প্রজাতন্ত্র দিবসের বিশেষ অতিথি হয়ে গত মঙ্গলবার ভারত সফরে যান মিশরের প্রেসিডেন্ট আবদেল ফতে আল-সিসি। বুধবার (২৫ জানুয়ারি) তার সঙ্গে বৈঠক করেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। দুই নেতার বৈঠকে দ্বিপাক্ষিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট একাধিক চুক্তি সই হয়।

দিল্লির হায়দরাবাদ ভবনে ওই শীর্ষ দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের পর প্রধানমন্ত্রী মোদি জানান, প্রতিরক্ষা খাতে সহযোগিতা বৃদ্ধি, সন্ত্রাসবিরোধী তথ্য বিনিময়কে আরও জোরদার করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুই দেশ। পাশাপাশি দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যের পরিমাণ বৃদ্ধি নিয়েও আলোচনা হয়েছে। মোদি জানিয়েছেন, আগামী পাঁচ বছরে মিশরের সঙ্গে বাণিজ্যের পরিমাণ ১২০০ কোটি ডলারে নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে।

আর মিশরের প্রেসিডেন্টের বক্তব্য, বৈঠকে নিরাপত্তা থেকে বাণিজ্যসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক বিষয় নিয়ে কথা হয়েছে প্রধানমন্ত্রী মোদির সঙ্গে।

এদিকে মিশরের রাষ্ট্রপ্রধানের এই সফর ও দুই নেতার বৈঠক নিয়ে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচী টুইট করে বলেছেন, ‘মিশরের সঙ্গে আমাদের বন্ধুত্ব গভীর। এশিয়ার সঙ্গে আফ্রিকাকে সংযুক্তকারী প্রাকৃতিক সেতু হল মিশর। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও প্রেসিডেন্ট আল-সিসি ভারত ও মিশরের মধ্যে সম্পর্ককে আরও দৃঢ় করার লক্ষ্যে আলোচনা করেছেন। দুই দেশ সভ্যতা, সাংস্কৃতিক ও অর্থনৈতিক সম্পর্কের বন্ধনে আবদ্ধ।’

এনিয়ে তৃতীয়বার ভারতে সফর করলেন আল-সিসি। নির্বাচিত মুরসি সরকারকে হটিয়ে মিশরের ক্ষমতা দখলের পর সামরিক প্রধান সিসি এর আগে ২০১৫ সালে ও ২০১৬ সালে ভারতে এসেছিলেন তিনি।

আনন্দবাজারের খবরে বলা হয়, বুধবার দুই দেশের মধ্যে বেশ কয়েকটি চুক্তিপত্রে সই হয়েছে। যুবসমাজের উন্নয়নে পারস্পরিক সহযোগিতা, সাংস্কৃতিক মেলবন্ধন, প্রযুক্তি ক্ষেত্রে পারস্পরিক সহযোগিতা, জাতীয় সংবাদমাধ্যমের সম্প্রচারে পারস্পরিক সহযোগিতা এবং সাইবার সুরক্ষা সংক্রান্ত চুক্তি হয়েছে দুই দেশের।

প্রসঙ্গত,আফ্রিকা ও ইউরোপের বাজারগুলির অন্যতম প্রধান প্রবেশদ্বার মিশর। এই আবহে মিশরের সঙ্গে সম্পর্কের পরিসর আরও বৃদ্ধি করতে আগ্রহী ভারত।