| শুক্রবার, ২১ অক্টোবর ২০২২ | প্রিন্ট | 105 বার পঠিত
দুর্বল শাসন ও দুর্নীতি জিম্বাবুয়ের অর্থনৈতিক পতনের জন্য দায়ী; নির্বাচনী কারচুপি এবং মানবাধিকার লঙ্ঘনের প্রতিবেদনের পরে যুক্তরাষ্ট্র ও অন্যান্য পশ্চিমা দেশের আরোপিত নিষেধাজ্ঞা নয়, বুধবার যুক্তরাষ্ট্রের একজন শীর্ষ কর্মকর্তা এ কথা বলেন। জিম্বাবুয়ের রাজধানী এ দাবিকে উপহাস করেছে। অন্যদিকে দেশটির কিছু সরকার সমর্থক নাগরিক হারারেতে যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাসের সামনে নিষেধাজ্ঞার প্রতিবাদ জানিয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের নিষেধাজ্ঞা সমন্বয়কারী জেমস ও’ব্রায়ান ১৯ অক্টোবরের একটি অনলাইন সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, জিম্বাবুয়ের বর্তমান প্রশাসনের মানবাধিকার লঙ্ঘন এবং নির্বাচনী কারচুপির ওপর হওয়া প্রতিবেদনের পরে একবিংশ শতকের গোড়ার দিকে আরোপিত নিষেধাজ্ঞার তালিকার পর্যালোচনা যুক্তরাষ্ট্র চালিয়ে যাবে।
জিম্বাবুয়ের কিছু নাগরিক তার বক্তব্যের সাথে একমত নন।
ব্রড অ্যালায়েন্স আগেন্সট স্যাংশন নামে পরিচিত সরকারপন্থী সদস্যদের কাছ থেকে এ ধরনের বক্তব্যের বিরোধী স্লোগান আসছে। তারা হারারেতে অবস্থিত যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাসের বাইরে গান গাইছে এবং জিজ্ঞাসা করছে, কেন তোমরা জিম্বাবুয়েকে ঘৃণা করো?
কয়েক মাস ধরে তারা এখানে ক্যাম্প করছে এবং নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের দাবি অব্যাহত রেখেছে।
সংগঠনের একজন সদস্য ক্যালভার্ন চিটসুঞ্জ বিক্ষোভকারী এবং সহকারী সরকার সমর্থকদের বলেছেন, আমরা একমাত্র যা করতে পারি তা হলো, আমেরিকা আজ বা গতকাল অর্থাৎ যেকোনো সময় আমাদের ওপর যে নিষেধাজ্ঞাগুলো আরোপ করেছে তা সরিয়ে ফেলার দাবি করা।
জিম্বাবুয়ের কর্মকর্তারা সাংবাদিকদের কাছে ও’ব্রায়ানের বক্তব্যের বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি। তারা বলেছেন প্রেসিডেন্ট এমারগন মানানগাগওয়া মঙ্গলবারের “নিষেধাজ্ঞা বিরোধী দিবসে” জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেবেন। সে সময় হারারেতে সরকার-সংগঠিত বিক্ষোভ হবে।
২০০০ সালে প্রয়াত প্রেসিডেন্ট রবার্ট মুগাবের অধীনে শুরু হওয়া ভূমি সংস্কার কর্মসূচির জন্য জিম্বাবুয়েকে শাস্তি দেয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ করে মানানগাগওয়ার সরকার বিক্ষোভের ডাক দেয়। এ কর্মসূচির অধীনে জোরপূর্বকভাবে শ্বেতাঙ্গ বাণিজ্যিক কৃষকদের বাস্তুচ্যুত করা হয় এবং কৃষ্ণাঙ্গ নাগরিকদের জমি দেয়া হয়।
Posted ৫:১৮ পিএম | শুক্রবার, ২১ অক্টোবর ২০২২
| admin
এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।