| শনিবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৩ | প্রিন্ট | 42 বার পঠিত
প্রখ্যাত ভারতীয় ইতিহাসবিদ রণজিৎ গুহ মারা গেছেন। আজ শনিবার ভোরে অস্ট্রিয়ার ভিয়েনায় নিজ বাড়িতে শেষনিশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। এ সময় পাশে ছিলেন তাঁর জার্মান স্ত্রী মেখঠিল্ড।
রণজিৎ গুহের জন্ম বরিশালের বাখরগঞ্জের সিদ্ধকাঠি গ্রামে ১৯২৩ সালের ২৩ মে। দেশভাগের সময় পারিবারিকভাবে তিনি কলকাতায় চলে যান। তারপর কলকাতায় পড়াশোনা। রণজিৎ গুহ কলকাতার প্রেসিডেন্সি কলেজের ইতিহাস বিভাগের ছাত্র ছিলেন। ছাত্রাবস্থায় তিনি জড়িয়ে পড়েন বাম ছাত্র আন্দোলনের সঙ্গে। যোগও দিয়েছিলেন ভারতের কমিউনিস্ট পার্টিতে (সিপিআই)। ছিলেন সিপিআইয়ের সক্রিয় সদস্যও। ১৯৪৭ সালে তিনি প্যারিসে বিশ্ব ছাত্র সম্মেলনেও যোগ দিয়েছিলেন। বামপন্থী ছাত্রনেতা হিসেবে সাইবেরিয়া, উত্তর আফ্রিকা, চীন ও মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশ ঘুরেছেন।
১৯৫৬ সালে দেশে ফিরে এসে হাঙ্গেরিতে সোভিয়েত অনুপ্রবেশের বিরোধিতা করে দল ছাড়েন। ১৯৫৯ সালে ভারত ছেড়ে তিনি যুক্তরাষ্ট্রের ইউনিভার্সিটি অব সাসেক্সে শিক্ষকতায় যোগ দেন। পরে তিনি অস্ট্রেলিয়ার ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিতে অধ্যাপনায় যোগ দেন।
শেষ জীবন তিনি কাটান অস্ট্রিয়ায়। সেখানেই স্থায়ী বসবাস করতে থাকেন।
রণজিৎ গুহকে নিম্নবর্গের ইতিহাস চর্চার পথিকৃৎ বলা হয়। দীপেশ চক্রবর্তী, পার্থ চট্টোপাধ্যায়, জ্ঞানেন্দ্র পান্ডে, শাহিদ আমিন, গৌতম ভদ্র, গায়ত্রী স্পিভাক চক্রবর্তী প্রমুখ ব্যক্তিত্বরা এই প্রখ্যাত ইতিহাসবিদের সান্নিধ্যে এসে নিম্নবর্গের ইতিহাস চর্চায় ব্রতী হয়েছিলেন।
রণজিৎ গুহের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এক শোকবার্তায় মমতা বলেছেন, ‘প্রবাদপ্রতিম ঐতিহাসিক রণজিৎ গুহের মৃত্যুতে আমি আমার গভীরতম শোক প্রকাশ করছি। তিনি নিম্নবর্গীয় ইতিহাসচর্চার ধারা গড়ে তোলেন এবং বেশ কিছু সমমনোভাবাপন্ন তরুণ ঐতিহাসিককে নিয়ে একটি শক্তিশালী ঐতিহাসিক গোষ্ঠী গড়ে তোলেন। এই নিম্নবর্গীয় ইতিহাসচর্চার প্রভাব পড়ে সারা পৃথিবীয়। ঐতিহাসিক গুহ পৃথিবীর নানা জায়গায় পড়িয়েছেন, নানা জায়গায় তাঁর ছাত্র ও অনুরাগীরা আছে।’
Posted ৯:১৩ এএম | শনিবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৩
| admin
এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।