ডেস্ক রিপোর্ট | শনিবার, ০১ জুন ২০২৪ | প্রিন্ট | 76 বার পঠিত
অস্বাভাবিকভাবে বেড়েছে গো-খাদ্যের দাম। এতে বিপাকে পড়েছেন খামারিরা। ব্যতিক্রম নয় রংপুরের দুগ্ধ উৎপাদনকারী খামারি ও গৃহস্থরা। তবে প্রান্তিক খামারি ও গৃহস্থরা নিজেরাই গাভির পরিচর্যা করে কোনো রকমে টিকে থাকলেও বেশি সমস্যায় পড়েছেন বড় খামারিরা। ধীরে ধীরে ছোট হয়ে আসছে এসব খামারির খামারের আকার।
এ অবস্থায় গো-খাদ্যের দামের তুলনায় দুধের দাম না পেলে ভয়াবহ সংকটের মুখে পড়ার আশঙ্কা করছেন খামারিরা। তবে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর বলছে, দুধ উৎপাদন ও গাভির সংখ্যা বাড়ছে। একই সঙ্গে বাড়ছে প্রান্তিক ও মাঝারি খামারিদের সংখ্যাও।
রংপুরের গঙ্গাচড়া উপজেলার বুড়িরহাট এলাকার ক্ষুদ্র খামারি আরিফুজ্জামান। এক বছর আগেও তার খামারে ছিল ৬টি গাভি। এখন আছে ৩টি। লাগামহীন গো-খাদ্যের দাম এবং দুধের যথাযথ দাম না পাওয়ায় ধীরে ধীরে ছোট করে ফেলেছেন খামারের আকার।
আরিফুজ্জামান বলেন, ‘এক বছর আগে বাজারে ৩০ কেজি ওজনের এক বস্তা মিক্সড ভুসির দাম ছিল ৬৫০ থেকে ৭০০ টাকা। এখন সে ভুসির দাম এক হাজার ৩৫০ থেকে এক হাজার ৩৮০ টাকা। ফিডের কেজি ছিল ২৫ থেকে ২৭ টাকা, এখন যা ৪০ থেকে ৪২ টাকা হয়েছে।’
তিনি জানান, এক বছর আগে এক লিটার দুধ বিক্রি করেছেন ৩৫ থেকে ৩৭ টাকায়। এখন বিক্রি করছেন ৪০ থেকে ৪৫ টাকা। গো-খাদ্যের দাম যে হারে বেড়েছে, সে তুলনায় বাড়েনি দুধের দাম।
আরিফুজ্জামান বলেন, ‘বাজার থেকে কেনা দানাদার খাবারের পাশাপাশি কাঁচা ঘাস ও খড় কিনতে হয়। এক হাজার শুকনো খড়ের বিচালির দাম ৪ হাজার ৫০০ থেকে ৫ হাজার টাকা। একটা গাভির পেছনে দিনে গড়ে ৩০০ থেকে ৩৫০ টাকা খরচ। নিজে ও পরিবারের লোকজন খামার দেখাশোনা করায় শ্রমিক খরচ লাগে না। এরপরও খামার থেকে খুব বেশি লাভ হয় না। বাইরের শ্রমিক দিয়ে কাজ করালে লোকসান গুনতে হতো।’
তিনি আরও বলেন, ‘বিভিন্ন বেসরকারি কোম্পানি দুধের ঘনত্ব অনুযায়ী দাম নির্ধারণ করে দেয়। তবে ভালোমানের দুধ উৎপাদন হয় কম। এ অবস্থায় কোম্পানিতে দুধ বিক্রির পাশাপাশি বিভিন্ন বাড়ি ও হোটেলে দুধ বিক্রি করি। এতে কিছুটা বেশি দাম মেলে।’
এ বিষয়ে রংপুর দুগ্ধ শীতলীকরণ কেন্দ্রের (মিল্কভিটা) ব্যবস্থাপক ডা. জাহিদুল ইসলাম বলেন, ‘দুধের ঘনত্ব অনুয়ায়ী দাম নির্ধারণ হয়ে থাকে। বর্তমানে ভালোমানের এক লিটার দুধ ৫৫ থেকে ৬০ টাকা এবং এর নিচে ৪০ থেকে ৪৫ টাকা দরে কেনা হচ্ছে।’
এনামুল হক আরও বলেন, ‘গ্রামে দুধের লিটার ৬০ টাকা। শহর এলাকায় ৭০ থেকে ৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বেসরকারি কোম্পানিগুলো যেন দুধের দাম বাড়িয়ে দেয়, এ বিষয়ে অধিদপ্তর থেকে তাদের বলা হয়েছে। কোম্পানিগুলো দুধের দাম বাড়ালে খামারিরা উপকৃত হবেন।’
Posted ৫:১৬ এএম | শনিবার, ০১ জুন ২০২৪
এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।