| বুধবার, ২২ নভেম্বর ২০২৩ | প্রিন্ট | 7 বার পঠিত
মৃত্যুর পর কবরে যেতে হবে, এটাই চিরায়ত সত্য। তাই বলে জীবিত অবস্থায় কবরে শায়িত হওয়া পাগলামি ছাড়া কিছু নয়। কিন্তু সেই পাগলামিই করে বসলেন জিমি ডোনাল্ডসন, যিনি মি. বিস্ট নামে পরিচিত। তিনি একজন ইউটিউবার। সম্প্রতি জীবিত অবস্থায় কবরে কাটিয়েছেন সাত দিন। ছিলেন বিশেষভাবে তৈরি কফিনে।
২৫ বছর বয়সী জিমির কফিনের ঢাকনা ছিল স্বচ্ছ। ভেতরে ছিল পানি, হিমায়িত শুকনা খাবার। তাঁর নিরাপত্তা নিশ্চিতে ও প্রতিক্রিয়া রেকর্ড করার জন্য ছিল ক্যামেরা। কফিনে বাতাস চলাচলের ব্যবস্থাও রাখা ছিল। সেখান থেকে জিমি তাঁর বন্ধুদের সঙ্গে এবং মাটির ওপরে থাকা তাঁর সহযোগীদের সঙ্গে কথা বলতে পারতেন। সেখানে তাঁর নড়াচড়ার জন্য পর্যাপ্ত জায়গা রাখা হয়েছিল। এতে কিছুটা সোজা হয়ে তিনি বসতে পারতেন। তবে দাঁড়ানোর সুযোগ ছিল না।
ডোনাল্ডসন ভিডিওতে বলেছেন, “আমি আগামী সাত দিনের জন্য এই কফিনের কাছে আমার জীবন সঁপে দিচ্ছি।” তিনি তার দলের সাথে যোগাযোগ করতে একটি ওয়াকি-টকি ব্যবহার করেছিলেন। ভাইরাল ভিডিওতে দেখা গেছে, নির্বিঘ্নে কফিনে সাতদিন কাটিয়েছেন বিস্ট। কোনও রকম অসুবিধার মুখে পড়তে হয়নি তাঁকে।
যদিও স্টান্টটি নিজে থেকেই করেছিলেন, তবুও একাধিক অনুষ্ঠানে কান্নায় ভেঙে পড়েন, যখন কফিন থেকে বের করার মুহূর্তটি তিনি বর্ণনা করছিলেন। আরেকটি উদ্বেগের বিষয় ছিল যে একটি ছোট বাক্সে এত সময় কাটানোর পরে, তার পায়ে রক্ত জমাট বাঁধতে পারে এবং তিনি হাঁটার ক্ষমতা হারাতে পারেন।
ডোনাল্ডসন যখন কফিন থেকে বেরিয়ে এলেন, তখন তাঁর বন্ধু ও অনুসরণকারীরা তাঁকে ব্যানার নিয়ে স্বাগত জানান। সেখানে লেখা ছিল, তাঁর গ্রাহকের (সাবস্ক্রাইবার) সংখ্যা ২১ কোটি ৩০ লাখ। এর মধ্য দিয়ে ইউটিউবে ব্যক্তি হিসেবে সবচেয়ে বড় কনটেন্ট ক্রিয়েটরে পরিণত হলেন তিনি। তাঁর আগে আছে ভারতের শীর্ষ সংগীত প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান টি সিরিজ। তাদের গ্রাহকের সংখ্যা ২৫ কোটি ৩০ লাখ।
ডোনাল্ডসন ১৮ নভেম্বর কবরের অভিজ্ঞতা নিয়ে ১৮ মিনিটের একটি ভিডিও নিজের চ্যানেলে পোস্ট করেন। এরই মধ্যে এটি প্রায় ৬ কোটি ৪০ হাজার মানুষ দেখেছেন।
ডোনাল্ডসন এমনটা এবারই প্রথম করেছেন, বিষয়টা এমন নয়। ২০২১ সালের মার্চেও তিনি একইভাবে ৫০ ঘণ্টা মাটির নিচে কাটিয়েছেন।
Posted ৫:৪৮ এএম | বুধবার, ২২ নভেম্বর ২০২৩
| admin
এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।