শনিবার ২১শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ৬ই আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ইউএসএ থেকে প্রকাশিত অনলাইন নিউজ পোর্টাল
সংবাদ এবং তথ্যে আপনার প্রয়োজন মেটাতে

৫২ কেজিতে আমের মণ, জিম্মি চাষিরা

ডেস্ক রিপোর্ট   |   শনিবার, ২২ জুন ২০২৪   |   প্রিন্ট   |   98 বার পঠিত

৫২ কেজিতে আমের মণ, জিম্মি চাষিরা

চাঁপাইনবাবগঞ্জকে বলা হয় আমের রাজধানী। আর এ জেলার শিবগঞ্জ উপজেলায় অবস্থিত দেশের বৃহত্তম আম বাজার কানসাট। তবে এই আম বাজারে আড়তদারদের কাছে জিম্মি সাধারণ চাষিরা। শুধু এই বাজারেই নয়, জেলায় রহনপুর-ভোলাহাটেও এক মণে অন্তত ১৫-২০ কেজি আম বেশি নিচ্ছেন তারা। এতে বিপাকে পড়েছেন আমচাষি ও ব্যবসায়ীরা। গত তিন বছর ধরে চলা এই অনিয়ম যেন দেখার কেউ নেই।

সরেজমিনে শনিবার (২২ জুন) দিনব্যাপী কানসাট আম বাজার ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে। আম চাষিদের অনেকটা জিম্মি করেই ৫০ থেকে ৫২ কেজিতে একমণ ধরে আম কিনছেন আড়তদাররা। বাড়তি ওজনে আম বিক্রি করতে অপারগতা প্রকাশ করলে চাষিদের সঙ্গে বাজে আচরণেরও অভিযোগ উঠেছে। এমনকি শুধু ৫২ কেজিতে নয়, মণে আরও দু-একটি আম নেওয়া হয়। এতে এক মণে অন্তত ১২-১৫ কেজির বেশি নিচ্ছেন আড়তদাররা।

এদিকে জেলার গোমস্তাপুর উপজেলার রহনপুর আম বাজার ও ভোলাহাট আম বাজারে এক মণে নেওয়া হচ্ছে প্রায় ৬০ কেজি। এক কথায় এক মণে ১৫-২০ কেজি আম বেশি নিচ্ছেন তারা।

কানসাট বাজারে খিরসাপাত আম বিক্রি করতে এসেছিলেন আব্বাস বাজার এলাকার বাসিন্দা হাবিবুর রহমান হাবিব। তিনি বলেন, গত চার বছর আগে আমরা ৪২-৪৩ কেজিতে মণ ধরে আম বিক্রি করেছি। কিন্তু ২০২২ সালে ৪৮ কেজিতে মণ ধরে আম ক্রয় করেন আড়তদাররা। সেই থেকে বছর বছর বাড়ছে ওজনের পরিধি। চলতি বছর ৫২ থেকে ৫৫ কেজিতে মণ ধরে আম ক্রয় করছেন তারা। আমরা এখন বিপাকে। কোথায় যাবো, কার কাছে বলবো এ অনিয়মের কথা।

মুসলিমপুর গ্রামের বাসিন্দা আতাউর রহমান বলেন, এ বছর অন্য বছরের থেকে গাছে আম অনেক কম এসেছে। এদিকে আম বিক্রি করতে এসে শুনছি ৫২ কেজিতে এক মণ ধরা হবে। এতে আমার মাথায় আকাশ ভেঙে পড়েছে। গত বছরও আমাদের জিম্মি করে ৫০ কেজিতে মণ নিয়েছেন আড়তদাররা। এবার ফের ৫২ কেজিতে মণ নিচ্ছেন। অনেক সময় টালবাহানা করে অন্তত ৫৫ কেজিতে আমের মণ নিচ্ছেন আড়তদাররা।

শ্যামপুর চৌধুরীপাড়া গ্রামের বাসিন্দা আসমাউল হাসান বলেন, এবার ৭০ শতাংশ বাগানেই আম নেই। বাগানে গিয়ে মনটা খারাপ হয়ে যাচ্ছে। বাজারে এসে শুনছি মণে ১২-১৫ কেজি আম বেশি দিতে হবে। এখন আপনি বলেন, আমরা কোথায় আম বিক্রি করবো।

এ বিষয়ে কানসাট আম আড়তদার ব্যবসায়ী সমবায় সমিতির সাধারণ সম্পাদক ওমর ফারুক টিপু বলেন, শুধু কানসাট নয়, রাজশাহী, নওগাঁ, গোমস্তাপুর, ভোলাহাট সব স্থানেই বিষয়টি নিয়ে ঝামেলা হচ্ছে। আমরা চাই রাজশাহী বিভাগের সব আম বাজারে এক ধরনের ওজন নির্ধারণ করা হোক। এটি নিয়ে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথাবার্তা চলছে। আমারা বিষয়টি নিয়ে কয়েকদিন আগেও বৈঠকে বসেছিলাম। কিন্তু রহনপুর ও ভোলাহাট আমাদের সিদ্ধান্ত মেনে নেয়নি।

এবার জেলায় ৪ লাখ ৫০ হাজার মেট্রিক টন আম উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে কৃষি বিভাগ, যা গত বছর ছিল ৪ লাখ ২৫ হাজার মেট্রিক টন। তবে কৃষি বিভাগের লক্ষ্যামাত্রা বাড়লেও আমের উৎপাদন বৃদ্ধির সম্ভাবনা খুবই কম। কারণ চাষিরা বলছেন গত বছরের তুলনায় ৭০ শতাংশ গাছেই এবার আম হয়নি।

 

Facebook Comments Box

Posted ১১:২২ এএম | শনিবার, ২২ জুন ২০২৪

|

এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

ইউএসএ থেকে প্রকাশিত অনলাইন নিউজ পোর্টাল সংবাদ এবং তথ্যে আপনার প্রয়োজন মেটাতে

NSM Moyeenul Hasan Sajal

Editor & Publisher
Phone: +1(347)6598410
Email: protidinkar@gmail.com, editor@protidinkar.com

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।