| শুক্রবার, ০৩ মার্চ ২০২৩ | প্রিন্ট | 37 বার পঠিত
ভারতে আগামী বছর অনুষ্ঠেয় লোকসভা নির্বাচনে একাই লড়ার কথা জানিয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেস প্রধান ও পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। গতকাল বৃহস্পতিবার রাজ্যের বিধানসভার সাগরদিঘি আসনে দলের পরাজয়ের পর এসব কথা বলেন মমতা।
সাগরদিঘির উপনির্বাচনে বিপুল জয় পান বামফ্রন্ট সমর্থিত কংগ্রেস প্রার্থী বায়রন বিশ্বাস। সংখ্যালঘু মুসলিম অধ্যুষিত এ আসনের ফলাফল হজম করতে পারেনি তৃণমূল। কারণ, সংখ্যালঘু ভোট তৃণমূলের বড় একটা শক্তি।
গতকাল সাগরদিঘি নির্বাচনের ফলাফল প্রকাশের পরই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, ’২০২৪ সালের নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেস একাই লড়বে। কোনো দলের সঙ্গে জোটে যাবে না।’ আর সাগরদিঘিতে জয়ের পর উচ্ছ্বসিত কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী বলেন, ‘এই জোটকে স্থায়ী করতে হবে।’ সিপিএমও তৃণমূলকে ঠেকাতে জোটের পক্ষে।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকেদের ধারণা , সাধারণ মানুষ তৃণমূলের দুর্নীতিকে মেনে য়েনি। তারই প্রতিচ্ছবি এবার ফুটে উঠেছে সাগরদিঘির উপনির্বাচনের ফলাফলে।
এই আসনের বিধায়ক ছিলেন সুব্রত সাহা। তিনি রাজ্যের একজন মন্ত্রীও ছিলেন। তাঁর মৃত্যুতে আসনটি শূন্য হলে এবার সেই আসনে উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়ে। সুব্রত সাহা গত ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে ৯৫ হাজার ১৮৯টি ভোট পেয়েছিলেন। আর সেই আসনে ওই বছর কংগ্রেস প্রার্থী শেখ মো. হাসানুজ্জামান পেয়েছিলেন ৩৬ হাজার ৩৪৪টি ভোট। মাত্র দুই বছরের মধ্যে এবার সেই আসনের উপনির্বাচণে তৃণমূল প্রার্থী দেবাশীষ ব্যানার্জি ভোট পান ৬৪ হাজার ৬৩১টি। আর বাম-কংগ্রেস জোটের প্রার্থী কংগ্রেস নেতা বায়রন বিশ্বাস ভোট পান ৮৭ হাজার ৬১১টি। তৃণমূলের ভোটসংখ্যা এত নিচে নেমে আসায় মমতা থেকে তৃণমূলের নেতাদের আর বুঝতে অসুবিধা হয়নি, তৃণমূলের দুর্নীতিই মমতার দলকে ভোট না দেওয়ার অন্যতম কারণ।
Posted ১:৪৯ পিএম | শুক্রবার, ০৩ মার্চ ২০২৩
| admin
এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।