বিনোদন ডেস্ক | রবিবার, ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ | প্রিন্ট | 53 বার পঠিত
দর্শকের ভালোবাসা, সমালোচকদের প্রশংসা সবই নিজের করে নিয়েছেন অভিনেত্রী জয়া আহসান। হয়ে উঠেছেন ঢালিউডের সঙ্গে টলিউডের ইর্ষণীয় অভিনেত্রী। গেল বছর পাড়ি জমিয়েছেন বলিউডে। মুক্তি পেয়েছে তার অভিনীত প্রথম হিন্দি সিনেমা ‘কড়ক সিং’। গত ৯ ফেব্রুয়ারি দুই দেশে মুক্তি পেয়েছেন ‘পেয়ারার সুবাস’ ও ‘ভূতপরী’। এই দুই সিনেমা ও অন্যান্য প্রসঙ্গে তিনি কথা বলেছেন সঙ্গে।
প্রথমবারের মতো একই সঙ্গে দুই বাংলায় আপনার অভিনীত দুটি ছবি মুক্তি পেলো। ছবিগুলো নিয়ে দর্শকের প্রতিক্রিয়া পাওয়ার সুযোগ হয়েছিল?
এটা সত্যি যে, সরাসরি দর্শকদের মন্তব্য নেওয়ার সুযোগ হয়নি। তারপরও দুটি ছবির জন্য দুই দেশের বেশ কয়েকটি পেক্ষাগৃহে ঘুরেছি, অনেকের সঙ্গে কথা বলেছি। তাদের প্রায় সবারই সিনেমা দুটি ভালো লেগেছে বলে জানিয়েছেন। এছাড়াও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছবি দুটি নিয়ে অনেকেই ইতিবাচক মন্তব্য করছেন। আমি যেমন ভেবেছিলাম তার চেয়ে অনেক বেশি দর্শকদের আগ্রহ দেখতে পাচ্ছি। দর্শকের ভালোবাসায় মুগ্ধ হয়েছি। কারণ দুটি কন্টেন্টই ভালো। ‘পেয়ারার সুবাস’ সিনেমার মাধ্যমে নির্মাতা ভিন্ন এক গল্প বলতে চেয়েছেন। এতদিন আমরা বলে এসেছি ছবিটি শুধু সংবেদনশীল মানুষের জন্য। আসলে তা নয়। বলতে পারেন, এটা সব ধরণের মানুষের জন্য। যে গল্প নিয়ে সিনেমাটি নির্মাণ হয়েছে তা আমাদের সমাজে অহরহ ঘটছে। ছবিটি গত ১৬ ফেব্রুয়ারি অস্ট্রেলিয়ায় মুক্তি পেয়েছে। আগামী সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্রে মুক্তি পাচ্ছে। আর ভূতপরী শুধু ভূত আর ভয়ের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়; নারী চরিত্রের মৃত্যু রহস্যের মাধ্যমে ক্রাইম থ্রিলার ধাঁচেরও বটে। ফলে কলকাতার মানুষেরা ছবিটি বেশ পছন্দ করছেন।
অনেকেই বলছেন ‘পেয়ারার সুবাস’-এ অ্যাডালভ সিন বেশি…
এরকম কোনো কথা আমার কানে আসেনি। দেখুন, গল্পের প্রয়োজনে একটি সিনেমা, সিরিজ বা নাটকে অনেক কিছুই দেখাতে হয়। একটা ছবিতে দুঃখকষ্ট, হাস্যরসসহ নানা কিছু থাকে। তারচেয়ে বড় বিষয়- নির্মাতা কিভাবে গল্পটি উপস্থাপনের চেষ্টা করছেন। সেই চেষ্টার সঙ্গে অভিনয়শিল্পীদের অভিনয় বিশ্বাসযোগ্য হচ্ছে কী না, তাই মুখ্য। আমি দর্শকদের বলবো আপনারা সিনেমাটি দেখুন, তারপর নিজেরাই বুঝতে পারবেন।
বাংলাদেশের চেয়ে কলকাতায় বেশি থাকেন…
জানি না লোকে কেন এমন মনে করেন…। আমি ঢাকায় থাকি। ঢাকা থেকে কলকাতার দূরত্ব মাত্র ৩০ মিনিট যখন। যখন শুটিং হয় তখন ব্যাগ-বাক্স গুছিয়ে সেখানে যাই। শুটিং শেষে ফিরে আসি। এখানে ধরে নেওয়ার কোনো বিষয়ই নেই যে আমি শুধু বাইরে কাজ করি।
নতুন পরিচালকদের সঙ্গে কাজ করতে সংকোচ হয়?
না। আমার কোনো নির্মাতার সঙ্গে কাজ করতে সংকোচ হয় না। কারণ আমি কোনো সিনেমায় চুক্তি করার আগেই গল্প, নির্মাণ আর চরিত্র নিয়ে আলোচনা করি। সব মিললেই রাজি হই। সেই ক্ষেত্রে নির্মাতা তরুণ না বয়স্ক তা মেটার করে না। অবশ্যই আমি চাই এখনে যারা নতুন পরিচালক আছেন তাদের সঙ্গে কাজ করতে। সে ক্ষেত্রে গল্পের আগে নির্মাতারা কথা দিয়ে আমাকে তো পটাতে হবে [হাসি]। কারণ, আমার মাথাটা তো এখন পাকা। জেনে বুঝে কাজ করি।
অনেকেই মনে করেন কলকাতার অভিনেত্রীদের সঙ্গে আপনার সম্পর্কের দূরত্ব আছে…
এটা সঠিক নয়। ওখানকার প্রত্যেকের সঙ্গে আমার খুব ভালো সম্পর্ক। অনেকের সঙ্গেই বন্ধুত্ব হয়েছে। বিশেষ করে বলতে হয় পাওলির [পাওলি দাম] কথা। কলকাতায় আমি থাকলে, শুটিং শেষ করে ওর সঙ্গে আড্ডা দেই। স্বস্তিকার সঙ্গে নানান বিষয় নিয়ে কথা বলি। আমাকে তারা কখনোই হুমকি হিসেবে নেয় না। তারা আমাকে অনেক ভালোবাসেন। বলতে গেলে তারা আমাকে ভালোবেসে আগলে রাখেন।
বলিউডে আপনার যাত্রা শুরু হলো…। হিন্দি সিনেমা নিয়ে আপনার ভাবনা কী?
আমি অভিনয়েরই মানুষ। এটা আমার রক্তে মিশে আছে। বলিউড নিয়ে আমার ব্যক্তিগত ভাবনা নেই। আমি বোহেমিয়ান। ব্যক্তি জীবন ও কাজের বেলায়ও তা-ই। কাজের জন্য শুধু কলকাতা, বলিউড নয়, চীন-জাপানেও ছুটে যাব।
বলিউডে কাজ করলেই কি অন্তর্জাতিক শিল্পী হওয়া যায়?
বলিউড-হলিউডে কাজ করলেই যে আন্তর্জাতিক হওয়া যায় তা নয়, নিজের দেশের ছবি নিয়ে আরও বেশি আন্তর্জাতিক হওয়া যায়। আমাদের দেশের বহু ছবি অনেক দেশ ভ্রমণ করে প্রশংসা পাচ্ছে। অন্য দেশের ছবির সঙ্গে পাল্লা দিয়ে পুরস্কার ছিনিয়ে আনছে। আমি মনে করি, দিন দিন আমাদের দেশের কন্টেন্টগুলোই আরও বেশি অন্তর্জাতিক হয়ে উঠছে।
Posted ২:২১ পিএম | রবিবার, ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪
এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।