| শনিবার, ১০ সেপ্টেম্বর ২০২২ | প্রিন্ট | 124 বার পঠিত
তাড়াহুড়ো করে তৈরি করা বাঁধ থেকে একটি বিস্তীর্ণ হ্রদের মধ্যে মেহার শহর, মসজিদের মিনার এবং একটি গ্যাস স্টেশনের মূল্য তালিকার বোর্ড দেখা যায়, এই জলাভূমি দশ কিলোমিটার প্রশস্ত হবে।
দক্ষিণ সিন্ধুর উপকূল পেরিয়ে এখানে শত শত গ্রাম ও বিস্তীর্ণ এলাকা। কৃষিজমি পানির নিচে হারিয়ে গেছে। বন্যায় পাকিস্তানের এক তৃতীয়াংশ এলাকা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
এক গ্রামের বাসিন্দা আয়াজ আলী এএফপি’কে বলেন, ‘কেউ জানে না তাদের গ্রাম কোথায়, সাধারণ মানুষ আর তার নিজের বাড়ি চিনতে পারে না।’ তার গ্রাম এখন সাত মিটার (২৩ ফুট) পানির নিচে ডুবে আছে।
সিন্ধু সরকার বলছে, রেকর্ড বৃষ্টি এবং বন্যায় সিন্ধু নদী উপচে পড়ে এক লাখেরও বেশি মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে।
সারা দেশে প্রায় ৩৩ মিলিয়ন মানুষ বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, প্রায় দুই মিলিয়ন ঘরবাড়ি, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ধ্বংস, ৭ হাজার কিলোমিটার রাস্তা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, ২৫৬ টি সেতু ধসে পড়েছে।
বাস কন্ডাক্টর আয়াজ আলী নৌবাহিনীর নেভিগেটর হিসাবে বিদ্যুতের লাইন এবং উঁচু গাছের অবস্থান দেখে গ্রামগুলো শনাক্ত করছেন।
নৌবাহিনীর স্বেচ্ছাসেবকরা দ’ুটি লাইফবোটে করে লোকদের কাছে সাহায্য পৌঁছে দিচ্ছে এবং স্থানীয়দের প্রয়োজনীয় চিকিৎসা দিতে তাদের শহরে নিয়ে আসছে।
নৌকাটি গাছের চূড়া দিয়ে ধীরে ধীরে চলাচল করে, এবং পানি ঘেরা ভাঙা ঘরগুলোর একটি গ্রামের সামনে বিদ্যুতের লাইনের উপর দিয়ে চলে।
অনেকে এখনও তাদের বাড়িঘর ছাড়তে অস্বীকার করছে, তাদের গবাদি পশু চুরি হয়ে যাবে বা মারা যাবে, এবং সারা দেশে ছড়িয়ে পড়া অস্থায়ী ত্রাণ শিবিরে আরও খারাপ পরিস্থিতির ভয়ে তারা নিজের ঘরবাড়ি ছাড়তে চায় না।
আট মাসের অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীকে বের হতে দিতে অস্বীকৃতি জানিয়ে হাঁটু পানিতে ডুবে আছির আলী বলেন, ‘আমাদের জীবন-মৃত্যু আমাদের গ্রামের সাথে জড়িত। আমরা কীভাবে চলে যাব?’।
সূত্র-বাসস
Posted ৫:০৭ পিএম | শনিবার, ১০ সেপ্টেম্বর ২০২২
| admin
এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।