শনিবার ২১শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ৬ই আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ইউএসএ থেকে প্রকাশিত অনলাইন নিউজ পোর্টাল
সংবাদ এবং তথ্যে আপনার প্রয়োজন মেটাতে

আমানত কমেছে ইসলামী ব্যাংকগুলোয়

ডেস্ক রিপোর্ট   |   বুধবার, ২৬ জুন ২০২৪   |   প্রিন্ট   |   101 বার পঠিত

আমানত কমেছে ইসলামী ব্যাংকগুলোয়

নানা কারনে ইসলামী ধারার ব্যাংকগুলোর প্রতি আমানতকারীদের আস্থা কমছে। এতে ব্যাংকগুলোর আমানত কাঙ্খিত হারে বাড়ছে না, বরং গ্রাহকরা তুলে নিচ্ছেন। সবশেষ প্রান্তিক শেষে এসব ব্যাংকের আমানত কমলেও ঋণ দেওয়ার হার থেমে থাকেনি, বরং কিছুটা উর্ধ্বমুখী।

বাংলাদেশ ব্যাংকের ত্রৈমাসিক প্রতিবেদনের তথ্য বলছে, যেখানে গত ডিসেম্বর শেষে দেশের পূর্ণাঙ্গ ইসলামী ধারার ব্যাংকগুলোতে আমানত ছিল ৪ লাখ ৩ হাজার ৮৫০ কোটি টাকা, যা তার পরের প্রান্তিক মার্চে কমে দাঁড়িয়েছে ৩ লাখ ৯৯ হাজার ৫৪৯ কোটি টাকা। বছরের প্রথম প্রান্তিকে এসে বা তিন মাসের ব্যবধানে আমানত কমেছে ৪ হাজার ৩০০ কোটি টাকা।

এদিকে, আলোচিত সময়ে আমানত কমলেও বিনিয়োগ বেড়েছে । গত ডিসেম্বর শেষে দেশের পূর্ণাঙ্গ ইসলামী ধারার ব্যাংকগুলোর বিনিয়োগের (ঋণ) পরিমাণ ছিল ৪ লাখ ৪৪ হাজার ৯৭৪ কোটি টাকা, যা মার্চ প্রান্তিকে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪ লাখ ৫৬ হাজার ৯৯৪ কোটি টাকা। মার্চ প্রান্তিকে বিনিয়োগ বেড়েছে ১২ হাজার কোটি টাকার বেশি।

বর্তমানে পূর্ণাঙ্গ শরিয়াহভিত্তিক ১০টি ব্যাংক রয়েছে। এসব ব্যাংকগুলোর মধ্যে রয়েছে- ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ, আল-আরাফাহ্ ইসলামী ব্যাংক, এক্সিম ব্যাংক, শাহ্জালাল ইসলামী ব্যাংক, ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক, সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক লিমিটেড (এসআইবিএল), গ্লোবাল ব্যাংক, ইউনিয়ন ব্যাংক, আইসিবি ইসলামিক ও স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংক।

মার্চ প্রান্তিক শেষে ব্যাংক খাতে ইসলামী ধারার ব্যাংকিংয়ে মোট আমানতের পরিমাণ ৪ লাখ ৩৯ হাজার ৪৫৬ কোটি টাকা যা আগের প্রান্তিক ডিসেম্বর শেষে ছিল ৪ লাখ ৪৩ হাজার ৪০৩ কোটি টাকা। সেই হিসাবে তিন মাসের ব্যবধানে ইসলামী ধারার ব্যাংকিংয়ে আমানত কমেছে ৩ হাজার ৯৩৮ কোটি টাকা।

আবার আলোচিত সময়ে পূর্ণাঙ্গ ইসলামী ব্যাংকগুলোর আমানত কমলেও প্রচলিত ধারার ব্যাংকগুলোর ইসলামী ব্যাংকিং উইন্ডোজগুলোতে আমানত বেড়েছে ১ হাজার ১১৩ কোটি টাকা। সবশেষ মার্চ প্রান্তিক শেষে প্রচলিত ধারার ব্যাংকগুলোর ইসলামী ব্যাংকিং উইন্ডোজগুলোতে আমানতের পরিমাণ ছিল ২১ হাজার ৫৪৫ কোটি টাকা। তুন মাসে আগে অর্থাৎ ডিসেম্বর প্রান্তিক শেষে তা ছিল ২০ হাজার ৪৩৩ কোটি টাকা।

আলোচিত সময়ে পূর্নাঙ্গ ইসলামী ব্যাংকগুলোর প্রবাসী আয় (রেমিট্যান্স) আয় বাড়লেও রপ্তানি আয় কমেছে। গত মার্চ প্রান্তিক শেষে ইসলামী ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে প্রবাসীরা পাঠিয়েছে ২৭ হাজার টাকা; যা তার আগের প্রান্তিক ডিসেম্বরে ছিল ২৩ হাজার কোটি টাকা। একই সময়ে এসব ব্যাংকের মাধ্যমে রপ্তানি আয় এসেছে ২৯ হাজার কোটি টাকা, ডিসেম্বরে ছিল ৩০ হাজার কোটি টাকার বেশি। সে হিসাবে তিন মাসের ব্যবধানে এসব ব্যাংকের মাধ্যমে রপ্তানি আয় ১ হাজার কোটি টাকা কম এসেছে।

আমদানির দায় পরিশোধ বেড়েছে এসব ব্যাংকের মাধ্যমে। মার্চ প্রান্তিক শেষে পূর্নাঙ্গ ইসলামী ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে আমদানি দায় বাবদ ৪৫ হাজার ৮২৮ কোটি টাকা পরিশোধ করা হয়েছে, যা তার আগের প্রান্তিক ডিসেম্বর শেষে ছিল ৪২ হাজার ৩১৯ কোটি টাকা।

 

Facebook Comments Box

Posted ৪:৫০ এএম | বুধবার, ২৬ জুন ২০২৪

|

এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

ইউএসএ থেকে প্রকাশিত অনলাইন নিউজ পোর্টাল সংবাদ এবং তথ্যে আপনার প্রয়োজন মেটাতে

NSM Moyeenul Hasan Sajal

Editor & Publisher
Phone: +1(347)6598410
Email: protidinkar@gmail.com, editor@protidinkar.com

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।