| মঙ্গলবার, ২৫ অক্টোবর ২০২২ | প্রিন্ট | 108 বার পঠিত
ভারতের পশ্চিমবঙ্গ সরকার রাজ্যে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে চাচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন বিশিষ্ট আইনজীবী ও সিপিএম নেতা বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য এমপি। রাজ্য শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগ এবং কোলকাতায় চাকরি প্রার্থীদের ৫৯০ দিন ধরে একটানা ধর্না-অবস্থান কর্মসূচি প্রসঙ্গে তিনি আজ (মঙ্গলবার) ওই মন্তব্য করেন।
বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য এমপি বলেন, ‘একটা অমানবিক সরকার যখন ক্ষমতায় থাকে, সেই ক্ষমতায় যারা আছেন তাদের কর্ম প্রক্রিয়া যখন দুর্নীতি ও অগণতান্ত্রিক হয়, তখন তারা মানুষের বেদনা বুঝতে চান না। তারা যেভাবেই হোক ক্ষমতা আঁকড়ে থাকতে চান। এতদিন ধরে ছেলে-মেয়েগুলো সেখানে আছে, কোনো দায়িত্বশীল ব্যক্তি সরকারের পক্ষ থেকে যাকে তারা ভরসা করতে পারে এরকম কেউ এসে তাদের সঙ্গে কথা বলছেন না, তাদের দাবির যৌক্তিকতা বোঝার চেষ্টা করছেন না। আইনি সমাধান সম্পর্কে কোনো আলোচনা করছেন না। এটা খুব অদ্ভূত পরিস্থিতি! এরকম পরিস্থিতি থেকে তৈরি হয় নৈরাজ্য ও বিশৃঙ্খলা। এই সরকার চাচ্ছে যেভাবেই হোক রাজ্যে একটা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে, টিকিয়ে রাখতে। তারি পরিণতি হচ্ছে এটা।’
অন্যদিকে, বিজেপির সর্বভারতীয় সহসভাপতি দিলীপ ঘোষ এমপি আজ বলেন, খুবই দুঃখের বিষয়। এবারের পুজোর পুরো পরিবেশটা সবার মনে কাঁটা হয়ে ছিল ওই যারা চাকরি প্রার্থী ধর্না দিচ্ছেন। তারা এই ঝড়-বৃষ্টির মধ্যে রোদে, ঠান্ডায় রাস্তার ধারে বসে আছেন। এর সমাধান না হলে এরকম আরও সমস্যা আসবে এবং পশ্চিমবঙ্গে কী করে শান্তি আসবে? মানুষের মনে কী করে সুখ শান্তি আসবে?’
অন্যদিকে, তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক ও মুখপাত্র কুণাল ঘোষ পাল্টা জবাবে বলেছেন, ‘বিজেপিকে বলতে হবে ত্রিপুরায় ১০ হাজার ৩২৩ জন শিক্ষকের চাকরি চলে গেছে এই শিক্ষক দুর্নীতি নিয়ে। বাম আমলের দুর্নীতি, কোর্টের রায়, চাকরি চলে গেল, ছাঁটাই করল বিজেপি। তাদের আন্দোলনে সেখানে কাঁদানে গ্যাস, জল কামান, লাঠিচার্জ ও গ্রেফতার হল। আর এখানে তারা শিক্ষক দরদি সেজে বসে থাকবেন, এই দ্বিমুখী রাজনীতি হতে পারে না।’
রাজ্যে শিক্ষকতার চাকরি প্রার্থীরা বিগত একটা ৫৯০ দিন ধরে কোলকাতায় ধর্না-অবস্থান কর্মসূচির মধ্য দিয়ে নিয়োগের দাবি জানাচ্ছেন। এনিয়ে রাজনৈতিক ও সামাজিক মহলে আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে।
Posted ৭:১২ পিএম | মঙ্গলবার, ২৫ অক্টোবর ২০২২
| admin
এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।