ডেস্ক রিপোর্ট | মঙ্গলবার, ২১ মে ২০২৪ | প্রিন্ট | 56 বার পঠিত
ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসির মৃত্যুতে দেশটিতে গভীর শোকের ছায়া নেমে এসেছে। দেশটির ক্ষমতার সর্বোচ্চ পর্যায়ের খুব কাছাকাছি ছিলেন রাইসি। সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনির উত্তরসূরি তিনিই হবেন এমনটাও প্রবলভাবে মনে করা হচ্ছিল। তবে একটি নাটকীয় মোড় সব হিসাবনিকাশই যেন পাল্টে দিলো। খবর বিবিসির।
রাইসিকে একজন কট্টরপন্থী ধর্মীয় নেতা হিসেবেই বিবেচনা করা হতো। এ কারণে তিনি সরকার-বিরোধী ব্যাপক বিক্ষোভের মুখেও পড়েছেন। বিশ্বের শক্তিধর দেশগুলোর সঙ্গে পারমাণবিক আলোচনায় তিনি কঠোর চাপ সৃষ্টি করেছিলেন।
অনেকে মনে করেন, তিনি ইরানের সর্বোচ্চ নেতা হিসেবে আয়াতুল্লাহ আলী খামেনির উত্তরসূরি হওয়ার জন্য নিজেকে তৈরি করছিলেন। ২০১৯ সালে সর্বোচ্চ নেতা তাকে বিচার বিভাগের প্রধানের শক্তিশালী পদে নিযুক্ত করেন। বিশেষজ্ঞদের অ্যাসেম্বলির ডেপুটি চেয়ারম্যান হিসেবেও নির্বাচিত হন প্রেসিডেন্ট রাইসি। ইরানে ৮৮ সদস্যের এই বোর্ড দেশটির পরবর্তী সর্বোচ্চ নেতা নির্বাচন করে থাকে।
ইরানের কট্টরপন্থী প্রেসিডেন্টের এই করুণ পরিণতিতে সে দেশের নীতি অথবা ইসলামি প্রজাতন্ত্রে কোনো গুরুতর ঝাঁকুনি দিবে তেমনটা মনে করা হচ্ছে না। তবে এই ঘটনা এমন একটা ব্যবস্থাকে পরীক্ষায় ফেলবে যেখানে রক্ষণশীল কট্টরপন্থীরা (নির্বাচিত হোক বা অনির্বাচিত হোক) ক্ষমতার সবক্ষেত্রেই আধিপত্য বিস্তার করে।
চ্যাথাম হাউস থিংক ট্যাংকের মধ্যপ্রাচ্য ও উত্তর আফ্রিকা কর্মসূচির পরিচালক ড. সানাম ভাকিল বলেন, এই ব্যবস্থা তার (ইব্রাহিম রাইসির) মৃত্যুকে ব্যাপকভাবে প্রদর্শন করবে এবং তার কার্যকারিতা দেখানোর জন্য সাংবিধানিক পদ্ধতি মেনে চলবে। এর পাশাপাশি এমন একজনেরও খোঁজ চালানো হবে যিনি খামেনির প্রতি আনুগত্য দেখাবেন এবং একইসঙ্গে রক্ষণশীল ঐক্য বজায় রাখতে পারবেন।
১৯৮০’র দশকে রাজনৈতিক বন্দীদের যেভাবে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে তাতে রাইসির ভূমিকা নিয়ে বহু ইরানি এবং মানবাধিকার কর্মীরা উদ্বেগ প্রকাশ করেন। যদিও ইরান কখনো এই গণ-মৃত্যুদণ্ডের কথা স্বীকার করেনি এবং এতে রাইসির ভূমিকা নিয়ে যেসব অভিযোগ তোলা হয়েছে সে বিষয়ে তিনি কখনো কিছু বলেননি। ফলে তার প্রস্থানকে বিরোধীরা স্বাগত জানাবে বলেই মনে হচ্ছে।
Posted ৮:১২ এএম | মঙ্গলবার, ২১ মে ২০২৪
এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।