শনিবার ২১শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ৬ই আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ইউএসএ থেকে প্রকাশিত অনলাইন নিউজ পোর্টাল
সংবাদ এবং তথ্যে আপনার প্রয়োজন মেটাতে

বাড়তি করের চাপে আবাসন খাত

ডেস্ক রিপোর্ট   |   শনিবার, ০৮ জুন ২০২৪   |   প্রিন্ট   |   11 বার পঠিত

বাড়তি করের চাপে আবাসন খাত

নানান কারণে বেশ কয়েক বছর ধরেই টালমাটাল আবাসন খাত। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ এবং দেশে উচ্চ মূল্যস্ফীতি এ খাতকে আরও উসকে দিয়েছে। এর সঙ্গে যোগ হয়েছে নির্মাণ খাতের উপকরণের মূল্যবৃদ্ধি। সবমিলিয়ে এরই মধ্যে ফ্ল্যাট-অ্যাপার্টমেন্টের দাম বেড়ে চলে গেছে মধ্যবিত্তের নাগালের বাইরে।

এ অবস্থায় ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেট উপস্থাপনের আগে সরকারের কাছে বেশকিছু প্রস্তাব দেন আবাসন খাতসংশ্লিষ্টরা। তবে বাজেটে সেসব দাবি ফিকে হয়েছে বলে মনে করছেন তারা। যদিও বিনাপ্রশ্নে ১৫ শতাংশ কর দিয়ে অপ্রদর্শিত অর্থ আবাসন খাতে বিনিয়োগের সুযোগ দেওয়া হয়েছে প্রস্তাবিত বাজেটে। তবে এ খাতের নানান উপকরণের ওপর বাড়তি শুল্ক মড়ার ওপর খাঁড়ার ঘা হিসেবেই দেখছেন আবাসন ব্যবসায়ীরা।

২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে নির্মাণ খাতের অতি প্রয়োজনীয় উপাদান ইটের ওপর বেড়েছে কর, শুল্ক বসেছে প্রি-ফেব্রিকেটেড বিল্ডিং তৈরিতে ব্যবহৃত বিভিন্ন ধরনের পণ্যে। ভ্যাট বেড়েছে জেনারেটর ও এসিতে। আবাসন ব্যবসায়ীদের মূল দাবি ভ্যাট-ট্যাক্স, রেজিস্ট্রেশন খরচের বিষয়েও কোনো আশার বাণী নেই নতুন অর্থবছরের বাজেটে।

আবাসন খাতের উদ্যোক্তারা বলছেন, প্রস্তাবিত বাজেটে আর্থিক খাত সংস্কারের বলিষ্ঠ কোনো পদক্ষেপ দৃশ্যমান হয়নি। ডলারের উচ্চমূল্য, রিজার্ভের পতন প্রভাব ফেলেছে সামগ্রিক ব্যবসা-বাণিজ্যে। এছাড়া ব্যাংকখাতে দুর্দশার কারণে আবাসন খাতের ব্যবসায়ীরা আগের মতো ব্যাংক থেকে ঋণের সুযোগ পাচ্ছেন না। ফলে এ খাতের ব্যবসায়ীদের চলতে হচ্ছে নিজের পায়ে ভর করে। সবমিলিয়ে ব্যবসা গুটিয়ে নিতে বাধ্য হচ্ছে আবাসন খাতের অনেক প্রতিষ্ঠান।

আসন্ন অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট বিশ্লেষণে দেখা যায়, বাজেটে প্রি-ফেব্রিকেটেড বিল্ডিং তৈরিতে ব্যবহৃত পণ্যের ওপরে আমদানি শুল্ক ১০ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব করেছেন অর্থমন্ত্রী। নির্মাণ খাতের অতি প্রয়োজনীয় উপাদান ইটের ওপর করহার ৫ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ১০ শতাংশ করা হয়েছে। ফলে বাড়বে ইটের দাম। এসবের প্রভাব পড়বে ফ্ল্যাট-অ্যাপার্টমেন্ট নির্মাণ ব্যয়ে। তবে চূড়ান্তভাবে বাড়তি ব্যয়ের বোঝা বহন করতে হবে ক্রেতাকেই। এতে ফ্ল্যাট-অ্যাপার্টমেন্ট বিক্রি কমবে বলে মনে করছেন খাতসংশ্লিষ্টরা।

ব্রিক ওয়ার্কস লিমিটেডের চেয়ারম্যান লিয়াকত আলী ভূঁইয়া বলেন, ‘আবাসন খাতের সংকটের মধ্যেও নির্মাণ উপকরণের দাম কমার পরিবর্তে আরও বাড়ছে। আবার নতুন বিধিমালা অনুযায়ী ভবনের উচ্চতা ও আয়তন কমবে। ফলে কমবে ফ্ল্যাটের সংখ্যা। ব্যবসায়ীরা আবাসন খাতে বিনিয়োগে নিরুৎসাহিত হবেন। এরই মধ্যে কমছে বিনিয়োগ। বর্তমানে আবাসন খাত ক্রান্তিকাল অতিক্রম করছে। এ খাত টেনে তোলার মতো নীতিসহায়তা প্রয়োজন ছিল বাজেটে, উল্টো শুল্ক-কর বসেছে। মধ্যবিত্তকে এখন ফ্ল্যাটের আশা ছেড়ে দিতে হবে, ব্যবসা গুটিয়ে নিতে বাধ্য হবেন ব্যবসায়ীরা।’

আবাসন ব্যবসায়ীদের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অনুষঙ্গ জেনারেটরের ওপর এক শতাংশ শুল্ক আরোপ করায় দেশের বাজারে বাড়বে জেনারেটরের দাম। এছাড়া এসির ওপর ভ্যাট ৫ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৭ শতাংশ করায় এসির দামও বাড়বে।

আবাসন খাতে কালো টাকা বিনিয়োগের বিষয়ে ওয়াহিদুজ্জামান বলেন, ‘কালো টাকা (বিনিয়োগের সুযোগ) এক বছরের জন্য দিলে হবে না। এটাকে অন্তত পাঁচ বছরের জন্য করা হলে ভালো ফলাফল আশা করা যায়। এক্ষেত্রে প্রথমবার ১৫ শতাংশ, পরের বছর থেকে বেশি হারে কর দিয়ে কালো টাকা সাদা করার সুযোগ দিলে আরও বিনিয়োগ আসবে। সবচেয়ে বড় কথা বর্তমানে আবাসন খাত ক্রান্তিকাল অতিক্রম করছে। এ খাত টেনে তুলতে বাজেটে নীতিসহায়তার খুবই প্রয়োজন।

 

Facebook Comments Box

Posted ৫:৪৮ পিএম | শনিবার, ০৮ জুন ২০২৪

|

এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

ইউএসএ থেকে প্রকাশিত অনলাইন নিউজ পোর্টাল সংবাদ এবং তথ্যে আপনার প্রয়োজন মেটাতে

NSM Moyeenul Hasan Sajal

Editor & Publisher
Phone: +1(347)6598410
Email: protidinkar@gmail.com, editor@protidinkar.com

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।