| রবিবার, ০১ অক্টোবর ২০২৩ | প্রিন্ট | 34 বার পঠিত
চোখ থেকে ঠিকরে বের হচ্ছে আগুনের হলকা। গলা চিরে বেরিয়ে আসছে নেকড়ের ডাক। কিন্তু সেটি আসল নেকড়ে নয়। এটি জাপানের একটি প্রতিষ্ঠানের তৈরি রোবট নেকড়ে। ক্ষেত-খামার থেকে ভালুকসহ অন্য প্রাণী তাড়াতে এক সময় এটি ব্যবহার করা হলেও বর্তমানে শহরের ভালুকের উৎপাত ঠেকাতেও এটি ব্যবহার করা হচ্ছে।
রোবট নেকড়টি তৈরি করেছে উলফ কামুয়ি নামের একটা প্রযুক্তি কোম্পানি। প্রথমে সেটিকে গ্রামাঞ্চলে ক্ষেত-খামার থেকে ভাল্লুক, হরিণ ও বানরের মতো প্রাণী তাড়ানোর জন্য ডিজাই করা হয়েছিল। সম্প্রতি দেশটির কিছু শহরে ভাল্লুকের উৎপাত বাড়ায় রোবট নেকড়েটা সেখানেও ব্যবহার করা হচ্ছে।
২০২০ সালের শরৎকালে জাপানের তাকিকাওয়া শহরে প্রথমবারের মতো রোবটটিকে কাজে লাগানো হয়। সে বছরই এটিকে ভাল্লুক তাড়ানোর কাজে ব্যবহার করে ইতিবাচক ফল পাওয়া যায়।
টোকিও ইউনিভার্সিটি অব এগ্রিকালচার অ্যান্ড টেকনোলজির অধ্যাপক শিনসুকে কোইকে। তিনি বলেন, ‘জাপানে শহুরে লোকজনের সংখ্যা বেড়ে যাচ্ছে, তরুণ প্রজন্ম এখন আর গ্রামে থাকতে চায় না। তারা শহরে চলে আসায় গ্রামে রয়ে গেছে কেবল বয়স্ক লোকেরা।’
তার মতে, বয়স্ক লোকদের পক্ষে কৃষিকাজ করা কঠিন। কৃষি খামারের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা আরও কঠিন। এ ছাড়া আগে কৃষিজ ভূমি ও পার্বত্য বনভূমির মধ্যে একটি বাফার জোন ছিল। এখন সেটি নষ্ট হয়ে যাওয়ায় বন থেকে প্রায়ই ভালুকসহ বিভিন্ন প্রাণী নেমে এসে কৃষি খামারের ক্ষতি করছে। বন্য প্রাণীদের নিরাপদ আশ্রয়ের অভাব এবং খাদ্যসংকটের কারণে তারা লোকালয়ে চলে আসছে।
২০২১ সালেই চারজন নিহত হয়েছে ভালুকের হামলায়। আগত হয়েছে আরও অন্তত ১০ জন।
Posted ৩:০৯ পিএম | রবিবার, ০১ অক্টোবর ২০২৩
| admin
এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।