| মঙ্গলবার, ৩১ জানুয়ারি ২০২৩ | প্রিন্ট | 22 বার পঠিত
সাংবাদিকদের সামনে ভয়ের চোটে আসতে পারছিলেন না। দর্শকদের ভালবাসা তাঁকে জিতিয়ে দিয়েছে। ‘পাঠান’-মুক্তির পাঁচ দিনের মাথায় বীরদর্পে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি শাহরুখ খান। বড় পর্দার ‘পাঠান’। ‘জিরো’ থেকে আক্ষরিক অর্থেই ‘হিরো’ হয়ে ফিরলেন। আর ফিরেই সাংবাদিকদের মাধ্যমে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করলেন জনতা জনার্দনের কাছে। সেই অনুরাগীরা, যাঁদের ভালবাসা তাঁকে ফিরিয়ে দিয়েছে তাঁর চেনা পরিবেশে। সে কথা অকপটে স্বীকার করেছেন বলিউড বাদশা। বলেছেন, ‘‘হেরে যাচ্ছিলাম। ভয় পেয়েছিলাম। ভেঙে পড়েছিলাম। আপনাদের ভালবাসা আবার অভিনয় দুনিয়ায় ফিরিয়ে আনল।’’
‘পাঠান’ শাহরুখ খানকে নতুন জীবন ফিরিয়ে দিয়েছে। অথচ ২০১৮-য় এই ছবিটাই ছিল উল্টো। তাঁর ‘জিরো’ বক্স অফিসে মুখ থুবড়ে পড়েছিল। জোড়া নায়িকা অনুষ্কা শর্মা এবং ক্যাটরিনা কাইফ তাঁকে বাঁচাতে পারেননি! তারপর চার বছরের অনন্ত প্রতীক্ষা। নিজেকে নিঃশব্দে তিলে তিলে গড়েছেন। আর বাথরুমে নিঃসঙ্গ সম্রাটের মতো একা একা কান্নায় ভেঙে পড়েছেন! খুব ভয় করেছে যখন, তিনি এসে দাঁড়িয়েছেন মন্নতের বারান্দায়। অনুরাগীরা উল্লাসে ফেটে পড়ে তাঁকে জানিয়েছেন, ‘আছেন, তাঁরা আছেন!’ শাহরুখের কথায়, ‘‘ঈশ্বর আমায় বারান্দার টিকিট দিয়েছেন। ভয় পেলে, আনন্দে ফেটে পড়লে সেখানে এসে দাঁড়াই। উল্টো দিকে থাকা জনস্রোত বুঝিয়ে দেয়, কেউ আমায় ছেড়ে যাননি। আমার ভাল সময়ে। আমার খারাপ সময়েও।’’
শাহরুখ ছোটবেলায় শিখেছিলেন, বিপদে ভালবাসার মানুষদের কাছে গিয়ে দাঁড়াতে হয়। তাঁরাই ব্যথা সারানোর মলম। চার বছর পরে সেটাই করেছেন তিনি। তাঁর মতে, ‘‘আমায় ভালবাসার প্রচুর মানুষ আছে। সাফল্যের স্বাদ নিতে সবার প্রথমে তাঁদের কাছে এসেই দাঁড়িয়েছি।’’ একেবারেই তাই। ছবি-মুক্তির চারদিনের মাথায় অভিনেতা প্রথম এসে দাঁড়িয়েছেন মন্নতের বারান্দায়। ফের তাঁকে ঘিরে উচ্ছ্বাস। ফের তিনি বেতাজ বাদশা! ফুরিয়ে যেতে যেতেও ফিরে এসেছেন। এই কৃতিত্ব যদিও তিনি একা ভোগ করছেন না। ভাগ করে নিচ্ছেন দীপিকা পাড়ুকোন এবং জন আব্রাহামের সঙ্গে। তাঁর দাবি, দীপিকা অমর। তিনি আকবর। জন অ্যান্টনি!
আরও একবার শাহরুখ-দীপিকা রসায়ন বড় পর্দায় জাদু ছড়িয়েছে। সেই আনন্দে পর্দার বাইরে তাঁর প্রিয় নায়কের গালে স্নেহচুম্বন এঁকে দিয়েছেন নায়িকা! শাহরুখের শুধু একটাই আফসোস, ছবি-মুক্তির আগে এত বিতর্কের কি কোনও প্রয়োজন ছিল? টিম ‘পাঠান’কে এক সময় সবার দরজায় দরজায় গিয়ে জোড়হাতে অনুনয় করতে হয়েছিল ছবি দেখার জন্য। এতটা না হলে তিনি জয়ের আনন্দ আরও উপভোগ করতে পারতেন।
এত সহজে জয় এলে জিতে ফেরার আনন্দ আদৌ অনুভব করতে পারতেন তো বাদশা খান?
Posted ২:৩৭ এএম | মঙ্গলবার, ৩১ জানুয়ারি ২০২৩
| admin
এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।