| বৃহস্পতিবার, ২৬ জানুয়ারি ২০২৩ | প্রিন্ট | 28 বার পঠিত
দিনাজপুরের ঘোড়াঘাটে দুই হত্যাকাণ্ডকে কেন্দ্র করে প্রায় ৩০টি বাড়িতে অগ্নিসংযোগ ও গরু-ছাগলসহ মালামাল লুটপাট করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৬ জানুয়ারি) বিকালে উপজেলার খোদাদাদপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। ঘোড়াঘাট ও পলাশবাড়ী ফায়ার সার্ভিস সন্ধ্যার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
জানা গেছে, উপজেলার খোদাতপুর (চুনিয়াপাড়া) গ্রামের হায়দার আলীর সঙ্গে সাম্প্রতিক চর এলাকা থেকে এসে বসবাসরত ওমর ফারুকের ২৮ শতক জমি নিয়ে বিরোধ চলে আসছিলো। গত (২৫ জানুয়ারি) সকাল ৯টার দিকে হায়দার আলীর ছেলে মনোয়ার হোসেন মিম (২৪) ও ভাতিজা রাকিব (২২) মোটরসাইকেল যোগে ওমর আলীর বাড়ির পার্শ্বে তাদের গভীর নলকূপের ঘরের নিকট আসে। এ সময় রাস্তার অপর পাশে বসবাসরত ওমর আলীর তার ছেলে সামিরুল (২০) ও তার স্ত্রী মোমেতাসহ ৫-৬ জনের অতর্কিত ছুরিকাঘাতে আক্রান্ত হয়। ফলে মোটরসাইকেলে থাকা মোনোয়ার হোসেন মিমকে স্থানীয় লোকজন আহতদেক ঘোড়াঘাট হাসপাতালে ও আহত রাকিবকে উন্নত চিকিৎসার জন্য শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে মারা যায়।
ঘোড়াঘাট থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের হলে পুলিশ বুধবারেই ৩ জনকে গ্রেপ্তার করে। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, ওমর ফারুক, তার স্ত্রী মোমেতা বেগম ও পুত্র সামিরুল। বুধবার লাশ ময়নাতদন্ত শেষে বাদ যোহর দাফনের পর স্থানীয় উত্তেজিত জনতা ওমর আলীসহ আশপাশে চর এলাকা থেকে আগত প্রায় ৩০টি বাড়িতে অগ্নিসংযোগ করে। এবং গরু-ছাগলসহ ব্যাপক মালামাল লুটপাট করে।
এ ঘটনায় ঘোড়াঘাট ও পলাশবাড়ী ফায়ার সার্ভিসের ইউনিটসহ পুলিশ আগুন নেভানোর চেষ্টা করেন। তবে কে বা কারা এ অগ্নিসংযোগ করেছে তার কোনো সঠিক তথ্য পাওয়া যায়নি।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ঘটনাস্থলে ব্যাপক পুলিশ মোতায়ন করা হয়েছে। পাশাপাশি র্যাব টহল দিচ্ছে। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন জেলা ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের সহকারী পরিচালক মঞ্জিল হক।
ঘটনাস্থলে ঘোড়াঘাট থানার ওসি আবু হাসান কবির আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি যেন আরও অবনতি না ঘটে সে জন্য জোরালোভাবে টহল জারি রেখেছেন। এ খবর রাত ১০টায় লেখা পর্যন্ত কোনো মামলা হয়নি।
Posted ১০:০৯ পিএম | বৃহস্পতিবার, ২৬ জানুয়ারি ২০২৩
| admin
এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।