| বৃহস্পতিবার, ০৯ মার্চ ২০২৩ | প্রিন্ট | 38 বার পঠিত
আর এই জয়ের মূল নায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। ৫১৬ রান করে হয়েছেন টুর্নামেন্ট-সেরা। তিনি দুর্দান্ত ফিফটিতে ১৫৭ রানের লক্ষ্য অনায়াসেই পাড়ি দেয় বাংলাদেশ। তাও দুই ওভার হাতে রেখেই। ৩০ বলে ৮ চারে ৫১ রানের বিধ্বংসী এক ইনিংস খেলেন শান্ত।
চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে প্রথম টি-টোয়েন্টিতে টস জিতে আগে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় বাংলাদেশ। ব্যাটিংয়ে নেমেই কোনো উইকেট ছাড়াই ৯ ওভার কাটিয়ে দেয় ইংল্যান্ড। অবশেষে ইনিংসের দশম ওভারে স্বাগতিকদের ব্রেক থ্রু এনে দেন নাসুম আহমেদ। ভাঙেন ৮০ রানের এই উদ্বোধনী জুটি। অফ স্টাম্পের বাইরে পিচ করা বল চলে যায় পেছনে থাকা উইকেটরক্ষক লিটন দাসের গ্লাভসে। তাই ৩৫ বলে ৩৮ রান করে ফিরতে হয় ডানহাতি এই ওপেনারকে।
এরপর তিনে নেমে দাভিদ মালানকে ব্যক্তিগত ৪ রান করেই ফিরতে হয় তাকে। ইনিংসের ১২তম ওভারে সাকিবের বলে তার ক্যাচ লংঅনে থাকা নাজমুল হোসেন শান্ত। এরপর বেন ডাকেটকে নিয়ে জুটি গড়ে তোলেন বাটলার। এর মধ্যেই তুলে নেন ক্যারিয়ারের ২০তম ফিফটি। ডাকেটকে ১৬তম ওভারের শেষ বলে বোল্ড করেন মুস্তাফিজ। ১৩ বলে ২০ রান করেন এই ব্যাটার।
ডেথ ওভারের শুরুতেই বাটলারকে শিকার করেন হাসান মাহমুদ। লংঅন থেকে বাটলারের ক্যাচটি ধরেন শান্ত। ৪২ বলে চারটি করে চার ছক্কায় ৬৭ রান করেন ইংলিশ অধিনায়ক। সেই ১৭তম ওভারে এক রান দেন হাসান। ১৯তম ওভারে মাত্র ৪ রান দিয়ে স্যাম কারানের উইকেটটি তুলে নেন ডানহাতি পেসার হাসান মাহমুদ। শেষ ওভারে ৯ রান দিলেও ক্রিস ওকসকে ১ রানে সাজঘরে ফেরান তাসকিন। যার ফলে ৬ উইকেটে ১৫৬ রানে থেমে যায় ইংল্যান্ড। বাংলাদেশের হয়ে হাসান ২৬ রান দিয়ে দুটি এবং সাকিব, তাসকিন, মুস্তাফিজ ও নাসুম নেন একটি করে উইকেট।
জবাব দিতে নেমে শুরুটা ভালোই করে বাংলাদেশ। স্যাম কারানের করা প্রথম ওভারে ১০ রান তোলেন লিটন দাস ও রনি তালুকদার। দ্বিতীয় ওভারে ক্রিস ওকসের কাছ থেকে একাই ১১ রান আদায় করে নেন ডানহাতি ব্যাটার রনি। তৃতীয় ওভারে জফরা আর্চারের বলে দুটো চারসহ ১১ রান আসে সেই ওভারে। কিন্তু পরের ওভারে আদিল রশিদের বলে আউট হন রনি। ফ্লইটেড ডেলিভারিতে কাভার ড্রাইভ করতে গেয়ে স্টাম্প হারিয়ে ফেলেন তিনি। ১৪ বলে ৪ চারে ২১ রান করেন রনি। ৩৩ রানে ভাঙে উদ্বোধনী জুটি।
পঞ্চম ওভারে সাজঘরে ফেরেন লিটন। আর্চারের লেংথ ডেলিভারি তার ব্যাটের কানায় লেগে সোজা চলে যায় ওকসের হাতে। ১০ বলে ২ চারে ১২ রান করেন লিটন। এরপর ব্যাটিংয়ে আসেন তাওহীদ হৃদয় ও শান্ত। তৃতীয় উইকেট জুটিতে ৩৯ বলে ৬৫ রানের জুটি যোগ করেন তারা। এর মাঝে মাত্র ২৭ বলে ক্যারিয়ারের চতুর্থ ফিফটি তুলে নেন শান্ত। মঈন আলীর বলে কারানের হাতে ক্যাচ এ আউট হন হৃদয়। যার কারনে ১৭ বলে ২ চার ও ১ ছয়ে ২৪ রানে থামতে হয় তাকে।
ফিফটির ইনিংস বড় করতে পারেননি শান্ত। মার্ক উডের বলে বোল্ড হন শান্ত। বাকিটা পথ আফিফ হোসেনকে নিয়ে নির্বিঘ্নেই পাড়ি দেন সাকিব। পঞ্চম উইকেটে অবিচ্ছিন্ন ৪৬ রানের জুটি গড়েন দুজনে মিলে। সাকিব ২৪ বলে ৬ চারে ৩৪ ও ১৩ বলে ২ চারে ১৫ রানে অপরাজিত থাকেন আফিফ। ইংল্যান্ডের হয়ে একটি করে উইকেট নেন আর্চার, উড, রশিদ ও মঈন।
Posted ২:০১ পিএম | বৃহস্পতিবার, ০৯ মার্চ ২০২৩
| admin
এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।