| শুক্রবার, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | প্রিন্ট | 31 বার পঠিত
চিলির স্বৈরশাসক আউগুস্তো পিনোচের শাসনামলে জন্মের পরপরই হাসপাতাল থেকে চুরি হয় এক শিশু। নিজের মায়ের কাছ থেকে বিচ্ছিন্ন হওয়ার পর শিশুটি যুক্তরাষ্ট্রে বড় হয়। বর্তমানে তার বয়স ৪২ বছর। পেশায় তিনি একজন আইনজীবী। দীর্ঘ ৪২ বছর পর তিনি তার মায়ের সঙ্গে দেখা করতে চিলি এলেন।
তার নাম জিমি লিপার্ট থাইডেন। প্রথমবারের মতো মায়ের সঙ্গে দেখা করতে হাজার হাজার মাইল ভ্রমণ করে দক্ষিণ আমেরিকার দেশ চিলিতে এলেন থাইডেন। তবে তিনি একা আসেননি। তার সঙ্গে ছিল তার স্ত্রী ও দুই কন্যা।
মায়ের সঙ্গে দেখা করতে যাওয়ার সময় বিমানে থাকাকালীন থাইডেন একটি টিকটক ভিডিওতে বলেন, ‘আমার মা আমার সম্পর্কে জানত না। কারণ তারা আমাকে জন্মের সময় নিয়ে গিয়ে মাকে বলেছিল আমি মারা গেছি। যখন তিনি আমার দেহ চায় তখন তারা বলেছিল মরদেহ সৎকার করা হয়ে গেছে। তাই আমাদের একে অপরকে কখনোই আঁকড়ে ধরা হয়নি।’
চিলির রাজধানী থেকে প্রায় ৭৪০ কিলোমিটার (৪৬০ মাইল) দক্ষিণে ভালদিভিয়া শহরে থাইডেনের মা বসবাস করেন। পরে হাতে ফুলের তোড়া নিয়ে থাইডেন তার মা মারিয়া অ্যাঞ্জেলিকা গঞ্জালেজের সঙ্গে দেখা করতে যান। মায়ের সঙ্গে দেখা হওয়ার পরই অশ্রুসিক্ত হয়ে তাকে জড়িয়ে ধরেন থাইডেন।
১৯৯০ সালে শেষ হওয়া আউগুস্তো পিনোচের শাসনামলে হাজার হাজার মানুষ নিখোঁজ হয়। সেইসঙ্গে কয়েক হাজার মানুষ নির্যাতনের শিকারও হয়েছিল তখন। কিন্তু সম্প্রতি মাই হেরিটেজ ডট কম ও নোস বুস্ক্যামোস নামে চিলির একটি বেসরকারি সংস্থা ১৭ বছর ধরা চলা ওই স্বৈরশাসনে বিচ্ছিন্ন হওয়া ব্যক্তিদের পুনঃসংযোগে সহায়তা করে। ফলে এর সহায়তায় একটি ডিএনএ ট্রেসিংয়ের মাধ্যমে থাইডেন তার পরিবারের সঙ্গে পুনঃসংযোগ করতে পেরেছেন।
নোস বুস্ক্যামোস এর প্রতিষ্ঠাতা কনস্টানজা ডেল রিও জানায়, আউগুস্তো পিনোচের স্বৈরশাসনের সময় শিশুদের মৃত ঘোষণা করার পর তাদের ১০ হাজার ডলার বা ১৫ হাজার ডলারে বিদেশিদের কাছে বিক্রি করা হতো।
Posted ৩:০২ পিএম | শুক্রবার, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩
| admin
এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।