| শুক্রবার, ১৯ অগাস্ট ২০২২ | প্রিন্ট | 117 বার পঠিত
যুক্তরাষ্ট্র ও তাইওয়ান নতুন একটি উদ্যোগের আওতায় বাণিজ্য আলোচনা শুরু করতে সম্মত হয়েছে। গত বুধবার এ সম্মতির কথা জানিয়ে দুই পক্ষই ‘অর্থনৈতিকভাবে অর্থবহ ফলাফল’ আসবে এমন চুক্তিতে পৌঁছাতে তাদের আগ্রহ ব্যক্ত করেছে। চীনের হুমকির মুখে স্বশাসিত দ্বীপটির প্রতি মার্কিন সমর্থন যে আরও জোরদার হচ্ছে, বাণিজ্য আলোচনা শুরু করতে ওয়াশিংটনের সম্মতিকে তার আরেকটি সংকেত হিসেবেই দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
পেইচিংয়ের ক্রমবর্ধমান প্রভাব মোকাবিলার লক্ষ্যে জো বাইডেন প্রশাসনের করা এশিয়াকেন্দ্রিক অর্থনৈতিক পরিকল্পনা থেকে তাইওয়ানকে বাদ দেওয়ার কয়েক দিন পর জুনে ওয়াশিংটন ও তাইপের ‘যুক্তরাষ্ট্র-তাইওয়ান ইনিশিয়েটিভ অন টোয়েন্টি ফার্স্ট সেঞ্চুরি ট্রেড’ প্রকাশ্যে আসে।
যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ওয়াশিংটন ও তাইপে দুই পক্ষই বাণিজ্য ‘আলোচনার শর্তাবলি নিয়ে ঐকমত্যে পৌঁছেছে’ এবং শরতের শুরুর দিকেই প্রথম পর্বের আলোচনা শুরু হবে বলে প্রত্যাশা করা হচ্ছে। রয়টার্স বলছে, চীনের ক্রমবর্ধমান রাজনৈতিক ও সামরিক চাপের মুখে স্বশাসিত দ্বীপটিতে সাহায্যের পরিমাণ বাড়াতে বদ্ধপরিকর যুক্তরাষ্ট্র, তারই অংশ হিসেবে দুই পক্ষ এই আনুষ্ঠানিক বাণিজ্য আলোচনা শুরু করতে যাচ্ছে। আলোচনার বিষয়ে জানানোর পাশাপাশি মন্ত্রণালয়টির দেওয়া এক ঘোষণায় বলা হয়েছে, বাণিজ্য সহজীকরণ, ইতিবাচক বাণিজ্য নিয়ন্ত্রণচর্চা এবং বাণিজ্যে বৈষম্যমূলক বাধা অপসারণের মতো ইস্যুগুলো নিয়ে আলোচনায় শক্তিশালী একটি এজেন্ডা নির্ধারণ করেছে যুক্তরাষ্ট্র ও তাইওয়ান।
‘উচ্চমানের অঙ্গীকার এবং অর্থনৈতিকভাবে অর্থবহ ফলাফল’ পাওয়া যাবে এমন চুক্তিতে পৌঁছানোর উদ্দেশ্যেই আনুষ্ঠানিক এ আলোচনা শুরু হতে যাচ্ছে, বলা হয়েছে ঘোষণায়। তবে এ ঘোষণায় দুই পক্ষের মধ্যে বিস্তৃত মুক্তবাণিজ্য চুক্তিতে পৌঁছানোর সম্ভাবনা নিয়ে কিছু বলা হয়নি। তবে তাইওয়ান দীর্ঘদিন ধরেই ওয়াশিংটনকে তাদের সঙ্গে মুক্তবাণিজ্য চুক্তি করতে চাপ দিয়ে আসছে। আর আনুষ্ঠানিক কূটনৈতিক সম্পর্ক না থাকলেও স্বশাসিত দ্বীপটিকে নানা ক্ষেত্রে সহায়তা করে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। চীন তাইওয়ানকে নিজেদের একটি বিচ্ছিন্ন প্রদেশ মনে করে; দ্বীপটিকে মূল ভূখণ্ডের সঙ্গে একত্র করতে প্রয়োজনে শক্তিপ্রয়োগেরও হুমকি দিয়ে রেখেছে তারা। যুক্তরাষ্ট্রও আনুষ্ঠানিকভাবে ‘এক চীন’ নীতি সমর্থন করে। তবে সম্প্রতি মার্কিন প্রতিনিধি পরিষদের স্পিকার ন্যান্সি পেলোসির তাইওয়ান সফরকে কেন্দ্র করে পেইচিং-ওয়াশিংটন বিরোধ চরমে পৌঁছেছে। পেলোসির সফরের পর চীন কার্যত তাইওয়ান ঘিরে ফেলে যুদ্ধ মহড়া করেছিল। চীনের যুদ্ধবিমান তাইওয়ানের আকাশসীমায় ঢুকে গিয়েছিল। এর মধ্যেই গত রবিবার ফের যুক্তরাষ্ট্রের পাঁচ সদস্যের প্রতিনিধিদল তাইওয়ান সফর করেছে। যুক্তরাষ্ট্রের ভাষ্য, এ সফর প্রমাণ করে যেকোনো পরিস্থিতেই তারা তাইওয়ানের পাশে আছে।
Posted ৪:৪১ পিএম | শুক্রবার, ১৯ অগাস্ট ২০২২
| admin
এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।