ডেস্ক রিপোর্ট | বৃহস্পতিবার, ২০ জুন ২০২৪ | প্রিন্ট | 101 বার পঠিত
শ্বশুরের ভিটা আছে, তবে জায়গা ছিল অল্প। একটি মাত্র ঘর। সেখানে শ্বশুর-শাশুড়ি, দেবর-ননদসহ সবাই থাকতাম। স্বামীর তেমন কিছু ছিল না। দুই বছর হয়েছে এ ঘর পেয়েছি। এখন আল্লাহ ভালোই রেখেছেন। মোটামুটি খেয়েদেয়ে ভালো আছি। ছেলে-মেয়ে স্কুলে যায়। স্বামীও দোকান করে ভালো আয় করেন। এখন অনেক ভালো আছি।’
কথাগুলো বলছিলেন ভোলার চরফ্যাশন উপজেলার জাহানপুর ইউনিয়নের পাঁচ কপাট গ্রাম সংলগ্ন আশ্রয়ণ প্রকল্পের বাসিন্দা ইয়াসনুর বেগম। স্বামী জাফর উল্যাহ। ঘরের পাশেই মুদি দোকান করেন। এক ছেলে ও এক মেয়ে তাদের। ছেলের বয়স তিন বছর, মেয়ের বয়স আট বছর। মেয়ে তৃতীয় শ্রেণিতে পড়ে।
ইয়াসনুর বলেন, ‘নিজস্ব জমি ও ঘর হওয়ায় এখন দেশি মুরগি, হাঁস ও চিনা হাঁস পালন করি। নিজেদের খাওয়ার পাশাপাশি দু-একটা বিক্রিও করি। বাসার সামনেই শাক-সবজির চাষ করি। নিজেদের খাওয়ার জন্য যথেষ্ট হয়ে যায়। আলাদা করে কেনা লাগে না। স্বামী আয় করেন, এখন আমাদের জীবন ভালো চলে। সবচেয়ে বড় বিষয় মাথাগোঁজার ঠাঁই আছে। নিজের বলতে একটা ঠিকানা আছে।’
ইয়াসনুরের প্রতিবেশী মোহাম্মদ হোসেন। পেশায় জেলে। চার সন্তান নিয়ে থাকতেন বেড়িবাঁধে সরকারি জায়গায়। তিনি বলেন, ‘খাবার জোটাতেই হিমশিম ছিল, সন্তানদের পড়াশোনা আর বাড়ি করা তো দুঃস্বপ্ন। কিন্তু জমিসহ ঘর পেয়ে ভালো আছি। একটা ঠিকানা হয়েছে। ছেলে-মেয়েরা পড়াশোনা করে। যেখানেই কাজে যাই, নিশ্চিন্তে থাকি স্ত্রী-সন্তান নিজের ঘরে আছে। কাজ শেষে নিজের বাড়ি ফিরি। আগে তো এটা ছিল না। ভাসমান জীবন ছিল। আমাদের যেহেতু ভাগ্য ফিরেছে, চেষ্টা করছি এবং আশা করি ছেলে-মেয়েরা আরও ভালো কিছু করবে।
সারাদেশে আশ্রয়ণ প্রকল্পের অধীন ৫ লাখ ৮২ হাজার ৫৩ ভূমি ও গৃহহীন পরিবারের ২৯ লাখ ১০ হাজার ২৬৫ জনকে পুনর্বাসন করা হয়েছে। আশ্রয়ণের পাশাপাশি অন্য প্রকল্প মিলে ১৯৯৭ সাল থেকে এ পর্যন্ত সারাদেশে ৮ লাখ ৬৭ হাজার ৯০৪ ভূমি ও গৃহহীন পরিবারের প্রায় ৪৩ লাখ ৪০ হাজার মানুষকে পুনর্বাসন করা হয়েছে।
Posted ৫:৪২ এএম | বৃহস্পতিবার, ২০ জুন ২০২৪
এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।