শনিবার ১৫ই মার্চ, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ১লা চৈত্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ইউএসএ থেকে প্রকাশিত অনলাইন নিউজ পোর্টাল
সংবাদ এবং তথ্যে আপনার প্রয়োজন মেটাতে

বঙ্গোপসাগর থেকে ৩ মরদেহ উদ্ধার, কোস্টগার্ডের বিরূপ আচরণ সেন্টমার্টিনে

নিজস্ব প্রতিবেদক   |   শুক্রবার, ২৬ জুলাই ২০২৪   |   প্রিন্ট   |   22 বার পঠিত

বঙ্গোপসাগর থেকে ৩ মরদেহ উদ্ধার, কোস্টগার্ডের বিরূপ আচরণ সেন্টমার্টিনে

কক্সবাজারের টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌপথে ট্রলার ও স্পিডবোট ডুবির ঘটনায় নিখোঁজ ৩ জনের মরদেহ টেকনাফের বঙ্গোপসাগরের উপকূলে ভেসে এসেছে। এর মধ্যে শুক্রবার (২৬ জুলাই) সকাল সাড়ে ১১টায় ২ জনের এবং বিকেল ৪টার দিকে আরও একজনের মরদেহ ভেসে আসে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন টেকনাফ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ ওসমান গণি।

নিহতরা হলেন, মৃত আজম আলীর ছেলে মো. ইসমাঈল (২৮), মৃত আবদুর রহমানের ছেলে মোহাম্মদ ফাহাদ (৩০) ও ছলিম উল্লার ছেলে নুর মোহাম্মদ সৈকত (২৭)। তারা সবাই সেন্টমার্টিনের বাসিন্দা।

 

স্থানীয়দের বরাতে ওসি মুহাম্মদ ওসমান গণি বলেন, টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌপথের শাহপরীর দ্বীপের অদূরে বুধবার (২৪ জুলাই) ট্রলার ডুবির ঘটনা ঘটে। পরে কিছু লোক ট্রলার ও স্পিডবোট নিয়ে তাদের উদ্ধার করতে যায়। এতে ঢেউয়ের ধাক্কায় একটি স্পিডবোটও ডুবে যায়। এরপর থেকে এসব ঘটনায় ৩ জন নিঁখোজ ছিল। শুক্রবার সকাল ১০টার দিকে দুইজনের এবং বিকেলে আরও একজনের মরদেহ ভেসে আসলে উদ্ধার করা হয় মরদেহগুলো। আইনগত প্রক্রিয়া শেষে স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

 

এদিকে, নিহত মোহাম্মদ ফাহাদের ভাই মোহাম্মদ ফায়সালকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে কোস্টগার্ডের বিরুদ্ধে।

মোহাম্মদ ফায়সাল জানিয়েছেন, সকালে টেকনাফের উপকূলে তার ভাই ফাহাদের মরদেহ ভেসে আসার খবর পেয়ে তিনি সেন্টমার্টিন ঘাটে এসে টেকনাফে যাওয়ার চেষ্টা করেন। এসময় কোস্টগার্ডের পাঁচ জন সদস্য এসে তাকে ব্যাপক মারধর করে রক্তাক্ত করেছে।

 

মরদেহ উদ্ধার তৎপরতার জের ধরে কোস্টগার্ডের সদস্যের সাথে দ্বীপবাসীর বিরোধের জের ধরে তাকে মারধর করা হয়েছে বলে জানান তিনি।

 

ফায়সাল জানিয়েছেন, স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা শেষে ভাইয়ের দাফন নিয়ে ব্যবস্থা আছেন। এরপর উন্নত চিকিৎসার জন্য টেকনাফ বা কক্সবাজার যাবেন।

 

এর আগে বুধবার দুপুর আড়াই টার দিকে টেকনাফ থেকে সেন্টমার্টিন যাওয়ার পথে বঙ্গোপসাগরের গোলারচর মোহনায় এফবি সাদ্দাম নামের একটি ফিশিং ট্রলার ডুবির ঘটনা ঘটে। এসময় ট্রলারে ১২ জনের মধ্যে ১১ জনকে উদ্ধার করা হয়। সাধারণ জেলেরা ও বাসিন্দারা সেন্টমার্টিন ঘাট থেকে যাওয়া কয়েকটি ফিশিং ট্রলার,  সার্ভিস বোট ও স্পীডবোট যোগে  গিয়ে উদ্ধার তৎপরতা চালায়। এসময় ডুবে যায় একটি স্পীডবোট।

সেন্টমার্টিন থেকে কয়েকজন বাসিন্দা, জনপ্রতিনিধিরা জানিয়েছিলেন, ট্রলার ডুবির পর কোস্টগার্ডকে অবহিত করা হলে তারা উদ্ধার তৎপরতায় সাগরে নামেননি। দ্বীপবাসী সার্ভিস বোট ও ফিশিং ট্রলারে উদ্ধারে যাওয়ার আগেই বাধা দেন। কিন্তু ১১ জনকে উদ্ধার করে ঘাটে ফিরলে কোস্টগার্ড সদস্য তাদের সঙ্গে ছবি তোলার চেষ্টা করে। এতে দ্বীপবাসির সঙ্গে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়।

এক পর্যায়ে উত্তেজিত লোকজন কোস্টগার্ডের চৌকি হামলা করে ভাঙচুর করে। এসময় ফাঁকা গুলি বর্ষণ করে কোস্টগার্ড। এতে গুলিবিদ্ধ হন দ্বীপের কোনাপাড়ার করিম উল্লাহর ছেলে হামিদ হোসেন। বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার দুই দিন দ্বীপের কোনো দোকানপাট খোলা হয়নি।

 

এ ব্যাপারে কোস্টগার্ডের সেন্টমার্টিন স্টেশনের সরকারি নম্বরে গত তিনদিন ধরে একাধিকবার চেষ্টা করা হলেও কেউ রিসিভ করেননি।

Facebook Comments Box

Posted ৬:৩০ পিএম | শুক্রবার, ২৬ জুলাই ২০২৪

|

এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

(173 বার পঠিত)
ইউএসএ থেকে প্রকাশিত অনলাইন নিউজ পোর্টাল সংবাদ এবং তথ্যে আপনার প্রয়োজন মেটাতে

NSM Moyeenul Hasan Sajal

Editor & Publisher
Phone: +1(347)6598410
Email: protidinkar@gmail.com, editor@protidinkar.com

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।