বুধবার ১২ই মার্চ, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ২৭শে ফাল্গুন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ইউএসএ থেকে প্রকাশিত অনলাইন নিউজ পোর্টাল
সংবাদ এবং তথ্যে আপনার প্রয়োজন মেটাতে

বিএনপির ২৭ দফায় ‘রাষ্ট্র মেরামত’ আদৌ সম্ভব! সজীব ওয়াজেদ জয়

  |   রবিবার, ০৫ মার্চ ২০২৩   |   প্রিন্ট   |   25 বার পঠিত

বিএনপির ২৭ দফায় ‘রাষ্ট্র মেরামত’ আদৌ সম্ভব! সজীব ওয়াজেদ জয়

‘রাষ্ট্র কাঠামো মেরামত’-এর উদ্দেশ্যে ২০২২ সালের ১৯ ডিসেম্বর ২৭ দফা রূপরেখা ঘোষণা করে বিএনপি। দলটি ক্ষমতায় থাকাকালে ‘দুর্নীতি, ধর্মীয় উগ্রবাদ, জঙ্গিবাদ ও সংখ্যালঘু নির্যাতনের মতো ন্যক্কারজনক ঘটনার সঙ্গে জড়িত ছিল’ অভিযোগ করে তাদের দ্বারা ‘রাষ্ট্র মেরামত’ আদৌ সম্ভব কি না; সেই প্রশ্ন রেখেছেন প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তিবিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়। শুক্রবার রাতে ফেসবুকে একটি ভিডিও শেয়ার করেন। ভিডিওতে বিএনপির ঘোষিত রূপরেখার বিভিন্ন দফা তুলে ধরে তার সঙ্গে বিএনপি শাসনামলের বিভিন্ন কার্যকলাপের বর্ণনা দেওয়া হয়েছে।

ভিডিওতে বলা হয়েছে, বিএনপি বলছে তারা ক্ষমতায় এলে ‘সংবিধান সংস্কার কমিশন’ গঠন করবে। অথচ, দলটির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান ক্ষমতায় এসে সবার আগে ধর্মনিরপেক্ষতাকে বাদ দিয়েছিল। ধর্মীয় সম্প্রতি নষ্ট করা ছিল প্রথম ধাপ। শুধু তাই নয়, রাজাকারদের ক্ষমা করে রাজনীতি করারও সুযোগ দিয়েছিল জিয়া। সংবিধান ব্যবহার করে বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারীদেরও দায়মুক্তি দিয়ে পুরস্কৃত করেছিল।

দলটির দ্বিতীয় দফায় বলা হয়, রেইনবো নেশন করে প্রতিহিংসা ও প্রতিশোধের রাজনীতি বন্ধ করবে। এর জবাবে ভিডিওতে বলা হয়েছে, অথচ, ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা এবং ২০১৩-১৪ সালে অগ্নিসন্ত্রাস এই বিএনপির হাতেই ঘটেছিল। বিএনপি ক্ষমতায় এলে নির্দলীয় ও নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা প্রবর্তন করা হবে। ঘোষিত রূপরেখার তৃতীয় দফার এই পরিকল্পনা প্রসঙ্গে ভিডিওতে বলা হয়েছে, ‘অথচ খালেদা জিয়া ক্ষমতায় থাকাকালীন বলেছিলেন, শিশু আর উন্মাদ ছাড়া কেউ নিরপেক্ষ নয়। এই উক্তি দিয়েই দলটির অবস্থান পরিষ্কার হয়ে যায়। শুধু তাই নয়, ২০০৭ সালে ৮ম সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে ২০০৪ সালে চতুর্দশ সংশোধনীর মাধ্যমে প্রধান বিচারপতির বয়স বাড়িয়ে দলটি বাংলাদেশে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থাকে প্রশ্নবিদ্ধ করে।’

বিএনপির অষ্টম দফায় বলা হয়েছে, ‘প্রধান নির্বাচন কমিশনার এবং অন্যান্য নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ আইন-২০২২’ সংশোধন করা হবে। এ প্রসঙ্গে সজীব ওয়াজেদ জয়ের বক্তব্য, ‘অথচ, ২০০৫-০৬ সালে একতরফাভাবে চারদলীয় জোট সরকার বিচারপতি অবসরপ্রাপ্ত এম এ আজিজকে ২০০৫ সালে প্রধান নির্বাচন কমিশন হিসেবে নিয়োগ দেয়। সেই কমিশন প্রায় দেড় কোটি ভুয়া ভোটার তালিকা প্রস্তুত করে।’ রূপরেখার ১৩ দফায় বিএনপি বলছে, দুর্নীতির ক্ষেত্রে কোনো আপস করা হবে না। এ বিষয়ে ভিডিওতে বলা হয়েছে, ‘অথচ, দুর্নীতিকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিয়েছিল খালেদা জিয়া এবং তার দুই ছেলে। যে দলের দুই প্রধান দুর্নীতির দায়ে দণ্ডিত, তারা কীভাবে দুর্নীতি দূর করবে?’ নিজ নিজ ধর্ম পালনের পূর্ণ অধিকার নিশ্চিত করা হবে, ১৬ নম্বর দফার এই পরিকল্পনার প্রসঙ্গে বলা হয়েছে, ‘অথচ, বিএনপি-জামায়াত ২০০১ সালে নির্বাচনের আগে ও পরে সংখ্যালঘুদের ওপর যে অত্যাচার করেছে তা স্বাধীন বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে ভয়াবহ।

১৯ নম্বর দফায় বলা হয়, বৈদেশিক সম্পর্কের বাংলাদেশের স্বার্থ প্রাধান্য। অথচ, বিএনপির প্রথম শাসনামলে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া ভারত সফরে গিয়ে গঙ্গা পানি বণ্টন নিয়ে কথা বলতে ভুলে গিয়েছিলেন। এই দলটির কাছে দেশের চাইতে নিজের স্বার্থই বড়। দুই দফায় ক্ষমতায় থেকে বৈদেশিক সম্পর্কের কোনো গুরুত্বপূর্ণ অর্জন নেই দলটির। পরিকল্পনার ২২ নম্বর দফায় বলা হয়, মুক্তিযোদ্ধাদের সঠিক তালিকা প্রণয়ন। সবশেষ এই দফা প্রসঙ্গে ভিডিওতে বলা হয়েছে, ‘অথচ যে দল মুক্তিযুদ্ধের বিপক্ষ শক্তিকে নিয়ে সরকার গঠন করে, রাজাকারদের মন্ত্রিত্ব দেয়, রাজাকারদের বিচার বন্ধ করতে চায় তাদের দিয়ে মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা প্রণয়ন মানে প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধাদের অপমান করা।’

Facebook Comments Box

Posted ১:৪৫ এএম | রবিবার, ০৫ মার্চ ২০২৩

|

এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

(172 বার পঠিত)
ইউএসএ থেকে প্রকাশিত অনলাইন নিউজ পোর্টাল সংবাদ এবং তথ্যে আপনার প্রয়োজন মেটাতে

NSM Moyeenul Hasan Sajal

Editor & Publisher
Phone: +1(347)6598410
Email: protidinkar@gmail.com, editor@protidinkar.com

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।