নিজস্ব প্রতিবেদক | শুক্রবার, ২৬ জুলাই ২০২৪ | প্রিন্ট | 24 বার পঠিত
বন্যা পরিস্থিতি উন্নতির সঙ্গে সঙ্গে জামালপুরের গরুর শরীরে ব্যাপক হারে দেখা গিয়েছে লাম্পি স্কিন ডিজিজ ভাইরাস। দিন দিন ছড়িয়ে পড়ছে প্রান্তিক ছোটো ছোটো খামার গুলোতেও। গত এক মাসে এই রোগে আক্রান্ত হয়ে জেলায় শতাধিক গরুর মৃত্যুর হয়েছে। এতে গরু নিয়ে আতঙ্ক ও দিশেহারা হয়ে পড়েছেন মালিকরা।
জেলার বন্যা কবলিত বকশীগঞ্জ, দেওয়ানগঞ্জ, ইসলামপুর, মাদারগঞ্জ এবং সদর উপজেলায় লাম্পি স্কিন ডিজিজে আক্রান্তের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। বন্যার কারণে বিভিন্নস্থানে আশ্রয় নেয়া গরুর শরীরে মশার আক্রমনে প্রথমে গরুর ১০৬ থেকে ১০৭ ডিগ্রি মাত্রায় জ্বর দেখা দিচ্ছে। এবং ২ দিন পর চামড়ায় এক ধরণের গুটি হচ্ছে। এরপর দুই এক দিনের মধ্যেই সেই গুটি নষ্ট হয়ে ঘায়ে পরিনত হচ্ছে। সেখানে তৈরি হচ্ছে বড় বড় ক্ষত।
জামালপুর পৌর এলাকার গরুর মালিক মমিন বলেন, লাম্পি স্কিন ডিজিজ রোগে আক্রান্ত গরুর মুখের রুচি কম। ঘাস-পানি কোনো কিছুই খায় না। চিকিৎসা করাতে অনেক টাকা খরচ হচ্ছে।
হাসপাতালে গিয়েও ভ্যাকসিন না পাওয়ার অভিযোগও করেছেন গরুর মালিকরা।
সদর উপজেলার কেন্দুয়াকালি বাড়ির জীবন নাহার বলেন, ‘লাম্পি স্কিন ডিজিজ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গত বছর শখের গরুটিকে হারিয়েছি। এবারও সেই রোগেই আক্রান্ত হয়েছে আমার আর একটি গরু। এখন এই গরুর চিন্তায় দিশেহারা হয়ে পড়েছি।’
জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা সানোয়ার হোসেন বলেন, এই ভাইরাসে আতঙ্কের কিছু নেই। গরুর বাড়তি পরিচর্যাসহ চিকিৎসকের পরামর্শ নিলেই সেরে যাবে। গরুর মালিকদের সচেতন করতে প্রতিটি এলাকায় মাইকিং করা হচ্ছে। সারাদেশেই এই রোগ ছড়িয়ে পড়েছে। রোগ প্রতিরোধে পর্যাপ্ত ভ্যাকসিনও মজুত আছে।
তবে এই রোগে আক্রান্ত হয়ে জেলায় কি পরিমাণ গরু মারা গেছে তার কোনো হিসাব নেই বলে জানান তিনি।
প্রাণিসম্পদ বিভাগের কাছে গরুর মৃত্যুর কোনো হিসাব না থাকলে গত এক মাসে ৬ উপজেলায় শতাধিক গরু লাম্পি স্কিন ডিজিজ রোগে আক্রান্ত মারা গেছে বলে জানা গেছে।
Posted ৬:২২ পিএম | শুক্রবার, ২৬ জুলাই ২০২৪
এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।