রবিবার ১৬ই মার্চ, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ২রা চৈত্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ইউএসএ থেকে প্রকাশিত অনলাইন নিউজ পোর্টাল
সংবাদ এবং তথ্যে আপনার প্রয়োজন মেটাতে

বিভিন্ন খাদ্যপণ্যে নেই বিএসটিআই স্ট্যান্ডার্ড, বিপাকে কোম্পানি

ডেস্ক রিপোর্ট   |   বৃহস্পতিবার, ১৩ জুন ২০২৪   |   প্রিন্ট   |   85 বার পঠিত

বিভিন্ন খাদ্যপণ্যে নেই বিএসটিআই স্ট্যান্ডার্ড, বিপাকে কোম্পানি

দেশে কত ধরনের খাদ্যপণ্য আছে, তার সুনির্দিষ্ট পরিসংখ্যান নেই। তবে ধারণা করা হয়, এর পরিমাণ কয়েক হাজার হবে। কিন্তু বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশনের (বিএসটিআই) বাধ্যতামূলক মান সনদের আওতাভুক্ত পণ্য ২৭৩টি। এর মধ্যে অর্ধেকেরও কম খাদ্যপণ্য। অন্যগুলো পাটবস্ত্র, রাসায়নিক পদার্থ এবং বৈদ্যুতিক প্রযুক্তির পণ্য। বাধ্যতামূলক পণ্য বাজারজাতকরণে বিএসটিআই সার্টিফিকেশন মার্কস (সিএম) লাইসেন্স নিতে হয় উৎপাদনকারী, মোড়কজাতকারী অথবা আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানকে।

তবে বাধ্যতামূলক এ তালিকার বাইরে অন্য কোনো খাদ্যপণ্য বাজারজাতকরণে বিএসটিআইয়ের সিএম লাইসেন্স গ্রহণ স্বেচ্ছাপ্রণোদিত। অর্থাৎ কোনো প্রতিষ্ঠান চাইলে এ লাইসেন্স গ্রহণ করতে পারে, না নিলেও কোনো সমস্যা নেই। সেজন্য বিএসটিআই আইনে কোনো বাধ্যবাধকতা রাখা হয়নি। শুধু খাদ্যপণ্য প্রস্তুতের ক্ষেত্রে বিএসটিআই প্রণীত বাংলাদেশ মান বা বিডিএস অনুসরণ করতে হবে।

তবে সম্প্রতি বেশ কিছু পণ্য নিয়ে তৈরি হয়েছে জটিলতা। বিএসটিআইয়ের মানদণ্ড বা নীতিমালা নেই, এমন পণ্য বাজারজাত করে বিপাকে পড়েছে কোম্পানিগুলো। যদিও তাদের পণ্যের অনুমোদন নেওয়ার কোনো সুযোগ ছিল না।

বিএসটিআই ও নিরাপদ খাদ্য আইনের কোথাও বলা নেই যে, সিএম লাইসেন্সের বাইরে থাকা পণ্যগুলো অনুমোদন ছাড়া বাজারজাত করা যাবে না। তবে পণ্য বিপণনের পরে যদি তাতে কোনো ধরনের স্বাস্থ্যগত ঝুঁকি প্রমাণিত হয়, তবে সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নিতে পারবে এ দুই কর্তৃপক্ষ।

অর্থাৎ কোনো পণ্য লাইসেন্স পাওয়ার পর উৎপাদন শুরু করবে এমনটা নয়। বাজারে বিপণনের পরে পণ্যসামগ্রীর মান প্রণয়ন, প্রণীত মানের ভিত্তিতে পণ্যের গুণাগুণ পরীক্ষার পর বাধ্যতামূলক মান সনদের আওতাভুক্ত করা হবে। এরপর কোম্পানিগুলোর আবেদনের ভিত্তিতে পণ্যগুলো পরীক্ষার পর মান সনদ দেওয়া ও ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম সার্টিফিকেট দেওয়া হবে। সেটাই হয়ে আসছে এতদিন।

মান প্রণয়নের আগে কোনো পণ্যের লাইসেন্স দিতে পারে না বিএসটিআই। এ ব্যাপারে সংস্থাটির উপ-পরিচালক মো. রিয়াজুল হক বলেন, ‘কোনো পণ্য বাধ্যতামূলক পণ্যের আওতায় না পড়লে আমরা সেটার অনুমোদন দিতে পারি না। এটি বাজারজাতেও কোনো বাধা নেই। বিএসটিআইয়ের আইনে করণীয় কিছু নেই।’

এমন অবস্থায় কোম্পানিগুলো বলছে, দেশে এ ধরনের ইলেকট্রোলাইট বিদেশি পণ্য বিক্রি হচ্ছে বহুদিন ধরেই। যেগুলো আমদানি করা। কিন্তু তিন বছর আগে স্বল্প পরিসরে দেশে এটির উৎপাদন শুরু হয়, যা গত বছরের গরমে পরিচিতি পায়। এরপর এটি উৎপাদনে যায় কয়েকটি কোম্পানি। যারা এখন মামলা জটিলতায় পড়েছে। যদিও বিদেশি ড্রিংকসগুলো এখনো বাজারে ‘বহাল তবিয়তে’।

 

Facebook Comments Box

Posted ১২:২৯ পিএম | বৃহস্পতিবার, ১৩ জুন ২০২৪

|

এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

(173 বার পঠিত)
ইউএসএ থেকে প্রকাশিত অনলাইন নিউজ পোর্টাল সংবাদ এবং তথ্যে আপনার প্রয়োজন মেটাতে

NSM Moyeenul Hasan Sajal

Editor & Publisher
Phone: +1(347)6598410
Email: protidinkar@gmail.com, editor@protidinkar.com

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।