হাতে থাকা বাকি ম্যাচ, স্কোয়াড সদস্যদের চোট পরিস্থিতি, খেলার বাইরের চাপ—এমন নানামুখী নির্দেশক সামনে রেখে বিশ্লেষণটি করা হয়। পেপ গার্দিওলার দল পয়েন্ট তালিকায় পিছিয়ে থাকলেও সম্ভাবনায় এগিয়ে থাকার অন্যতম কারণ ছিল তাঁদের সাম্প্রতিক সাফল্য।
তবে মৌসুমে প্রথমবারের মতো শিরোপা-সম্ভাবনায় এগিয়ে গেছে আর্সেনাল। সুপারকম্পিউটার বিশ্লেষণে অপটা বলছে, আর্তেতার দলের লিগ চ্যাম্পিয়ন হওয়ার সম্ভাবনা এখন ৫১.৪ শতাংশ। গত সপ্তাহে ম্যানচেস্টার ডার্বিতে ইউনাইটেডের কাছে হেরে সিটির সম্ভাবনা নেমে এসেছে ৪৫.৪ শতাংশে।
আর্সেনাল এগিয়ে থাকার মূল কারণ ৮ পয়েন্টের ব্যবধান। ২০০৩-০৪ মৌসুমে শিরোপা জয়ের পর আর কোনো মৌসুমে ১৮ ম্যাচ শেষে নিচের দলগুলোর বিপক্ষে এত বেশি ব্যবধানে তারা এগিয়ে থাকতে পারেনি। সে বার আর্সেন ওয়েঙ্গারের দল ১১ পয়েন্ট ব্যবধানে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল।
লিগ ইতিহাসে ১৮ ম্যাচ শেষে ৪৭ পয়েন্টও আর্সেনালের সর্বোচ্চ।
বিশ্বকাপ-বিরতির আগে ব্রেন্টফোর্ডের কাছে ২-১ ব্যবধানে হেরে আর্সেনালের চেয়ে ৫ পয়েন্টে পিছিয়ে ছিল সিটি। তবু গার্দিওলার দলকে ৭৫ শতাংশ সম্ভাবনায় এগিয়ে রাখছিল সুপারকম্পিউটার।
তবে প্রায় দেড় মাস বিরতির পর শুরু হওয়া লিগে আর্সেনাল আগের গতি ধরে রাখলেও সিটি পারেনি। ড্র করেছে এভারটনের সঙ্গে, হেরেছে ইউনাইটেডের কাছে। লিগ কাপে সাউদাম্পটনের কাছে হারের ম্যাচের একটি শটও লক্ষ্য রাখতে পারেনি সিটি, যা ২০১৮ সালের এপ্রিলের পর কোনো প্রতিযোগিতামূলক ম্যাচে সিটির প্রথম ব্যর্থতা। শনিবার ইউনাইটেডের বিপক্ষেও মাত্র একটি শট ছিল লক্ষ্যে। সব মিলিয়ে ম্যানচেস্টার সিটির বর্তমান ফর্ম তাদের সম্ভাবনাকে পিচ্ছিল করে তুলেছে।
বিপরীতে শীর্ষ স্থান সংহত করার পথে আর্সেনাল খেলছে দুর্দান্ত গতিতে। সর্বশেষ টটেনহামের বিপক্ষেই যার নজির দেখা গেছে। ২-০ ব্যবধানের জয়টি ছিল ২০১৪ সালের পর স্পার্সদের মাঠে আর্সেনালের প্রথম জয়।
গানারদের হাতছানি দিচ্ছে ২০০৩-০৪ মৌসুমের পর প্রথম শিরোপাও।