| মঙ্গলবার, ২৪ জানুয়ারি ২০২৩ | প্রিন্ট | 33 বার পঠিত
অপেক্ষার প্রহর ঘুচিয়ে আগামী ২ ফেব্রুয়ারি নির্মানকাজের উদ্বোধন হতে চলেছে দেশের প্রথম পাতাল মেট্রোরেলেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ওইদিন সশরীরে নির্মাণকাজের ফলক উন্মোচন করবেন বলে জানিয়েছে মেট্রোরেল নির্মাণ কর্তিৃপক্ষ। প্রাথমিকভাবে ২৬ জানুয়ারি পাতাল মেট্রোরেলের কাজ শুরু হওয়ার কথা থাকলেও তা পরিবর্তন হয়েছে। বিমানবন্দর থেকে কুড়িল, নদ্দা, বাড্ডা ছুঁয়ে কমলাপুর পর্যন্ত ছুটবে দেশের প্রথম পাতাল মেট্রোরেল।
ঢাকা ম্যাস র্যাপিড ট্রানজিট ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্টের (লাইন-১) আ্রওতায় পাতাল রেললাইন নির্মান করা হবে। প্রকল্পের আওতায় থেকে রুপঞ্জের পিতলগঞ্জ ডিপো নির্মাণের মাধ্যমে প্রাথমিককাজ শুরু হবে। প্রকল্প পরিচালক (অতিরিক্ত দায়িত্ব) মো. আবুল কাসেম ভূঁঞা এ তথ্য জানিয়েছেন।
২০৩০ সালের মধ্যে রাজধানী ঢাকার গণপরিবহন ব্যবস্থা শক্তিশালী করার লক্ষ্যে ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোস্পানি লিমিটেড (ডিএমসিএল) অধীনে ছয়টি মেট্রোরেল (এমআরটি) নির্মাণকাজ এগিয়ে চলছে। যাতে রাজধানীজুড়ে ১২৯ দশমিক ৯০১ কিলোমিটার মেট্রো রেললাইন নির্মান করা হবে। এর মধ্যে এলিভেটেড লাইন হবে ৬৮ দশমিক ৭২৯ কিলোমিটার এবং ভূ-গর্ভস্থ লাইন (পাতালপথে রেললাইন০ হবে ৬১ দশমিক ১৭২ কিলোমিটার। রাজধনীজুড়ে থাকবে ১০৫টি স্টেশন। যার মধ্যে ৫২টি থাকবে উপরে এবং ৫৩টি পাতালে। এ পরিকল্পনা বাস্তবে রুপ দিতেই শুরু হচ্ছে অবকাঠামো নির্মাণ কাজ। বিমানবন্দর থেকে কমলাপুর পর্যন্ত ২০ কিলোমিটার রেললাইন মাটির নিচে নির্মিত হবে। এটিই মেট্রোরেলের প্রথম পাতাল যাত্রা। মেট্রোরেলের এ অংশ মাটির নিচ দিয়ে চলবে বলে পাতাল রেল নামে পরিচিতি পাচ্ছে।
প্রকল্প বাস্তবায়নকারী সংস্থা জিএমটিসিএল বলছে- এ পর্বে এমআরটি লাইন-১ আওতায় পাতাল ও উড়ালপথসহ ৩১ দশমিক ২৪১ কিলোমিটার মেট্রোরেল লাইন নির্মাণ করা হবে। এ পথে থাকবে দুটি রুট। একটি বিমানবন্দর থেকে কমলাপুর পর্যন্ত, যার দৈর্ঘ্য হবে ২০ কিলোমিটার। এ রুটে ১২টি পাতাল স্টেশন থাকবে। বিমানবন্দর-কমলাপুর রুটই তবে দেশের প্রথম পাতাল রেলপথ। এটিও উত্তরা-আগারগাঁও রুটে চলাচলকারী মেট্রোরেলের আদলে বিদ্যুতে চলবে। নিয়ন্ত্রন করা যাবে দূর থেকেই।
আর দ্বিতীয়টি হবে নতুন বাজার থেকে পিতলগঞ্জ ডিপো পর্যন্ত। যাকে পূর্বাচল রুট বলা হবে। দ্বিতীয় অংশের দৈর্ঘ্য ১১ কিলোমিটার। এর পুরোটাই উড়ালপথ। এ পথে স্টেশনের সংখ্যা ৯টি। পাতাল-উড়াল মিলিয়ে প্রতিটি স্টেশনে ট্রেন থামবে প্রতি আড়াই থেকে সাড়ে তিন মিনিট পরপর। এই ৩১ কিলোমিটার পথে চলবে ২৫টি ট্রেন। যার প্রতিটিতে একবারে তিন হাজারের বেশি যাত্রী পরিবহণের সক্ষমতা থাকবে।
পাতালপথে কমলপুর, রাজারবাগ, মালিবাগ, হাতিরঝিল, রামপুরা, পূর্ব হাতিরঝিল, বাড্ডা, উত্তর বাড্ডা, নতুন বাজার, নদ্দা, ক্ষিলক্ষেত, বিমানবন্দর টার্মিনাল-৩ ও বিমানবন্দরে স্টেশন থাকবে।প্ল্যাটফর্মে ওঠা-নামার জন্য উভয়পথের স্টেশনে থাকবে লিফট, সিঁড়ি ও এস্কেলেটর। তথ্যানুযায়ী নতুন বাজার স্টেশনে এমআরটি লাইন-৫ নর্দান রুটের সঙ্গে আন্তঃলাইন সংযোগ থাকবে। নদ্দা ও নতুন বাজার স্টেশন আন্তঃসংযোগ রুট ব্যবহার করে বিমানবন্দর রুট থেকে পূর্বাচলে যাওয়া যাবে।
Posted ২:৪৩ এএম | মঙ্গলবার, ২৪ জানুয়ারি ২০২৩
| admin
এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।