বুধবার ১২ই মার্চ, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ২৭শে ফাল্গুন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ইউএসএ থেকে প্রকাশিত অনলাইন নিউজ পোর্টাল
সংবাদ এবং তথ্যে আপনার প্রয়োজন মেটাতে

সয়াবিনের পর অস্থির হচ্ছে ছোলার বাজার

নিজস্ব প্রতিবেদক   |   শুক্রবার, ০৭ মার্চ ২০২৫   |   প্রিন্ট   |   147 বার পঠিত

সয়াবিনের পর অস্থির হচ্ছে ছোলার বাজার

সয়াবিন তেলের পর বাজারে ছোলার দামে অস্থিরতা দেখা দিয়েছে। রোজার আগে থেকে স্থিতিশীল থাকা এই পণ্যের দাম একদিনের ব্যবধানে কেজিতে ১০ টাকা বেড়েছে। বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ১১০ থেকে ১৩০ টাকা। এছাড়া সপ্তাহের ব্যবধানে মোটা চাল, ময়দা, আদা, হলুদ, জিরা ও এলাচ বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছে। ফলে নিত্যপণ্যের বাজারে এসব পণ্য কিনতে ক্রেতার বেশি টাকা খরচ করতে হচ্ছে। বৃহস্পতিবার রাজধানীর একাধিক খুচরা বাজার ঘুরে ক্রেতা ও বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে এমন চিত্র দেখা গেছে।

খুচরা বিক্রেতারা জানান, বাজারে প্রতি কেজি ছোলা বিক্রি হচ্ছে ১১০-১২০ টাকা। আর পাড়া-মহল্লার দোকানে সর্বোচ্চ ১৩০ টাকায় বিক্রি করতে দেখা গেছে, যা একদিন আগেও ১০০-১২০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। নয়াবাজারে ছোলা কিনতে আসা মো. আলী হোসেন বলেন, রোজার আগে ছোলা কিনেছিলাম। সেগুলো শেষ হওয়ায় আবার বাজারে এসেছি। কিন্তু দেখা যাচ্ছে বিক্রেতারা কেজিতে ১০ টাকা বেশি দাম চাইছে।

নয়াবাজারের খুচরা বিক্রেতা মো. তুহিন বলেন, রোজার আগে পাইকারি বাজারে ছোলার দাম বাড়েনি। তাই খুচরা বাজারেও দাম স্থিতিশীল ছিল। বুধবার পাইকারি বাজারে কেজিতে ১০ টাকা বেড়েছে। যে কারণে খুচরা বাজারেও দাম বাড়িয়ে বিক্রি করতে হচ্ছে।

অন্যদিকে সাতদিনের ব্যবধানে মোটা চালের দাম আরেক দফা বেড়েছে। খুচরা বাজারে মোটা চালের মধ্যে স্বর্ণা জাতের চাল প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৫৮-৬০ টাকা, যা সাতদিন আগে ৫৫ টাকা ছিল। এছাড়া প্রতি কেজি পাইজাম চাল বিক্রি হচ্ছে ৬৫ টাকা। আর সরু চাল প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৭২-৮৫ টাকা।

কাওরান বাজারের আল্লাহর দান রাইস এজেন্সির মালিক সিদ্দিকুর রহমান বলেন, রোজায় হঠাৎ মিল মালিকরা মোটা চালের দাম কেজিতে ৪ টাকা বাড়িয়েছে। যে কারণে পাইকারি বাজারে পণ্যটির দাম বেড়েছে। খুচরা পর্যায়ে দাম সমন্বয় করে বিক্রি হচ্ছে।

খুচরা বাজারে বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, বৃহস্পতিবার প্রতি কেজি প্যাকেটজাত আটা বিক্রি হয় ৫৫ টাকা। খোলা আটা প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪৫ টাকা। পাশাপাশি প্রতি কেজি প্যাকেটজাত ময়দা বিক্রি হচ্ছে ৭৫ টাকা, যা সাতদিন আগে ৭০ টাকা ছিল। এছাড়া প্রতি কেজি খোলা ময়দা বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকা।

খুচরা বাজারে দেশি হলুদ বিক্রি হচ্ছে সর্বোচ্চ ৪০০ টাকা, যা সাতদিন আগেও ৩৫০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। প্রতি কেজি আমদানি করা হলুদ বিক্রি হচ্ছে সর্বোচ্চ ৪২০ টাকা, যা সাতদিন আগে ৩০০ টাকা ছিল। প্রতি কেজি দেশি আদা বিক্রি হচ্ছে সর্বোচ্চ ২০০ টাকা, যা সাতদিন আগেও ১৫০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। আমদানি করা আদা বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ২২০ টাকা, যা আগে ২০০ টাকা ছিল। প্রতি কেজি জিরা বিক্রি হচ্ছে সর্বোচ্চ ৭৮০ টাকা। চারদিন আগে বিক্রি হয়েছে ৭৫০ টাকা। প্রতি কেজি ছোট দানার এলাচ বিক্রি হচ্ছে ৫৫০০ টাকা, যা সাতদিন আগেও ৫ হাজার টাকা ছিল। কেজিতে ২০ টাকা বেড়ে প্রতি কেজি তেজপাতা বিক্রি হচ্ছে ২৪০ টাকা।

এদিন খুচরা বাজারে প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হয়েছে সর্বোচ্চ ২১০ টাকা। দেশি মুরগি বিক্রি হচ্ছে ৪৮০-৫৮০ টাকা। বাজারে প্রতি কেজি গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৭৫০-৮০০ টাকা। সঙ্গে খাসির মাংস বিক্রি হচ্ছে ১১০০ থেকে ১২৫০ টাকা।

Facebook Comments Box

Posted ৫:২৯ এএম | শুক্রবার, ০৭ মার্চ ২০২৫

|

এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

(172 বার পঠিত)

এ বিভাগের আরও খবর

ইউএসএ থেকে প্রকাশিত অনলাইন নিউজ পোর্টাল সংবাদ এবং তথ্যে আপনার প্রয়োজন মেটাতে

NSM Moyeenul Hasan Sajal

Editor & Publisher
Phone: +1(347)6598410
Email: protidinkar@gmail.com, editor@protidinkar.com

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।