| রবিবার, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২২ | প্রিন্ট | 117 বার পঠিত
১ মার্চ ২০০৩ তারিখে ভোরের কয়েকঘন্টা আগে, যুক্তরাষ্ট্র ১১ সেপ্টেম্বরের হামলা পরিকল্পনাকারীদের বিরুদ্ধে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ জয় অর্জন করে। সেদিন তারা খালিদ শেখ মোহাম্মেদকে আটক করে। আটকের সময়ে শেখ মোহাম্মেদ বেশ বিধ্বস্ত অবস্থায় ছিল। তাকে পাকিস্তানের রাওয়ালপিন্ডির এক গোপন আস্তানা থেকে গোয়েন্দা কর্মকর্তারা ধরে নিয়ে যায়।
আল-কায়েদার তৃতীয় সর্বোচ্চ এই নেতাকে ধরতে বিশ্বব্যাপী অভিযানটি ১৮ মাস স্থায়ী হয়েছিল। তবে, আইনের দৃষ্টিতে তাকে বিচারের সম্মুখীন করতে তার চেয়ে অনেক বেশি সময় লাগছে। সমালোচকরা বলছেন এটি সন্ত্রাসবিরোধী যুদ্ধের সবচেয়ে বড় ব্যর্থতাগুলোর একটি হয়ে উঠেছে।
রবিবার যখন ঐ সন্ত্রাসী হামলার ২১তম বার্ষিকী এসে উপস্থিত হয়েছে, তখন ৯/১১ সংশ্লিষ্ট অপরাধের দায়ে অভিযুক্ত মোহাম্মেদ ও অপর চার ব্যক্তি, গুয়ানতানামো বে-তে অবস্থিত যুক্তরাষ্ট্রের আটককেন্দ্রে রয়েছেন। এক সামরিক আদালতে তাদের পরিকল্পিত বিচারটি দীর্ঘ সময় ধরে স্থগিত হয়ে আছে।
বিচার প্রক্রিয়ায় সর্বশেষ বাধাটি গতমাসে আসে, যখন হেমন্তের শুরুর দিকের জন্য নির্ধারিত শুনানিটি বাতিল করা হয়। ৯/১১ হামলার শিকার প্রায় ৩,০০০ ব্যক্তির আত্মীয়দের জন্য এটি হতাশার ধারাবাহিকতায় আরও একটি বিলম্ব যোগ করে। তারা অনেকদিন ধরেই আশা করে রয়েছেন যে, একটি বিচার তাদেরকে মানসিক শান্তি দিবে এবং হয়ত কিছু প্রশ্নের উত্তর এনে দিতে পারবে।
গর্ডন হাবেরম্যান বলেন, “এখন, আমি নিশ্চিত নই যে আর কি হবে।” ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারে হাবেরম্যানের ২৫ বছর বয়সী কন্যা অ্যান্ড্রিয়া’র অফিসের এক তলা উপরে একটি বিমান আছড়ে পড়লে তার মৃত্যু হয়।
বিচারপ্রক্রিয়াটি স্বচক্ষে প্রত্যক্ষ করতে, হাবেরম্যান উইসকনসিন অঙ্গরাজ্যের ওয়েস্ট বেন্ড-এ অবস্থিত তার বাসা থেকে চারবার গুয়ানতানামোতে সফর করেন। তবে প্রতিবারই তার ভাগ্যে শুধু হতাশাই জোটে।
তিনি বলেন, “এটি আমার কাছে গুরুত্বপূর্ণ যে, যা ঘটেছিল, যেভাবে ঘটানো হয়েছিল, আমেরিকা অবশেষে সেটির সত্য উদঘাটন করবে।”
বিচারে দোষী সাব্যস্ত হলে শেখ মোহাম্মেদ-এর মৃত্যুদণ্ড হতে পারে।
Posted ৭:৩০ পিএম | রবিবার, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২২
| admin
এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।