ছে একটা সন্ত্রাসী দল। এই সন্ত্রাসী দলের রাজনীতি করার অধিকার বাংলাদেশে নেই। কারণ তারা মানুষ পোড়ায়, মানুষ হত্যা করে। আমাদের রাজনীতি মানুষের কল্যাণে, আর ওদের রাজনীতি মানুষ হত্যায়। তাদের কী মানুষ চায় বলেন? তাদের মানুষ চায় না।
তিনি আরও বলেন আমরা যখন জনগণের জন্য উন্নয়ন করি, তখন ওই বিএনপি-জামায়াত করে অগ্নিসন্ত্রাস। রেললাইনের ফিস প্লেট ফেলে দিয়ে, বগি ফেলে দিয়ে মানুষ হত্যার ফাঁদ পাতে। রেলে আগুন দিয়ে পুড়িয়েছে। মা-সন্তানকে বুকে জড়িয়ে রেখেছে- এই অবস্থায় আগুনে পুড়ে কাঠ হয়ে গেছে। এই দৃশ্য পুরো বিশ্ব বিবেককে নাড়া দিয়েছে। আসে আগুন, গাড়িতে আগুন, ঠিক ২০০১ সালে শুরু করেছিল। এরপর ১৩-১৪ একই ঘটনা ঘটায়। এখন আবার অগ্নিসন্ত্রাস শুরু করেছে। আমি ধিক্কার জানাই বিএনপি-জামায়াতকে।
৭ জানুয়ারি সকাল সকাল সকলকে ভোট কেন্দ্রে গিয়ে ভোটাধিকার প্রয়োগের আহ্বান জানান তিনি।
বর্তমান সংসদ নেতা তার বক্তব্যে বলেন ২০০৮ সালে আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করে। বিএনপির দুঃশাসনে জনগণ তাদের প্রত্যাখ্যান করে আমাদের ক্ষমতায় রেখেছে। আজ ২০২৩ সাল, আমরা বদলে যাওয়া বাংলাদেশে। আজকে দুর্ভিক্ষ নেই, মঙ্গা নেই। যে মানুষ একবেলা খেতে পারতো না। তারা তিন বেলা খেতে পারছে। বই বিনামূলে বিতরণ করছি। অসহায়দের ভাতা দিচ্ছি।
তিনি আজকে ১০ কোটি মানুষ উপকারভোগী। আমরা বিশেষ প্রণোদনা দিয়ে শিল্প কলকারখানা চালিয়ে আসছি। ১০ টাকায় কৃষকরা অ্যাকাউন্ট খুলতে পারে। ১ কোটি ২ লাখ কৃষক অ্যাকাউন্ট খুলে ভর্তুকির টাকা পাচ্ছে।
বরিশালে গত ১৫ বছরের উন্নয়ন তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন: বরিশাল ছিল অন্ধকার। আওয়ামী লীগ সরকার এসেছে, বরিশালে আলো এসেছে। আমরা কথা দিয়েছিলাম, কথা রেখেছি। ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে দিয়েছি। এই বাংলাদেশে কেউ হতদরিদ্র থাকবে না। প্রত্যেকের ঘর হবে, বাড়ি হবে, কাজ করে খেতে পারবে।
আওয়ামী লীগ সভাপতির সফরকে ঘিরে দক্ষিণাঞ্চলের নেতাকর্মীদের মধ্যে উৎসবের আমেজ বিরাজ করেছে। শেখ হাসিনার জনসভায় যোগ দিতে সকাল থেকেই বঙ্গবন্ধু উদ্যানে আসতে শুরু করেন আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মী ও সমর্থকেরা। নানা রঙের শাড়ি, রঙিন ক্যাপ-পোশাক পরে মাঠে আসেন দলীয় সমর্থকেরা। সঙ্গে ছিল ব্যানার, ফেস্টুন, প্ল্যাকার্ড। বেলা ১১টা ৪০ মিনিটে জাতীয় সংগীতের মধ্য দিয়ে সমাবেশে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান শুরু হয়। দুপুর পৌনে ১টায় আনুষ্ঠানিকভাবে জনসভা শুরু হয়।
Posted ১২:৪৭ পিএম | শুক্রবার, ২৯ ডিসেম্বর ২০২৩
| admin
এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।