মঙ্গলবার ২১শে মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ৭ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ইউএসএ থেকে প্রকাশিত অনলাইন নিউজ পোর্টাল
সংবাদ এবং তথ্যে আপনার প্রয়োজন মেটাতে

মাত্র ১২ রুপিতে পাপমুক্তির সনদ

  |   সোমবার, ০৬ নভেম্বর ২০২৩   |   প্রিন্ট   |   9 বার পঠিত

মাত্র ১২ রুপিতে পাপমুক্তির সনদ

পুণ্যলাভ ও পাপমুক্তির চেষ্টা যেন মানুষের রক্তে মিশে আছে। এ জন্য সব ধর্মেই নানা কথা ও আচারের কথা বলা আছে। হিন্দু ধর্মের অনুসারীরা গঙ্গাস্নান করে পাপামুক্ত হয়ে পূতপবিত্র হতে চেষ্টা করেন। তাই বলে কোনো মন্দির পাপমুক্তি সনদ বিক্রি করবে, তা একটু বিস্ময়কর। কিন্তু তেমনটাই ঘটছে ভারতের একটি মন্দিরে। ওই মন্দিরে মাত্র ১২ রুপিতে পাপমুক্তির সনদ পাওয়া যায়।

জানা গেছে, মন্দিরটি ভারতের দক্ষিণ রাজস্থানের প্রতাপগড় জেলায় অবস্থিত। জয়পুর থেকে ৪৫০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত গৌতমেশ্বর মহাদেব মন্দির। সেখানেই মাত্র ১২ রুপির (প্রায় ১৬ টাকা) বিনিময়ে পেতে পারেন পাপমুক্তি সার্টিফিকেট। মন্দির কর্তৃপক্ষের দাবি, পবিত্র মন্দাকিনী কুণ্ডে ডুব দিলেই ধুলোবালির মতোই পরিষ্কার হয়ে যাবে সব পাপ।

মন্দির ট্রাস্ট যে সার্টিফিকেট দেয় তা রাজস্থান সরকারের দেবস্থান বিভাগের অন্তর্গত। এর ফলে পাপমুক্তির সার্টিফিকেট নিয়ে বিতর্ক দেখা দিয়েছে। কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্তে প্রতি বছর ২৫০-৩০০ জনকে এই সার্টিফিকেট দেওয়া হয় বলে জানা গেছে। কোনো ব্যক্তির কাছে ওই সনদ থাকার অর্থ, তিনি আগে যাই করুন, বর্তমানে পাপ থেকে মুক্ত।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, মন্দাকিনী কুণ্ডে যদি কেউ ডুব দেন, তবে সেই খবর জানানো হয় গ্রামের পঞ্চায়েত সদস্যদের। এর পর পাপের দায়ে একঘরে হওয়া ব্যক্তিকে ফেরানো হয় সমাজে। ১২ রুপির ওই সার্টিফিকেটে স্বাক্ষর করেন সরকারি আমিন।

স্থানীয় সরপঞ্চ উদয় লাল মিনা জানান, গৌতমেশ্বর মহাদেব মন্দিরের এই রীতির সঙ্গে জড়িত মহাঋষি গৌতমের এক ঘটনা। কথিত আছে, গোহত্যা করেছিলেন মহাঋষি। এর পর এই মন্দির সংলগ্ন কুণ্ডে স্নান করেই পাপমুক্ত হয়েছিলেন তিনি। ওই স্থানেই গড়ে ওঠে গৌতমেশ্বর মন্দির। সেই থেকে কুণ্ডে স্নান করে পাপমুক্ত হওয়ার প্রথা শুরু হয় ভক্তদের মধ্যে।

সূত্র : এনডিটিভি

Facebook Comments Box

Posted ১২:১৩ পিএম | সোমবার, ০৬ নভেম্বর ২০২৩

|

এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

ইউএসএ থেকে প্রকাশিত অনলাইন নিউজ পোর্টাল সংবাদ এবং তথ্যে আপনার প্রয়োজন মেটাতে

NSM Moyeenul Hasan Sajal

Editor & Publisher
Phone: +1(347)6598410
Email: protidinkar@gmail.com, editor@protidinkar.com

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।