নিজস্ব প্রতিবেদক | শুক্রবার, ২৬ জুলাই ২০২৪ | প্রিন্ট | 22 বার পঠিত
ছুটির দিনগুলোতে স্বাভাবিক সময়ে পর্যটকদের পদচারণায় মুখরিত থাকে সিলেট অঞ্চলের পর্যটন কেন্দ্রগুলো। অথচ শুক্রবার (২৬ জুলাই) দেখা যায় সিলেটের জাফলং, সাদাপাথর, বিছানাকান্দি, রাতারগুল, মাধবকুণ্ডসহ পর্যটন কেন্দ্র এখন জনমানবশূন্য।
টানা বন্যা, কোটা আন্দোলন, শাট ডাউন এবং কারফিউ, এই অবস্থায় প্রায় দু’মাস ধরে দৈন্যদশা চলছে সিলেট অঞ্চলের পর্যটন শিল্পে। এই শিল্পের সঙ্গে সংশ্লিষ্টরা বলছেন, হোটেল, মোটেল, রিসোর্টসহ পরিবহন খাত মিলিয়ে এই শিল্পে ক্ষতির পরিমাণ হাজার কোটি ছাড়িয়ে যাবে।
এ বছরের মে মাসের শেষ দিকে শুরু বন্যা সিলেটকে ডুবিয়ে রাখে প্রায় দেড় মাস। এরইমধ্যে ঈদুল আজহার ছুটিতে সিলেটের পর্যটন কেন্দ্রগুলোতে পর্যটকদের যাতায়াত বন্ধ থাকে।
বন্যার ধকল কাটতে না কাটতে জুলাই মাসে শুরু হয় কোটা সংষ্কার আন্দোলন। এক সময় আন্দোলন ভয়াবহ রূপ নেয়। চলতে থাকে শাট ডাউন। ১৯ জুলাই রাতে জারি করা হয় কারফিউ। যার প্রভাবে পর্যটন কেন্দ্রগুলো হয়ে পড়ে পর্যটনশূন্য।
জাফলং পর্যটন কেন্দ্রের ব্যবসায়ী রফিক জানান, এই পর্যটন কেন্দ্র এক হাজার বিভিন্ন স্তরের ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী দুই মাস ধরে বেকার জীবনযাপন করছে।
একই পর্যটন কেন্দ্রের ফটোগ্রাফার আনোয়ায়া জানান, সিলেটের জাফলং, সাদাপাথরসহ সব ক’টি পর্যটন কেন্দ্র দুহাজারের মতো ফটোগ্রাফার বেকার হয়ে কষ্টে দিন কাটাচ্ছে।
সিলেটের হোটেল, মোটেল, রিসোর্ট ও রেস্টহাউজ ওনার্স গ্রুপের সভাপতি খন্দকার সিপারা আহমদ জানান, এ অঞ্চলে পাঁচ শতাধিক হোটেল, মোটেল, রিসোর্ট ও রেস্টহাউজ রয়েছে। এতে বিনিয়োগ করে হতাশায় ভুগছেন বিনিয়োগকারীরা। তাছাড়া পর্যটন শিল্পের সঙ্গে পরিবহন, নৌকাসহ বিভিন্ন খাত মিলে এই শিল্পের ক্ষতি পরিমাণ হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়ে যাবে।
স্বাভাবিক সময়ে বছর জুড়ে সিলেটের জাফলং, সাদাপাথর, বিছনাকান্দি, রাতারগুলসহ পর্যটন কেন্দ্রগুলো ১০ লাখ পর্যটক যাতায়াত করে থাকেন।
Posted ৬:১২ পিএম | শুক্রবার, ২৬ জুলাই ২০২৪
এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।