ডেস্ক রিপোর্ট | শনিবার, ২৫ মে ২০২৪ | প্রিন্ট | 83 বার পঠিত
ঢাকার জলাধার সংরক্ষণ, পার্কগুলোর যত্ন নেওয়া এবং শহরকে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখতে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও নাগরিকদের আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পাশাপাশি পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় গাছ লাগানোরও পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।
শনিবার (২৫ মে) ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ৪টি উন্নয়ন প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করে বঙ্গবাজারে সুধী সমাবেশে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এসব কথা বলেন। চার প্রকল্প হলো- বঙ্গবাজারে ‘বঙ্গবাজার নগর পাইকারি বিপণিবিতান’, পোস্তগোলা ব্রিজ থেকে রায়েরবাজার স্লুইসগেট পর্যন্ত আট লেনের ‘বীর মুক্তিযোদ্ধা ফজলুল হক মণি সরণি (ইনার সার্কুলার রিং রোড)’, ধানমন্ডি হ্রদে ‘নজরুল সরোবর’ এবং শাহবাগে ‘হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী শিশু উদ্যান’ আধুনিকীকরণ।
জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাস থেকে দূরে থাকতে হবে
জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাস থেকে দূরে থাকতে জনগণের মধ্যে সচেতনতা সৃষ্টির ওপর গুরুত্বারোপ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, যুবসমাজকে লেখাপড়া করতে হবে। মাদক, নেশা, দুর্নীতি, জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাস থেকে দূরে থাকতে হবে। একটা ঘরে একটা সন্তান মাদকাসক্ত হলে পুরো পরিবারকে ধ্বংস করে দেয়। বাবা-মা এবং নিজেদের কষ্ট দেওয়া কেন? মাদকাসক্ত হলে তো নিজেও একটা সময় অসুস্থ হয়ে যায়। নিজেদের ঘর সংসার হয় না, কিচ্ছু হয় না। সেজন্য আমি মনে করি, একটা সচেতনতা তৈরি করা দরকার। যাতে আমাদের সন্তানরা নিজের পায়ে দাঁড়ায়, নিজের আয়ে খায়, আত্মসম্মান নিয়ে বাঁচে। সেটাই আমরা চাই।
তিনি বলেন, কোনো রকম পাস করে চাকরির পেছনে না ছুটে নিজেই উদ্যোক্তা হবেন। নিজেই নিজের বস হবেন। অন্যকেও চাকুরি দেবেন। এজন্য আমরা ট্রেনিংয়ের ব্যবস্থা করছি। নানান সুযোগ দিচ্ছি। শুধু দেশে নয়, বিদেশে যেতেও ট্রেনিং নিয়ে গেলে ভালো করে। এগুলোতে আমাদের তরুণদের উদ্যমী করতে হবে।
যত্রতত্র পশু জবাই নয়
বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় নাগরিকদের সহযোগিতা চেয়ে সরকারপ্রধান বলেন, বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় আপনাদের সহযোগিতা দরকার। যেখানে সেখানে ময়লা না ফেলা, নির্দিষ্ট জায়গায় ফেলা। সিটি কর্পোরেশনকে বলবো, নির্দিষ্ট জায়গা থেকে ময়লা নিয়ে পরিষ্কার করে রাখতে হবে, যাতে শহরটা পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকে। সামনে কুরবানির ঈদ আসবে, আপনাদের অনুরোধ, যেখানে সেখানে কুরবানি দেবেন না। তাতে জায়গা নষ্ট হয়, আবর্জনা হয়। সেক্ষেত্রে সিটি কর্পোরেশন নয়, সারা বাংলাদেশের জন্য আমার নির্দেশনা রয়েছে, প্রত্যেক জায়গায় আধুনিক প্রযুক্তিসম্পন্ন ব্যবস্থা রাখতে হবে। যার যার পশু নিয়ে যাবে, তার একটা নম্বর থাকবে, সেটা কাটা হলে পরিষ্কার করে তার কাছে পৌঁছে দেবে বা নিয়ে যাবে। একটা জবাইকৃত পশুর রক্ত, চামড়া, হাড়, সবই কিন্তু কাজে লাগে। যেখানে সেখানে এই কার্যক্রম না করতে আমি অনুরোধ করবো।
জলাধার নষ্ট করে দালান কোঠা করা যাবে না
প্রকৌশলীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, আমাদর আর্কিটেক্টদের একটা খামখেয়ালিপনা আছে। পুকুর দেখলেই একটা দালান করার প্রবণতা আছে তাদের। অথচ এই ঢাকা শহর পুকুর-খালে ভরপুর ছিল। বেশিরভাগ খাল বন্ধ, নয় বন্ধ করে দালান কোঠা করা হয়েছে। পুকুরগুলো বন্ধ। খালগুলো উদ্ধার করা হয়েছে। দয়া করে যেখানেই পরিকল্পনা নেন, জলাধার সংরক্ষণ করবেন। জলাধার সংরক্ষণ করলে বাতাসও পরিচ্ছন্ন থাকে, এত গরম হয় না। সেদিকে বিশেষভাবে সবাইকে নজর দিতে হবে। জায়গা পেলেই যেখানে সেখানে পরিকল্পনা ছাড়া নির্মাণ কাজ করা যাবে না।
বঙ্গবাজারের আগুনের প্রতি ইঙ্গিত করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, একদিন যে জায়গাটা আগুনে পুড়ে অনেক মানুষ নিঃস্ব হয়ে গিয়েছিল, আজকে তাদর পুনর্বাসনের জন্য আমরা পদক্ষেপ নিচ্ছি।
স্থানীয় সরকারমন্ত্রী তাজুল ইসলামরে সভাপতিত্বে এতে আরও বক্তব্য দেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নুর তাপস, সংসদ সদস্য আ ফ ম বাহাউদ্দীন নাছিম ও স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব মোহাম্মদ ইব্রাহীম।
Posted ৮:১৭ এএম | শনিবার, ২৫ মে ২০২৪
এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।