মঙ্গলবার ১৮ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ৫ই ফাল্গুন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ইউএসএ থেকে প্রকাশিত অনলাইন নিউজ পোর্টাল
সংবাদ এবং তথ্যে আপনার প্রয়োজন মেটাতে

এই গ্রীষ্মে তাপপ্রবাহ অতীতের রেকর্ড ভাঙবে

  |   শুক্রবার, ০৩ মার্চ ২০২৩   |   প্রিন্ট   |   23 বার পঠিত

এই গ্রীষ্মে তাপপ্রবাহ অতীতের রেকর্ড ভাঙবে

ভূ-মণ্ডলীয় উষ্ণতা বৃদ্ধির প্রভাবের সঙ্গে এল-নিনোর দাপটে আসন্ন গ্রীষ্ম মৌসুমে বাংলাদেশ রেকর্ড তাপপ্রবাহের কবলে পড়বে বলে আশঙ্কা করছেন ইন্টারন্যাশনাল সেন্টার ফর ক্লাইমেট চেঞ্জ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের একদল বিশেষজ্ঞ। সামনে আসছে অসহনীয় গরমের দহন জ্বালা। প্রচণ্ড তাপপ্রবাহে অস্থির হয়ে পড়তে পারে জনজীবন। এখন ভরা বসন্তে নাতিশীতোষ্ণ আবহাওয়া মুছে গিয়ে তাপমাত্রার পারদ চড়ছে প্রতিদিন। শীত ও গ্রীষ্মের মধ্যে বসন্তের দেখাই নেই। গতকাল বৃহস্পতিবার কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে দেশের সর্বোচ্চ প্রায় ৩৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা  রেকর্ড করা হয়েছে। ঢাকায় ৩৪ দশমিক ১।

জাতিসংঘের বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থা (ডব্লিউএমও) বলছে, গত ১০ মাসে বায়ুমণ্ডলের গড় তাপমাত্রা দীর্ঘমেয়াদি গড়ের চেয়ে শূন্য দশমিক ৫৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি। জলবায়ুর পরিবর্তন হচ্ছে এবং বৈশ্বিক উষ্ণতা কোনো নিশ্চল অবস্থায় নেই। এ ধারা অব্যাহত থাকলে বার্ষিক গড় তাপমাত্রা অতীতের রেকর্ড ছাড়িয়ে যাবে।

বিশেষজ্ঞদের মতে, প্রশান্ত মহাসাগরের এল-নিনোর প্রভাবে জলতলের তাপমাত্রাও বেড়ে গেছে। ফলে ভারত মহাসাগর, আরব সাগর ও বঙ্গোপসাগরে জলীয় বাষ্পের জোগানে টান পড়েছে।

গতকাল আবহাওয়া অধিদপ্তরের দেওয়া এ মাসের দীর্ঘমেয়াদি পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, তাপমাত্রা এখন বাড়তেই থাকবে। তাপমাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি থাকতে পারে। এ মাসের শেষের দিকে দেশের পশ্চিম ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ওপর দিয়ে দুই/তিনটি মৃদু (৩৬-৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস) বা মাঝারি (৩৮-৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস) ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে। দুই থেকে তিনটি মাঝারি আকারের এবং এক থেকে দুটি তীব্র কালবৈশাখী আঘাত হানতে পারে।

আবহাওয়াবিদগণ পূর্বাভাস দিয়ে বলছেন, এপ্রিল মাসে তীব্র তাপপ্রবাহ, সামুদ্রিক ঘূর্ণিঝড় আর কালবৈশাখী ও বজ্রঝড়ের দাপট থাকবে। এপ্রিল মাসটি বাংলাদেশের জন্য এক ঝঞ্ঝাবিক্ষুব্ধ সময় হয়ে আসছে। তাপমাত্রার তীব্রতা এপ্রিলে চরমভাবাপন্ন থাকতে পারে, বিশেষ করে দেশের উত্তর ও উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে। ঐ অঞ্চলে একটি তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে; যার তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছাড়িয়ে যেতে পারে। বৈশ্বিক উষ্ণায়নের ফলে জলবায়ুর বিরূপ প্রতিক্রিয়া বাংলাদেশের ওপর বেশ কয়েক বছর ধরে দেখা যাচ্ছে। গত আট বছর ধরে এল-নিনোর প্রভাবে প্রতিবছরই প্রকৃতির বিরূপ আচরণের মুখোমুখি হতে হচ্ছে বাংলাদেশকে। গত বছরও দেশ দেখেছে প্রকৃতির বৈরী আচরণ।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের সাবেক পরিচালক সামসুদ্দিন আহমেদ এ প্রসঙ্গে বলেন, আবহাওয়ার তারতম্য ঘটছে। উষ্ণতার হার ব্যাপকভাবে বাড়ছে। আবার শীতও অনুশাসন মানছে না। বর্তমান পরিচালক মো. আজিজুর রহমান বলেন, তাপমাত্রা অব্যাহতভাবে বাড়তে পারে। এ মাসে দিন ও রাতের তাপমাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি থাকতে পারে। ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি সময় থেকে তাপমাত্রা বাড়ছে। মার্চে তাপমাত্রা গত বছরের মার্চ মাসের চেয়ে বেশি হতে পারে।

Facebook Comments Box

Posted ৩:২২ এএম | শুক্রবার, ০৩ মার্চ ২০২৩

|

এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

ইউএসএ থেকে প্রকাশিত অনলাইন নিউজ পোর্টাল সংবাদ এবং তথ্যে আপনার প্রয়োজন মেটাতে

NSM Moyeenul Hasan Sajal

Editor & Publisher
Phone: +1(347)6598410
Email: protidinkar@gmail.com, editor@protidinkar.com

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।