| বৃহস্পতিবার, ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ | প্রিন্ট | 18 বার পঠিত
নাজমুল হুদার (বিএনপির সাবেক নেতা) নেতৃত্বাধীন রাজনৈতিক দল তৃণমূল বিএনপিকে দ্রুতই নিবন্ধন দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। ‘সোনালী আঁশ’ প্রতীক হিসেবে পাচ্ছে দলটি। তবে অন্য দলগুলোর বিষয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত নেয়নি ইসি। অন্যদিকে আপিল বিভাগের আদেশের পর তৃনমূল বিএনপির বিষয়ে এ সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর।
বৃহস্পতিবার রাজধানীর আগারগাওঁয়ে নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তৃনমূল বিএনপির বিষয়ে ইসির সিদ্ধান্তের কথা জানান আলমগীর।
২০০৮ সালে নবম সংসদ নির্বাচনের আগে দল নিবন্ধন নিয়ম চালুর পর ৪৪টি দল নিবন্ধন পায়। এরমধ্যে পাঁচটি দলের নিবন্ধন বাতিল হওয়ায় বর্তমানে নিবন্ধিত রয়েছে ৩৯টি দল। তৃণমূল বিএনপি নিবন্ধন পেলে সে সংখ্যা দাড়াঁবে ৪০ এ। তবে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের আগে আগামী জুনের মধ্যে নতুন দলের নিবন্ধনের বিষয়ে নিজেদের সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করার কথা ঘোষণা দিয়েছেন কাজী হাবিবুল আউয়াল নেতৃত্বাধীন কমিশন।
মো. আলমগীর বলেন, ‘আপিল বিভাগ থেকে তাদের (তৃণমূল বিএনপি) বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়েছে। রেজিস্ট্রেশন দেয়ার জন্য আমাদের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। যেহেতু সর্বোচ্চ আদালত থেকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে সেহেতু আমরা নিবন্ধন বাধ্য। এর বাইরে যাওয়ার কোনো সুযোগ নেই।’
যত দ্রুত সম্ভব দলটিকে নিবন্ধন দেয়া হবে বলে জানান এই কমিশনার।
১৯৯১ সালে ও ২০০১ সালে দুই দফায় খালেদা জিয়ার সরকারে মন্ত্রী ছিলেন নাজমুল হুদা। তবে ২০১২ সালে বিএনপির সঙ্গে সম্পর্ক চুকিয়ে বিএনএফ নামে নতুন দল গঠন করেন হুদা। পরে সেই দল তাকেই বহিষ্কার করে। এরপর বাংলাদেশ ন্যাশনাল অ্যালায়েন্স (বিএনএ) এবং বাংলাদেশ মানবাধিকার পার্টি (বিএমপি) নামে নামে দুটি নতুন রাজনৈতিক দল গঠন করে সাবেক বিএনপি নেতা হুদা। সেখানেও ব্যর্থ হয়ে খোলেন নতুন দল তৃনমূল বিএনপি।
একাদশ সংসদ নির্বাচনের আগে কে এম নূরুল হুদা কমিশনের কাছে নিবন্ধনের আবেদন করেছিল দলটি। তখন নিবন্ধন মেলেনি। তখন আদালতের দ্বারস্থ হন নাজমুল হুদা।
এ বিষয়ে জানতে সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নূরুল হুদা দৈনিক বাংলাকে বলেন, ‘তারা আামদের সময় আবেদন করেছিল। তখন আসলে কিছু কাগজ শর্টেজ (কমতি) ছিল তাই তাদের নিবন্ধন দেয়া হয়নি। এখন তো কোর্ট থেকে তাদের নিবন্ধন দিতে বলছে।’
যত দ্রুত সম্ভব দলটিকে (তৃনমূল বিএনপি) নিবন্ধন দেয়া হবে জানিয়ে কমিশনার আলমগীর বলেন, ‘দেরি করার তো সুযোগ নেই। আদালত নির্দেশনা দেয়ার পর তো আর মাঠে খতিয়ে দেখার সুযোগ নেই। আদালতের নির্দেশ আমরা পালন করতে বাধ্য। আদালত নিশ্চয় সেগুলো প্রমাণ পেয়েছেন।’
আদালত তাদের প্রতীকও নির্ধারণ করে দিয়েছে বলে জানান এই কমিশনার। তিনি বলেন, ‘দলটির প্রতীক হবে সোনালী আঁশ।’ নিবন্ধিত দল হিসেবে গেজেট প্রকাশের পরই তা ইসির তালিকাভূক্ত হবে বলেও জানান তিনি।
গণসংহতি আন্দোলন ও ইনসানিয়াত বিপ্লব নামে দুটি দলের বিষয়ে আদালতের সর্বোচ্চ আদেশ রয়েছে কিনা তা যাচাই করে দেখতে হবে বলে মন্তব্য করেন আলমগীর।
এদিকে নতুন দলগুলোর কাছে গত বছরের ২৬ মে আবেদন আহ্বান করে ২৯ আগস্ট পর্যন্ত সময় বেঁধে দিয়েছিল কাজী হাবিবুল আউয়ালের নেতৃত্বাধীন কমিশন। পরে অবশ্য গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা জাফরুল্লাহ চৌধুরী অনুরোধ করে আসার পর নতুন দলের নিবন্ধনের সময় দুই মাস বাড়ায় কমিশন।
নতুন দল নিবন্ধনের বিষয়ে নির্বাচন কমিশনার আলমগীর জানান, ৯৩টি নতুন দল নিবন্ধনের জন্য আবেদন করেছিল। পাঁচটি দল নির্ধারিত প্রক্রিয়ায় আবেদন না করায় তাদের আবেদন বাতিল করা হয়ে। দুটি দল আবেদন প্রত্যাহার করেছে।
সংসদীয় আসনের সীমানার প্রসঙ্গ টেনে মো. আলমগীর বলেন, ‘ভাবলাম যেটা আছে, সেটা থাকুক। সেটার ওপর আবেদন আহ্বান করলে তখন দেখা যাবে। তাদের যদি আপত্তি না থাকে তাহলে তো আমাদের কিছু করার নেই। এজন্য আমরা কোথাও হাত দিচ্ছি না। যেটা এখন আছে সেটাই খসড়া হিসেবে প্রকাশ করব।’
Posted ৪:০৬ পিএম | বৃহস্পতিবার, ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৩
| admin
এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।