শুক্রবার (১৯ আগস্ট) দুপুরে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় চট্টগ্রামে জন্মাষ্টমীর অনুষ্ঠানে দেওয়া বক্তব্য নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের মুখে পড়েন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। সরকার টিকিয়ে রাখতে ভারতকে অনুরোধ করা নিয়ে দেওয়া বক্তব্য পরিষ্কার করতে এক সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, তিনি ভারত গিয়ে বলেছেন, ‘শেখ হাসিনা সরকারের স্থিতিশীলতা থাকুক। এ ব্যাপারে ভারত সাহায্য করলে খুব খুশি হব।’
এর আগে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় চট্টগ্রাম শহরের জে এম সেন হলে জন্মাষ্টমী উৎসবের অনুষ্ঠানে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছিলে, ‘আমি ভারতে গিয়ে বলেছি, শেখ হাসিনাকে টিকিয়ে রাখতে হবে।’
ওই বক্তব্যের বিষয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘কালকে (বৃহস্পতিবার) আমি যে জিনিসটা বলেছি, শেখ হাসিনা, উনি আছেন বলেই আমাদের দেশের উন্নয়ন হচ্ছে। উনি আছেন বলেই বাংলাদেশে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি আছে। আমি বলেছি, বঙ্গবন্ধু পৃথিবীর মধ্যে একটি দিকনির্দেশনা দিয়ে গেছেন, যে অসাম্প্রদায়িক সমাজব্যবস্থা গড়ে তুললে সবার মঙ্গল হয়। আর এ দেশে যত নাগরিক আছে, সে যে কোনো ধর্মের হোক, তার সমান অধিকার। সে বাঙালি, আমাদের বাংলাদেশের নাগরিক। আর আমি বলেছি, শেখ হাসিনা যদি সরকারে থাকেন, তাহলে স্থিতিশীলতা থাকে।’
আসামের মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে আলাপচারিতার প্রসঙ্গ তুলে ধরে পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্দুল মোমেন বলেন, ‘ভারতে গিয়ে আমি যেটা বলেছি, আসামের মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন, শেখ হাসিনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। আমি জিজ্ঞেস করলাম, কেন? উনি বললেন, শেখ হাসিনার সেই জিরো টলারেন্স টু টেররিজম নীতির কারণে আর দ্বিতীয়ত উনি বলেছেন, বাংলাদেশ কেন নট বি এ হাব ফর টেররিস্ট। এর পরে আসাম, মেঘালয়—সবগুলো জেলায় (রাজ্য) আর সন্ত্রাসী তৎপরতা নেই। সন্ত্রাসী তৎপরতা না থাকায় তাদের দেশের উন্নয়ন হচ্ছে। উনি বললেন, ‘‘আমার এখানে বহু হাসপাতাল, বহু ইনভেস্টমেন্ট (বিনিয়োগ) আসছে। যেহেতু এখন আসামে কোনো সন্ত্রাসী নেই। এই জন্য শেখ হাসিনা, তার আহ্বানে এটা হয়েছে।’
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আমি বলেছি, কিছু কিছু লোক সময়-সময় অনেকগুলো উসকানিমূলক কথাবার্তা বলে। আপনার (ভারত) দেশেও কিছু দুষ্টু লোক আছে, আমার দেশেও দুষ্টু লোক আছে। তারা তিলকে তাল করে। আপনার (ভারত) সরকারের একটা দায়িত্ব হবে এবং আমার সরকারেরও দায়িত্ব আছে যে তিলকে তাল করার সুযোগ সৃষ্টি না করে দেওয়া। আমরা যদি এটা করি তাহলে আমাদের এই সম্প্রীতি থাকবে। আমাদের মধ্যে কোনো ধরনের আনসার্টেনিটি, অস্থিরতা থাকবে না। আমি বলেছি, আমরা চাই শেখ হাসিনার স্থিতিশীলতা থাকুক। এই ব্যাপারে আপনারা (ভারত) সাহায্য করলে আমরা খুব খুশি হব।