বুধবার ১২ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ২৯শে মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ইউএসএ থেকে প্রকাশিত অনলাইন নিউজ পোর্টাল
সংবাদ এবং তথ্যে আপনার প্রয়োজন মেটাতে

ভাড়ার তালিকা নেই বাসে, বিআরটিএকে ‘বুড়ো আঙুল’

  |   শুক্রবার, ১২ অগাস্ট ২০২২   |   প্রিন্ট   |   125 বার পঠিত

বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) নির্দেশনা দেওয়ার এক সপ্তাহ পরও ঢাকার গণপরিবহনে সরকার নির্ধারিত নতুন ভাড়ার মূল্য তালিকা টানানো হয়নি। রাজধানীতে বাসের ভাড়া কিলোমিটার প্রতি ৩৫ পয়সা বাড়ানো হলেও তা মানছে না পরিবহনগুলো। স্টপেজ প্রতি বাড়তি ৫ থেকে ১০ টাকা আদায় করছে বলে অভিযোগ যাত্রীদের। অন্যদিকে, চালক ও হেলপাররা বলছেন, বাস মালিকদের দেওয়া প্রেসক্রিপশন অনুযায়ী আমরা ভাড়া নিচ্ছি। তবে কবে নাগাদ ভাড়ার তালিকা টানানো হবে তা বলতে পারছি না।

শুক্রবার (১২ আগস্ট) রাজধানীর কালশী, মিরপুর, পল্টন ঘুরে পরিবহনগুলোতে ভাড়া আদায়ের নৈরাজ্য চোখে পড়েছে।

বিকল্প পরিবহনে মিরপুর সাড়ে ১১ থেকে শাহবাগে যেতে ৩৫ টাকা ভাড়া গুনতে হয়েছে ব্যবসায়ী কামরুজ্জামান সোহাগকে। তিনি বলেন, এতদিন যেখানে ২০ টাকা ভাড়া দিতাম, তেলের দাম বাড়ার পর সেখানে ১৫ টাকা বেড়ে গেছে।

সোহাগ বলেন, বাড়তি ভাড়া নিলেও সড়কে কোনো ধরনের নজরদারি চোখে পড়েনি। প্রতিটি রুটেই ৫ টাকা বাড়ানো হয়েছে। বাসটিতে কোনো ভাড়ার তালিকাও নেই।

বাসটির চালকের সহকারী জানান, কবে নাগাদ তালিকা টানানো হবে তার জানা নেই। মালিক যেভাবে ভাড়া কাটতে বলেছেন, সেভাবেই তারা ভাড়া কাটছেন।

মিরপুর ১২ থেকে কালশী নতুন ফ্লাইওভার হয়ে বনানী ও মহাখালী যেতে সুবিধা হলেও অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করছে পরিবহনগুলো।

নাসির নামে এক যাত্রী জানান, মিরপুর ১২ নম্বর থেকে ইসিবি পর্যন্ত দূরত্ব ৫ কিলোমিটার। সেখানে কিলোমিটার প্রতি ২টাকা ৫০ পয়সা করে ভাড়া হয় ১৩ টাকা। কিন্তু প্রজাপতি, পরিস্থান, বিজয়সহ এ রুটে চলাচলকারী বাসগুলো ২৫ টাকা করে ভাড়া নিচ্ছে।

গত ৫ আগস্ট শুক্রবার তেলের দাম বাড়ানোর পরের দিনই বৈঠক করে প্রতি কিলোমিটারে দূর পাল্লায় ৪০ পয়সা এবং নগরে ৩৫ পয়সা বাড়ায় বিআরটিএ। মহানগরী এলাকায় বাস ও মিনিবাসের ভাড়া কিলোমিটার প্রতি ২ টাকা ১৫ পয়সা থেকে বাড়িয়ে ২ টাকা ৫০ পয়সা করে নির্ধারণ করে সরকার গত ৮ আগস্ট প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। তবে বাসগুলো নির্ধারিত ভাড়ার চেয়ে অতিরিক্ত ৫ থেকে ১০ টাকা বেশি রাখার অভিযোগ করেছেন যাত্রীরা।

শুক্রবার বিআরটিএর চেয়ারম্যান নুর মোহাম্মদ মজুমদার সাংবাদিকদের জানান, অতিরিক্ত ভাড়া আদায় বন্ধে বিআরটিএ যথাযথ পদক্ষেপ নিচ্ছে। যদি কোনো গাড়িতে ভাড়ার চার্ট না থাকে, তবে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে তাদের জরিমানা করা হচ্ছে। এটা অব্যাহত থাকবে।

এদিকে, সম্প্রতি বাড়তি ভাড়া আদায় নিয়ে সমালোচনার মুখে ওয়েবিল প্রথা বাতিল করার ঘোষণা দিয়েছে ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতি।

সংগঠনটি জানিয়েছে, ঢাকা ও এর আশপাশের শহরতলির বাসে রাস্তায় কোনো পরিদর্শক (চেকার) থাকবে না। এক বাসস্ট্যান্ড থেকে অন্য বাসস্ট্যান্ড পর্যন্ত চলাচলের সময় বাসের দরজা বন্ধ রাখতে হবে। অর্থাৎ রুট পারমিটে বর্ণিত বাসস্ট্যান্ডের বাইরে থামিয়ে যাত্রী তোলা যাবে না।

অন্যদিকে, ছুটির দিনে বাসের কাউন্টারগুলোতে চেকারের সংখ্যা ছিল কম। চেকাররা জানান, ওয়েবিল নিষিদ্ধের সিদ্ধান্তে কথা তারা জানেন না। শুক্রবারে যাত্রী কম থাকায় চেকারের সংখ্যা কম। তবে লাইনম্যানরা আছেন। লাইনম্যানদের বাস প্রতি ১০ টাকা করে নিতে দেখা যায়।

কালশী মোড়ে পরিস্থান পরিবহনের আজিজ নামে একজন লাইনম্যান জানান, চেকার নিষিদ্ধের বিষয়টি সম্পর্কে তিনি জানেন না। বাসের মালিকও এই বিষয়ে কিছু জানাননি।

তিনি বলেন, আজকে ওয়েবিল লেখক বা চেকারের সংখ্যা কম। কেননা রাস্তায় যাত্রীও কম, রাস্তায় যাত্রী কম থাকলে সাধারণত মালিকরা একটা নির্দিষ্ট হারে যাত্রীর সংখ্যা ধরে চালকের সহকারীদের কাছ থেকে ভাড়া বুঝে নেন।

আজিজ বলেন, লাইনম্যানরা সাধারণত গাড়ির কোনো সমস্যা হলে সমাধান করে। করোনার আগে যাত্রী ডেকে বাসে উঠালে টাকা দিতো। এখন আর দেয় না। আমরা গাড়ি প্রতি ১০ টাকা করে নেই। সাধারণত

Facebook Comments Box

Posted ৪:২২ পিএম | শুক্রবার, ১২ অগাস্ট ২০২২

|

এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

ইউএসএ থেকে প্রকাশিত অনলাইন নিউজ পোর্টাল সংবাদ এবং তথ্যে আপনার প্রয়োজন মেটাতে

NSM Moyeenul Hasan Sajal

Editor & Publisher
Phone: +1(347)6598410
Email: protidinkar@gmail.com, editor@protidinkar.com

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।