ডেস্ক রিপোর্ট | মঙ্গলবার, ২১ মে ২০২৪ | প্রিন্ট | 86 বার পঠিত
গত বছর চা উৎপাদনে নতুন রেকর্ড গড়ে বাংলাদেশ। ছোঁয় ১০ কোটি কেজি চা উৎপাদনের মাইলফলক, যা ১৮৪ বছরের ইতিহাসে সর্বোচ্চ। এবছরও উৎপাদনে প্রবৃদ্ধি ভালো। রেকর্ড উৎপাদনের পর যেখানে রপ্তানি বাড়ার কথা, সেখানে দেখা যাচ্ছে উল্টো চিত্র। রপ্তানি কমে বরং আমদানি বাড়ছে।
তথ্য বলছে, একসময় বাংলাদেশের দ্বিতীয় প্রধান রপ্তানি পণ্য ছিল চা। পাটের পরেই ছিল চায়ের অবস্থান। এখন সেই চিত্র আর নেই। সময়ের পরিক্রমায় রপ্তানিকারক দেশটি পরিণত হয়েছে চায়ের বড় আমদানিকারকে।
২১ মে পালিত হচ্ছে বিশ্ব চা দিবস। এই সময়ে এসে বাংলাদেশের উৎপাদন বাড়ায় বাড়তি চা রপ্তানিতে নজর দিতে তাগিদ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। তারা বলছেন, রপ্তানি বাড়াতে চায়ের গুণগতমান আরও বাড়ানো প্রয়োজন। তাহলে রপ্তানি বাজারও সম্প্রসারিত হবে।
আমরা যেভাবে উৎপাদনে ভালো করছি, সেভাবে রপ্তানিতে এগিয়ে যেতে পারছি না। সেটা দুঃখজনক। বরং আমদানি বাড়ছে, তাতে অর্থ (বৈদেশিক মূদ্রা) খরচের চাপ বাড়ছে, সেটা ভালো নয়।- কৃষি অর্থনীতিবিদ ড. জাহাঙ্গীর আলম খান
চা বোর্ডের তথ্য বলছে, দেশে চায়ের চাহিদা ৯ কোটি ২০ থেকে ৩০ লাখ কেজি। উৎপাদন বাড়ায় এখন বাড়তি চা রপ্তানি সম্ভব। গত বছর ১০ লাখ ৪০ হাজার কেজি চা রপ্তানি হয়েছে। তবে ২০২০ সালে ২১ লাখ ৭ হাজার কেজি চা রপ্তানি হয়েছিল। এরপর দুই বছর টানা কমেছে রপ্তানি। ২০২১ সালে রপ্তানির পরিমাণ কমে দাঁড়ায় ৬ লাখ ৮ হাজার কেজি এবং ২০২২-এ ৭ লাখ ৮ হাজার কেজি। পরের বছর রপ্তানি কিছুটা বাড়ে। তবে মাত্র তিন বছর আগের তুলনায় এখনো রপ্তানি অর্ধেক।
ঠিক উল্টো চিত্র দেখা যাচ্ছে আমদানিতে। ২০২০ সালে দেশে ৬ লাখ ৮০ হাজার কেজি চা আমদানি করা হয়। এরপর তা ক্রমে বেড়ে ২০২১ সালে ৭ লাখ ৪০ হাজার কেজি এবং ২০২২ সালে ১০ লাখ কেজিতে এবং শেষ ২০২৩ সালে প্রায় ১২ লাখ কেজি চা আমদানি হয়। এবছর আমদানি আরও বাড়বে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
চা বোর্ড সূত্রে জানা যায়, নব্বইয়ের দশকে চা রপ্তানিকারক দেশ হিসেবে বিশ্বে বাংলাদেশের অবস্থান ছিল পঞ্চম। দেশীয় চায়ের গুণগত মান ভালো হওয়ায় বিদেশি ক্রেতাদের কাছে চায়ের চাহিদা ছিল বেশি। তাই তখন এ দেশের রপ্তানি পণ্যের তালিকায় ওপরের দিকেই ছিল চা।
Posted ৫:৫৯ এএম | মঙ্গলবার, ২১ মে ২০২৪
এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।