| মঙ্গলবার, ২৫ অক্টোবর ২০২২ | প্রিন্ট | 135 বার পঠিত
অর্গানাইজেশন অফ এশিয়া-প্যাসিফিক নিউজ এজেন্সি বা (ওএএনএ)র ১৮তম সাধারণ অধিবেশন সোমবার তেহরানে শুরু হয়েছে।
দুই দিনব্যাপী তেহরানে অনুষ্ঠিত ১৮তম ওএএনএ’র বৈঠকে ৩৫টি সদস্য দেশের ৬০ জন প্রেসিডেন্ট এবং সিনিয়র ম্যানেজার উপস্থিত রয়েছেন।
এর আগে সিউলে অনুষ্ঠিত এশিয়া-প্যাসিফিক নিউজ অর্গানাইজেশনের ১৭তম সাধারণ অধিবেশনে তেহরানে ১৮তম রাউন্ডের বৈঠকে সভাপতিত্ব করার জন্য সদস্য দেশগুলো ইরানের পক্ষে ভোট দেয়।
এই অঞ্চলের দেশগুলোর মধ্যে তথ্য সহজতর করার লক্ষ্যে জাতিসংঘের শিক্ষা, বৈজ্ঞানিক ও সাংস্কৃতিক সংস্থা বা ইউনেসকোর সহায়তায় অর্গানাইজেশন অফ এশিয়া-প্যাসিফিক নিউজ এজেন্সির যা সংক্ষেপে ওএএনএ’ নামে পরিচিত সদস্য দেশগুলোর সাধারণ অধিবেশনে ২২ ডিসেম্বর ১৯৬১ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। তথ্যের একতরফা প্রবাহের বিরুদ্ধে ভারসাম্য তৈরি করা এবং গণমাধ্যম এবং সংবাদের ক্ষেত্রে একতরফা নীতি প্রতিরোধ করাই এ সংস্থার অন্যতম লক্ষ্য।
বর্তমানে গণমাধ্যমের বিভিন্ন কাজ যেমন সচেতনতা ও তথ্য, সামাজিক সংহতি ও সম্পৃক্ততা তৈরি করা, ক্ষমতা কাঠামোর কার্যকারিতা পর্যবেক্ষণ করা এবং সামাজিক ব্যবস্থায় জনসাধারণের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা এবং জনসাধারণকে বিভিন্ন কাজে অংশ নেয়ার তাদের জন্য প্রয়োজনীয় ভিত্তি তৈরি করার ক্ষেত্রে মিডিয়া একটি বিশিষ্ট স্থান করে নিয়েছে।
ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরানের প্রেসিডেন্ট সাইয়্যেদ ইব্রাহিম রাইসি আজ মঙ্গলবার ওএএনএ-এর সদস্যভুক্ত আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলোর সিনিয়র ম্যানেজারদের সমাবেশে গণমাধ্যমগুলোর ভূমিকা ও তাদের লক্ষ্য উদ্দেশ্যের কথা উল্লেখ করে বলেছেন: মিডিয়ার লক্ষ্য হল এ অঞ্চলের দেশগুলোর স্বাধীনতা এবং পরিচিতিকে সংরক্ষণ করা। একইসঙ্গে তিনি বলেন যে আজ আমরা তথ্য ও যোগাযোগের যে বিশ্বে বাস করছি সেখানে জাতিসমূহের সংস্কৃতির উপর বিশেষ করে স্বাধীন জাতির উপর অনেক আক্রমণ হয়েছে। তিনি আরো বলেন: শত্রুরা দেশগুলোকে তাদের পরিচয় থেকে বঞ্চিত করতে চায় যাতে পৃথিবীতে এবং এ অঞ্চলে কোনো স্বাধীন দেশের অস্তিত্ব না থাকে।
এতে কোন সন্দেহ নেই যে সংবাদ মাধ্যম যেমন সংবাদপত্র, রেডিও, টেলিভিশন, ইন্টারনেট এবং বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগগুলো সমাজের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান হিসাবে জনগণের দৃষ্টিভঙ্গি এবং তাদের জীবন যাত্রার ওপর প্রভাব বিস্তার করার পাশাপাশি মানুষের জন্য একটি নির্দিষ্ট রাজনৈতিক ও সামাজিক পটভূমি তৈরি করতে মুখ্য ভূমিকা পালন করছে। মূলত এশিয়া-প্যাসিফিক নিউজ অর্গানাইজেশনের সাধারণ পরিষদের আয়োজন বিশ্বব্যাপী চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন দেশগুলির মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক উন্নয়নের পাশাপাশি যোগাযোগ এবং পারস্পরিক সংলাপ আদান প্রদান করতে সহায়তা করতে পারে। প্রকৃতপক্ষে এশিয়ার গণমাধ্যমগুলোর মধ্যে দ্বিপাক্ষিক এবং বহুপাক্ষিক সহযোগিতা জোরদারের মাধ্যমে পাশ্চাত্যের গণমাধ্যমগুলোর একচেটিয়া আধিপত্য ও প্রপাগান্ডা ব্যর্থতায় পর্যবষিত হতে পারে।
তেহরানের বৈঠকে ইরানের সংস্কৃতি ও ইসলামিক দিকনির্দেশনা বিষয়কমন্ত্রী মোহাম্মদ মেহেদি ইসমাইলি সদস্য দেশ ও জাতির মধ্যে গণমাধ্যমের ক্ষেত্রে পেশাদারিত্বের অভিজ্ঞতা সম্প্রসারণ একটি সুযোগ হতে পারে বলে উল্লেখ করে বলেন, বিশ্বের অর্ধেকেরও বেশি অর্থনৈতিক শক্তির অধিকারী এই ফোরামের সদস্য দেশগুলো তাদের গণমাধ্যমের ক্ষমতা বাড়িয়ে এক্ষেত্রে বিশ্বে একচ্ছত্র আদিপত্যের অবসান ঘটাতে পারে।
Posted ৭:০২ পিএম | মঙ্গলবার, ২৫ অক্টোবর ২০২২
| admin
এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।