| সোমবার, ২০ জুন ২০২২ | প্রিন্ট | 121 বার পঠিত
বন্যা মোকাবিলায় সহজ যোগাযোগের ক্ষেত্রে পদ্মা সেতু জাতির জন্য আশীর্বাদ হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
রোববার সকালে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের শাপলা হলে এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। আন্তর্জাতিক ক্রীড়াঙ্গনে দেশের খ্যাতি অর্জনকারী ক্রীড়াবিদদের মধ্যে সম্মানের চেক বিতরণের জন্য এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘আগামী ২৫শে জুন আমরা পদ্মা সেতু উদ্বোধন করব। এই উদ্বোধনের পর এটাও (পদ্মা সেতু) আল্লাহর রহমত হবে। কারণ, আমরা দক্ষিণের সঙ্গে যোগাযোগ রাখতে পারব। ‘
পদ্মা সেতুর বহুল প্রতীক্ষিত উদ্বোধনের কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আমি মনে করি, আমরা এমন একটা সময়ে পদ্মা সেতু উদ্বোধন করতে যাচ্ছি যখন বন্যা শুরু হয়েছে। এই বন্যা দক্ষিণেও যাবে। সেই সময় আমরা পদ্মা সেতুর উদ্বোধন করতে যাচ্ছি। পণ্য পরিবহন, বন্যা মোকাবেলা, বন্যার সময় মানুষের পাশে দাঁড়ানোর, তাদের সাহায্য করার একটি দুর্দান্ত সুযোগ রয়েছে।বন্যা দুর্গতদের ত্রাণ দেওয়া হলে ওষুধ ও খাবার সরবরাহ করা সহজ হবে।’
১৯৮৬ সালের বন্যায় গোপালগঞ্জে আটকে পড়ার কথা স্মরণ করে শেখ হাসিনা বলেন, এমন পদ্মা সেতু হলে সেখানে সহজে যাওয়া সম্ভব হতো।
১৯৯৬ সালে বাংলাদেশের সবচেয়ে ভয়াবহ ও দীর্ঘস্থায়ী বন্যার কথা স্মরণ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আমরা সেই বন্যার ঠিক আগে যমুনা নদীর উপর বঙ্গবন্ধু সেতু উদ্বোধন করেছিলাম। এবং আমি সেটা করেছিলাম বলেই উত্তরবঙ্গ থেকে পণ্য পরিবহনসহ সব কাজ সহজতর হয়।” .’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, সে সময় বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রচারণা ছিল যে বন্যায় প্রায় দুই কোটি মানুষ অনাহারে মারা যাবে। কিন্তু তার সরকার বলেছিল যে তারা না খেয়ে একজনকেও মরতে দেবে না। এবং সেটা সম্ভব হয়েছিল। সেই সেতুটি (বঙ্গবন্ধু সেতু) তখন অনেক কাজে লেগেছিল।
খেলাধুলার প্রসারের মাধ্যমে দেশে বিশ্বমানের ক্রীড়াবিদদের উন্নয়নে সরকার সহায়তা অব্যাহত রাখবে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বন্যারও মোকাবিলা করব সাথে আমরা খেলাধুলাও করব। সবকিছু আমাদের জন্য কাজ করবে. এই আমাদের জীবন. এটাই আমাদের মেনে নিতে হবে। এটা বাস্তব. বাস্তবতার সাথে তাল মিলিয়ে চলতে হবে। বিশ্ব সমাবেশে আমরা মাথা উঁচু করে রাখব। ‘
সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে সাফ-২০২১ চ্যাম্পিয়ন মহিলা অনূর্ধ্ব-১৯ জাতীয় ফুটবল দলের ৩৩ জন সদস্যসহ মোট ৭ জন ক্রীড়াবিদকে আর্থিক সম্মাননা প্রদান করা হয়। অবশিষ্ট খেলোয়াড়দের মধ্যে মুজিব বর্ষ ফিফা আন্তর্জাতিক ফুটবল সিরিজ ২০২০-এর ৩৩ জন বিজয়ী এবং বঙ্গবন্ধু ফোর নেশনস ফিজিক্যালি চ্যালেঞ্জড ক্রিকেট টুর্নামেন্ট ২০২২-এর ২২ জন বিজয়ী।
অনুষ্ঠানে সাফ-২০২১ চ্যাম্পিয়ন মহিলা অনূর্ধ্ব-১৯ জাতীয় ফুটবল দলের অধিনায়ক মারিয়া মান্ডা, খেলোয়াড় মনিকা চাকমা, প্রধান কোচ গোলাম রব্বানী ছোটন, বাংলাদেশ শারীরিক প্রতিবন্ধী ক্রিকেট দলের অধিনায়ক ফয়সাল খান এবং বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলের অধিনায়ক জামাল ভূঁইয়া আর্থিক অনুদানের চেক তুলে দেন।
অনুষ্ঠানের শুরুতে তিন শ্রেণীর ক্রীড়া দল নিয়ে একটি ভিডিও ডকুমেন্টারি দেখানো হয়। যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী মো. জাহিদ আহসান রাসেল, বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন, মহিলা অনূর্ধ্ব-১৯ জাতীয় ফুটবল দলের অধিনায়ক মারিয়া মান্ডা, বাংলাদেশ শারীরিক প্রতিবন্ধী ক্রিকেট দলের অধিনায়ক ফয়সাল খান অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন। স্বাগত বক্তব্য দেন যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. নজরুল ইসলাম।
Posted ৫:০৫ এএম | সোমবার, ২০ জুন ২০২২
| admin
এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।