নিজস্ব প্রতিবেদক | বুধবার, ০১ মে ২০২৪ | প্রিন্ট | 86 বার পঠিত
তীব্র গরমে পুড়ছে পশ্চিমবঙ্গের একাধিক জেলা। কলকাতাসহ পশ্চিমবঙ্গের বেশকিছু জেলার তাপমাত্রা ৪৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসে পৌঁছে গেছে। রাজ্যে যত গরম বাড়ছে, ততই পাল্লা দিয়ে বেড়েছে এয়ারকন্ডিশন, ফ্যান, কুলার ও ফ্রিজের ব্যবহার। স্বাভাবিকভাবেই বেড়েছে বিদ্যুতের চাহিদাও। তবে চাহিদা বাড়লেও পশ্চিমবঙ্গে বিদ্যুৎবিভ্রাট বা লোডশেডিং হচ্ছে না বললেই চলে। তাই এই কাঠফাটা গরমে ঘরের ভেতরে স্বস্তিতেই থাকতে পারছেন লোকজন।
বিদ্যুতের এত চাহিদা থাকা সত্ত্বেও কীভাবে মেটাচ্ছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার? রাজ্য বিদ্যুৎ বণ্টন নিগমের মতে, এর প্রধান কারণ হলো- পশ্চিমবঙ্গ সরকারের কয়লা উৎপাদনের স্বনির্ভরতা। এছাড়া রাজ্যে সেভাবে নতুন কোনো বড় শিল্প গড়ে না ওঠায় কিছুটা সুবিধা মিলছে নাগরিকদের। তাছাড়া ফারাক্কা বাঁধের নতুন জলবিদ্যুৎ কেন্দ্র খোলায় বাড়তি সুবিধা পাচ্ছে রাজ্য বিদ্যুৎ বণ্টন নিগম।
পশ্চিমবঙ্গের বিদ্যুৎমন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস জানিয়েছেন, বেড়ে যাওয়া চাহিদা মেটানোর জন্যও যথেষ্ট বিদ্যুৎ উৎপাদন করছে রাজ্য বিদ্যুৎ বণ্টন নিগম। মন্ত্রীর দাবি, তিনি আগে থেকেই বিদ্যুৎ বণ্টন নিগম ও কলকাতা ইলেকট্রিক সাপ্লাই করপোরেশনকে (সিইএসসি) নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহের নির্দেশ দিয়েছিলেন।
বিদ্যুৎমন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস দাবি করেছেন, কোথাও কোন লোডসেডিং হচ্ছে না। কোথাও কোথাও বিদ্যুৎ সরবরাহের ক্ষেত্রে কিছু ত্রুটি থাকায় লোডশেডিং ঘটছে। কিন্তু তা বিক্ষিপ্ত, দীর্ঘক্ষন স্থায়ী হচ্ছে না।
এদিকে, রাজ্যের অন্যান্য জেলায় লোডশেডিং না হলেও কলকাতায় বেশ কয়েকদিন ধরে লোডশেডিং হচ্ছে। তবে তা খুব সামান্য সময়ের জন্য স্থায়ী হচ্ছে।
পশ্চিমবঙ্গ বিদ্যুৎ বণ্টন নিগমের কর্মকর্তা পারাঙ্গম দাস বলেন, চাহিদা মতো উৎপাদন হওয়ায় বিদ্যুতের কোনো ঘাটতি হচ্ছে না। অনেক সময় যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে কিছু এলাকায় সাময়িক লোডশেডিং দেখা দিচ্ছে। কিন্তু আমাদের কুইক রেসপন্স টিম খবর পাওয়া মাত্রই সমস্যার সমাধান করছে। ফলে বড় কোনো যান্ত্রিক ত্রুটি না হলে লোডশেডিং ১ থেকে ২ মিনিটের বেশি স্থায়ী হচ্ছে না।’
Posted ১০:২৩ এএম | বুধবার, ০১ মে ২০২৪
এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।