| রবিবার, ১৯ মার্চ ২০২৩ | প্রিন্ট | 33 বার পঠিত
প্রখ্যাত অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেনকে উচ্ছেদের নোটিশ দিয়েছে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ। রোববার (১৯ মার্চ) এ নোবেলজয়ীর শান্তিনিকেতনের ঠিকানায় চিঠিটি পাঠানো হয়।
’প্রতীচী’র ঠিকানায় পাঠানো ওই চিঠিতে বলা হয়েছে, আগামী ২৯ মার্চ অমর্ত্য সেন অথবা তার কোনো প্রতিনিধি যেন বিশ্বভারতীর সেন্ট্রাল অ্যাডমিশন ভবনের কনফারেন্স হলে উপস্থিত থাকেন। সেখানেই ওই ‘বিতর্কিত’ জমি নিয়ে শুনানি হবে।
পাঠানো নোটিশে দাবি করা হয়েছে, অমর্ত্য সেন বিশ্বভারতীয় ১৩ ডেসিমেল জমি ‘দখল’ করে রেখেছেন। তাই আইন মেনে তাকে কেন ওই জমি থেকে উচ্ছেদ করা হবে না, সেই প্রশ্ন রাখা হয়েছে।
শান্তিনিকেতনের এই জমি নিয়ে বিতর্ক বেশ পুরনো। কিছুদিন আগে অমর্ত্য সেন যখন শান্তিনিকেতনে ছিলেন, সে সময়েই তাকে একটি চিঠি পাঠায় বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ। তাতে বলা হয়, দ্রুত সময়ের মধ্যে ১৩ ডেসিমেল জমি বিশ্ববিদ্যালয়কে ফেরত দিতে হবে। ওই নোটিশ ঘিরে জোরাল হয় বিতর্ক।
তবে অমর্ত্য সেনের পাল্টা দাবি, ওই বাড়ির জমির একটা অংশ বিশ্বভারতীর কাছ থেকে লিজ নেয়া। আর কিছুটা জমি কেনা। এখন মিথ্যা বলছে কর্তৃপক্ষ।
এর মধ্যে শান্তিনিকেতনে গিয়ে অমর্ত্য সেনের সঙ্গে দেখা করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অর্থনীতিবিদের হাতে জমি সংক্রান্ত কাগজপত্র তুলে দেন তিনি। নিজেই জমির রেকর্ড রাখার অফিসে (বিএলআরও) গিয়েছিলেন মমতা।
এরপর বিশ্বভারতীর উপাচার্যকে তোপ দেগে মমতা বলেন, ‘এভাবে মানুষকে অপমান করা যায় না।’ হুঁশিয়ারি দেন আইনি ব্যবস্থা নেয়ারও।
সম্প্রতি তার বাবা আশুতোষ সেনের পরিবর্তে জমির লিজহোল্ডার হিসেবে নিজের নাম নথিভুক্ত করার জন্য আবেদন করেছিলেন অমর্ত্য সেন। বোলপুর ভূমি ও ভূমিসংস্কার দফতরে তার শুনানি ছিল। সেখানে উপস্থিত ছিলেন অমর্ত্য সেন এবং বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনজীবীরা। কিন্তু দীর্ঘ সওয়াল-জবাবের পরেও তার মীমাংসা হয়নি।
Posted ২:৩৯ পিএম | রবিবার, ১৯ মার্চ ২০২৩
| admin
এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।