রবিবার ১৬ই মার্চ, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ২রা চৈত্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ইউএসএ থেকে প্রকাশিত অনলাইন নিউজ পোর্টাল
সংবাদ এবং তথ্যে আপনার প্রয়োজন মেটাতে

রাজাকারের নাতিরা সব পাবে, মুক্তিযোদ্ধার নাতিপুতিরা কিছুই পাবে না?

নিজস্ব প্রতিবেদক   |   রবিবার, ১৪ জুলাই ২০২৪   |   প্রিন্ট   |   99 বার পঠিত

রাজাকারের নাতিরা সব পাবে, মুক্তিযোদ্ধার নাতিপুতিরা কিছুই পাবে না?

কোটা আন্দোলনকারী এবং দেশবাসীর কাছে প্রশ্ন রেখে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বীর মুক্তিযোদ্ধাদের বিরুদ্ধে এত ক্ষোভ কেন? রাজাকারের নাতিপুতিরা সবকিছু পাবে, আর মুক্তিযোদ্ধার নাতিপুতিরা কিছুই পাবে না?

 

রোববার (১৪ জুলাই) বিকেলে গণভবনে চীন সফর উপলক্ষ্যে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলন এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।

সংবাদ সম্মেলনে এক সাংবাদিক প্রশ্ন করেন- দেশে কোটাবিরোধী আন্দোলন চলছে। এক মুক্তিযোদ্ধার স্ত্রী ক্যান্সারে আক্রান্ত কিন্তু চিকিৎসার টাকা নেই। এটা হলো মুক্তিযোদ্ধাদের এখনকার অবস্থা। অথচ তাদের উদ্দেশ্য করে প্রতিনিয়ত অবমাননাকর বক্তব্য রাখা হচ্ছে। এই অবমাননা তারা সহ্য করতে পারছেন না। এই রাষ্ট্রের কিছু করণীয় আছে কি না?

 

জবাবে শেখ হাসিনা বলেন, মুক্তিযোদ্ধাদের বিরুদ্ধে এত ক্ষোভ কেন? তাদের নাতিপুতিরা পাবে না, তাহলে কি রাজাকারের নাতিপুতিরা পাবে? এটা আমার দেশবাসীর কাছে প্রশ্ন। তাদের অপরাধটা কী? নিজের জীবন বাজি রেখে, নিজের পরিবার সব ফেলে যারা মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছে, দিনরাত খেয়ে না খেয়ে, কাদামাটি পেরিয়ে, ঝড়বৃষ্টি সব মোকাবিলা করে যুদ্ধ করে এ দেশে বিজয় এনে দিয়েছিল। বিজয় এনে দিয়েছিল বলেই তো আজ সবাই উচ্চপদে আসীন। আজ গলা বাড়িয়ে কথা বলতে পারছে। তা না হলে পাকিস্তানিদের বুটের লাথি খেয়ে থাকতে হতো।

তিনি বলেন, আগে বিদেশে যেতে হলে ভিসা নিতে হতো করাচিতে গিয়ে। কারণ তখন করাচি ছিল রাজধানী। এরপর রাজধানী হলো ইসলামাবাদ। তখন বিদেশে যেতে আন্তর্জাতিক কোনো ফ্লাইট ঢাকা থেকে চলত না। আন্তর্জাতিক ফ্লাইট নিতে হতো হয় দিল্লি থেকে, না হয় করাচি থেকে। ঢাকা থেকে কোনো আন্তর্জাতিক ফ্লাইট যেত না। এটা আমার নিজের অভিজ্ঞতা।

এর আগে গত ৮ জুলাই বেইজিং সফরে যান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বেইজিংয়ে অবস্থানকালে চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রী। এ ছাড়া চীনা প্রধানমন্ত্রী লি কিয়াংয়ের সঙ্গেও প্রতিনিধি পর্যায়ের দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে অংশ নেন।

সফরের শেষ দিন ১০ জুলাই বেইজিংয়ের গ্রেট হল অব দ্য পিপলে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী ও চীনের প্রধানমন্ত্রীর মধ্যে বৈঠক হয়। এরপর দুই দেশ ২১টি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষর করে এবং সাতটি প্রকল্পের ঘোষণা দেয়।

Facebook Comments Box

Posted ৩:০২ পিএম | রবিবার, ১৪ জুলাই ২০২৪

|

এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

(173 বার পঠিত)
ইউএসএ থেকে প্রকাশিত অনলাইন নিউজ পোর্টাল সংবাদ এবং তথ্যে আপনার প্রয়োজন মেটাতে

NSM Moyeenul Hasan Sajal

Editor & Publisher
Phone: +1(347)6598410
Email: protidinkar@gmail.com, editor@protidinkar.com

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।