| বৃহস্পতিবার, ২৮ ডিসেম্বর ২০২৩ | প্রিন্ট | 27 বার পঠিত
রাজধানীর গুলশান থানার একটি নাশকতার মামলায় বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল (অব.) আলতাফ হোসেন চৌধুরী, মেজর (অব.) মো. হাফিজ উদ্দিন আহমেদ, মেজর (অব.) মো. হানিফকে পৃথক দুই ধারায় এক বছর ৯ মাসের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার(২৮ ডিসেম্বর) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট রাজেশ চৌধুরী এ রায় ঘোষণা করেন।
বয়স শারীরিক অসুস্থতা বিবেচনায় সর্বোচ্চ সাজা না দিয়ে আদালত এ সাজার আদেশ দেন।
এক ধারায় তাদের তিন মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
অন্য আরেক ধারায় দেড় বছর কারাদণ্ডের পাশাপাশি তাদের পাঁচ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ড, অনাদায়ে তাদের আরও এক মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
বাকি ৫ আসামিকে পৃথক দুই ধারায় সাড়ে তিন বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। এরা হলেন- এমএ আউয়াল খান, রাসেল, মইনুল ইসলাম, বাবুল হোসেন ওরফে বাবুল ও আলমগীর বিশ্বাস ওরফে রাজু।
আরেক ধারায় তাদের তিন বছর করে কারাদণ্ড, ৫ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ড, অনাদায়ে তাদের এক মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। আরেক ধারায় দেওয়া হয়েছে ৬ মাসের কারাদণ্ড।
অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় খালাস পেয়েছেন ১১ জন। এরা হলেন-এম এ কাইয়ুম ওরফে কাইয়ুম কমিশনার, দুলাল, তোফায়েল আহমেদ ওরফে লিটন, জাহাঙ্গীর শিকদার, আরিফুল ইসলাম, বেলাল হোসেন, শামসুল হক মিয়াজী, বিপ্লব, খুরশীদ আলম মমতাজ, মোশারফ হোসেন ও মাহবুব।
আসামি পক্ষের আইনজীবী জিয়া উদ্দিন জিয়া বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, আসামিরা ২০১১ সালের ৪ জুন গুলশান থানাধীন মহাখালী ওয়ারলেস গেট পানির ট্যাংকির সামনে রাস্তার ওপর অবৈধ সমাবেশ থেকে পুলিশের কাজে বাধা দেন এবং তাদের উপর আক্রমণ করেন এবং রাস্তায় চলাচলরত গাড়ি ভাঙচুর ও আগুন ধরিয়ে দেন।
২০১৪ সালের ২৯ এপ্রিল মামলাটি তদন্তের পর গুলশান থানার উপপরিদর্শক কামরুল হাসান তালুকদার আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
২০২২ সালের ২৫ এপ্রিল এ মামালায় আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন আদালত।
মামলার বিচার চালাকালীন আদালত ১২ জন সাক্ষীর মধ্যে সাতজনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেছেন।
Posted ১২:৩১ পিএম | বৃহস্পতিবার, ২৮ ডিসেম্বর ২০২৩
| admin
এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।